Friday, October 24, 2008

আই অ্যাম লিজেন্ড




সম্প্রতি আই অ্যাম লিজেন্ড ছবিটি দেখার সুযোগ হল । ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি দেখে বেশ ভালো লেগেছে বলতে হবে । মুখ্য ভূমিকায় উইল স্মিথের অভিনয় যথাযথ ।

সিনেমাটির শুরুতে দেখানো হয় টিভিতে ইন্টারভিউতে এক বিজ্ঞানী বলছেন যে তিনি ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন এবং এতে সাফল্যের পরিমান একশো শতাংশ । তারপরেই তিন বছর বাদের নিউইয়র্ক শহর দেখানো হয় । পুরোপুরি ফাঁকা এক নিস্তব্ধ শহর । রাস্তা জুড়ে গাড়ির সারি কোথাও কোনো জনপ্রানীর চিহ্ণ নেই । শহরের বুকে ছুটে বেড়াচ্ছে হরিণের দল । আর তাদের তাড়া করে ফিরছে সিংহ । পুরো শহরে একজন মাত্র সুস্থ জীবিত মানুষ রবার্ট নেভিল (উইল স্মিথ) । তার একমাত্র সঙ্গী তার পোষা অ্যালসেসিয়ান কুকুরটি ।

ক্যান্সারের প্রতিষেধক বলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিঙের সাহায্যে যে ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছিল তার সংক্রমনের ফলে পৃথিবীর নব্বই শতাংশ মানুষ আগেই মৃত । আর যে মানুষেরা সংক্রমিত হয়ে মারা যায়নি তারা পরিণত হয়েছে ভয়ানক জম্বি রাক্ষসে । এর বাইরে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই বেঁচে আছে ।
এর পর কিভাবে সিনেমার নায়ক বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হবে এবং অবশেষে এই ভয়ানক ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করবে তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প ।

অ্যাপোক্যালিপ্টিক থিম নিয়ে এর মধ্যে অনেকগুলি ছবিই দেখা হয়েছে । যেমন টুয়েন্টি এইট ডেজ ল্যাটার, টুয়েন্টি এইট উইকস ল্যাটার, ডুমসডে, প্রভৃতি এগুলির মধ্যে আই অ্যাম লিজেন্ড ছবিটিকেই সব থেকে ভালো বলে মনে হল । স্পেশাল এফেক্টের সাহায্যে যেভাবে ফাঁকা নিউইয়র্ক শহর দেখানো হয়েছে তা প্রশংসা যোগ্য । তবে টুয়েন্টি এইট উইকস ল্যাটার ছবিতে এরকমই ফাঁকা লণ্ডন শহরে দেখানো হয়েছিল যেটাও বেশ ভালো লেগেছিল ।

সিনেমাটির রেটিং এ দশে সাত দেওয়া যেতেই পারে ।

Thursday, October 02, 2008

ইন্টারনেটের নানা কথা ।

গুগুলের সবই ভালো কিন্তু কিছু কিছু বিষয় কেন যে তারা পরিবর্তন করছে না বোঝা যায় না । যেমন অর্কুটে কেউ যদি স্ক্র্যাপ করে তাহলে ইমেলে নোটিফিকেশন আসে কিন্তু ইচ্ছা করলেই তারা ইমেলে পুরো স্ক্র্যাপটাই পাঠিয়ে দিতে পারে কিন্তু তা দিচ্ছে না । মানে অর্কুটে লগ-ইন না করলে আমি আমার স্ক্র্যাপ পড়তে পারব না ।

আমার কোনোদিনই কোন হটমেল ইমেল আইডি ছিল না । সম্প্রতি একটা তৈরি করলাম । তারপর ভাবলাম এখানের সব মেল আমার জিমেলে অটো ফরোয়ার্ড করে দিই । কিন্তু করতে গিয়ে দেখলাম হটমেল থেকে কেবল অন্য কোন হটমেল অ্যাকাউন্টেই সব মেল অটো ফরোয়ার্ড করা যায় । অন্যকোন ইমেল প্রোভাইডারে ইমেল ফরোয়ার্ড করা যায় না । ফলে আমার জিমেল-এ ফরোয়ার্ড করা গেল না । কিন্তু আমার জিমেল আইডি থেকে সব মেল আমার অন্য একটি ইয়াহু অ্যাকাউন্টে ফরোয়ার্ড করা আছে । তাই আমি ইয়াহু থেকেও আমার মূল জিমেল অ্যাকাউন্টের সব মেল দেখতে পারি । এখানেই বোঝা যায় গুগুলের সাথে মাইক্রোসফটের পার্থক্য কোথায় ।

গুগুলের আয়ের অনেকটাই আসে অনলাইন অ্যাডের মাধ্যমে কিন্তু তারা অ্যাড দেবার সময় ব্যবহারকারীর সুবিধা অসুবিধাগুলি খেয়াল রাখে । মানে তাদের অ্যাডে কোন ছবি বা অ্যানিমেশন থাকে না । শুধু টেক্সট অ্যাড থাকে । ফলে তা ব্যবহারকারীর কাছে কোন বিরক্তিকর জিনিস হয়ে দাঁড়ায় না । তুলনায় দেখা যায় ইয়াহু বা রেডিফের মেলবক্স খুললেই তাতে রংচঙে অ্যাডের ছড়াছড়ি । যা আমার বিশ্রী লাগে । আর এগুলো বেশ কিছুটা ব্যান্ডউইথও খায় । আবার ইয়াহু চ্যাট বা এমএসএন চ্যাট খুললেই মুখের সামনে ধড়াম করে বড় একটা বিজ্ঞাপন খুলে যায় । কাজের সময়ে যা একটা ফালতু উপদ্রব । কিন্তু জিটকে লগ ইন করলে এরকম কোন বিজ্ঞাপন খোলে না । বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে গুগুলের নীতি আমার খুবই পছন্দের ।

সম্প্রতি কয়েকদিন অন্য সবায়ের মত আমিও গুগুল ক্রোম ব্যবহার করে দেখলাম । সুন্দর ডিজাইন আর বেশ তাড়াতাড়ি চলে । কিন্তু তবুও ফায়ারফক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আসতে বহু দেরি আছে । ফায়ারফক্সের এত ভাল ভাল এক্সটেনশন আছে যে সেগুলো ছাড়া আমার তো চলেই না । গুগুল যদি সেরকম এক্সটেনশন বের করতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত আরো বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে । তবে উইনডোজ ভার্সনে নতুন সাফারি ব্রাউজারটিও খারাপ নয় । এটিও দৌড়ে আছে । ব্রাউজার যুদ্ধ ভবিষ্যতে যে আরো জমে উঠবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।