tag:blogger.com,1999:blog-273714522024-03-18T14:43:59.070+05:30আমার কিছু বক্কাYou need a Unicode Bangla Font for reading this Blog and change your page encoding to Unicode(UTF-8)অদৃশ্য ভগবানhttp://www.blogger.com/profile/12651551075045551337noreply@blogger.comBlogger126125tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-45142071576283535252010-05-02T00:56:00.000+05:302010-05-02T00:57:19.217+05:30লাভ সেক্স আউর ধোখা<div><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;">আধুনিক হিন্দি চলচ্চিত্র ক্রমশ এগিয়ে চলেছে আরো আধুনিকতার দিকে আর ডিরেক্টর দিবাকর ব্যানার্জীর ছবি লাভ সেক্স আউর ধোখা তাকে আরো এগিয়ে দিল ।</span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;"> </span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;">হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় তোলা ছবি নতুন কিছু নয় । ভারতীয় দর্শকরা আগে দেখেছেন মনসুন ওয়েডিং এর মত ছবি । এছাড়াও হলিউডের ছবি ক্লোভারফিল্ড এবং প্যারানরম্যাল অ্যাকটিভিটিজ এইভাবে তোলা হয়েছিল । লাভ সেক্স আউর ধোখা তে তার সাথে আরো যুক্ত হয়েছে ননলিনিয়ার গল্প বলার পদ্ধতি । যা আমরা আগে দেখেছি পাল্প ফিকশন বা মেমেন্টোর মত ছবিতে । অর্থাৎ পুরো ছবিতে গল্পটা পরপর বলা হয় না খাপছাড়া ভাবে দেখানো হয় । কিন্তু পরে এসে সবটাই মিলে যায় । এখানে ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে হ্যান্ডিক্যাম এবং সিকিউরিটি ক্যামেরা । ভারতে প্রতিমূহুর্তে বেড়ে চলা এমএমএস স্ক্যান্ডাল এবং ওয়েবক্যাম এবং হ্যান্ডিক্যামে তোলা ব্যক্তিগত পর্ণ ছবির চাহিদা উর্ধ্বমুখী । সাধারন এন্টারটেনমেন্টে আর মানুষের চাহিদা মিটছে না । তারই পটভূমিকায় নির্মিত এই ছবি । কাস্টিং কাউচ এবং স্টিং অপারেশনও এই ছবির গল্পের একটা অংশ । সংবাদমাধ্যমও যে কিভাবে এই ক্লিপিংসগুলোকে কিভাবে নিজেদের লাভের জন্য তৈরি করে এবং ব্যবহার করে তাও দেখানো হয়েছে ।</span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;"> </span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;">এই ছবিতে তিনটি আলাদা গল্প দেখানো হয় কিন্তু মূল চরিত্রগুলি ঘুরে ফিরে আসে সবগুলিতেই । ছবিতে কোনো চেনামুখ নেই এবং ছবির বাজেটও অতি কম । এত কম বাজেটেও যে এত ভাল ছবি তোলা যায় দিবাকর ব্যানার্জী তা দেখিয়ে দিলেন । </span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size: large;">সাহসী পরিচালনা, চিত্রনাট্য ও গল্প এই ছবিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে । হিন্দি ছবিতে এই প্রথম ফাকিং শব্দটা শুনলাম । একটি গানের কথা ‘তুঝে নাঙ্গি আচ্ছি লাগতি হ্যায়’ যদিও এটিকে বদলে দেওয়া হয়েছে । বালাজি টেলিফিল্মস পারিবারিক সিরিয়াল ছেড়ে যে এরকম একটা সিনেমা প্রোডিউস করল দেখে ভাল লাগল । এডিটিং অসাধারন । ছবিতে গানের তেমন প্রাধান্য না থাকলেও যেটুকু আছে বেশ ভাল । আর বলিউডে বহু বছর পর আবার একজন মহিলা সঙ্গীত পরিচালক স্নেহা খানওয়ালকার । তাঁরা আগের ছবি ছিল ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে । </span></div><div><br /></div>অদৃশ্য ভগবানhttp://www.blogger.com/profile/12651551075045551337noreply@blogger.com35tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-56754484931474346432010-03-25T22:07:00.003+05:302010-03-25T22:18:02.579+05:30হরিদাসের গুপ্তকথা<span style="font-size:130%;">হরিদাসের গুপ্তকথা নামের বইটির নাম অনেকদিন আগেই শুনেছিলাম । বইটি সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল যে এটি বোধহয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আপাত নিষিদ্ধ টাইপের কিছু একটা হবে । কিন্তু বইটি এককালে বেশ জনপ্রিয় ছিল সেটাও অনুমান করেছিলাম ।<br /><br />এবারের বইমেলায় হঠাৎ একটি বইয়ের স্টলে হরিদাসের গুপ্তকথার সন্ধান পাই । প্রচুর নতুন বইয়ের ভিড়ে হঠাৎই একটা মলাটহীন পুরনো বই দেখে হাতে তুলে নিয়েছিলাম । পাতা উলটেই দেখি হরিদাসের গুপ্তকথা । সঙ্গে সঙ্গে বইটি কিনে ফেললাম ।<br /><br />বইটির লেখক শ্রীভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় । বইয়ের প্রথমে তারিখ ১৩১০ বঙ্গাব্দ । মানে মোটামুটি ১৯০৪ খ্রীষ্টাব্দে লেখক বইটি লিখছেন । আর কাহিনীর ঘটনাক্রম তারও বেশকিছু বছর আগেকার ।<br /><br />উপন্যাসটি চার খণ্ডে বিভক্ত । কাহিনীর নায়ক হল হরিদাস নামের একটি ছেলে । কাহিনীর আরম্ভের সময়ে তার বয়স চোদ্দ বছর । মোটামুটি হিসাব করে দেখা যায় তার জন্ম ইংরেজি ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে । হুগলি জেলার সপ্তগ্রামে চোদ্দ বছর বয়েসে হরিদাসের যাত্রা শুরু হয় এক গ্রামের পাঠশালা থেকে । সে নিজের কোন পরিচয় জানত না । পাঠশালার গুরুমশাইয়ের বাড়িতে সে লালিত । গুরুমশাইয়ের মৃত্যুর পর সে বাইরের জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে বাধ্য হয় । এরপর সাত-আট বছর নানা ঘটনার ঘনঘটার মধ্যে দিয়ে এই দরিদ্র সহায় সম্বলহীন অনাথ বালক কিভাবে নিজের পরিচয় জানল এবং পরিশেষে বিরাট ধনী জমিদারে পরিণত হল তারই রোমাঞ্চকর আখ্যান এই বই । উপন্যাসটিতে হরিদাসের নায়িকাও উপস্থিত । তার নাম অমরকুমারী । নানা বিপত্তি পেরিয়ে শেষ অবধি হরিদাস এবং অমরকুমারীর মিলন হয় । উপন্যাসটিতে প্রচুর চরিত্র । উপন্যাসের শেষপ্রান্তে এসে প্রতিটি চরিত্রেরই পরিণাম দেখানো হয়েছে । নানা রকম নাটকীয়তায় ভরপুর এই উপন্যাস । শেষে এসে সব কিছুকেই একটি বিন্দুতে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে । সব রহস্যেরই সমাধান করা হয়েছে ।<br /><br />বইটিকে একটি অ্যডভেঞ্চারের গল্প বললেও ভুল হয় না । প্রায় ৬৮০ পাতার বইটিতে প্রচুর রোমাঞ্চকর ঘটনার সন্নিবেশ ঘটেছে । নানা রকম চুরি, ডাকাতি, জালিয়াতি, খুন-খারাপি, আত্মহত্যা, কিডন্যাপিং, পুলিশ-দারোগা, মামলা-মোকদ্দমা, ভূতুড়ে ঘটনা এবং ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ঠাসা । সিপাহী বিদ্রোহের চাক্ষুষ বর্ণনাও এতে স্থান পেয়েছে ।<br /><br />ঊনবিংশ শতকের বাঙলি এবং ভারতীয় জীবনের নানা বিচিত্র ঘটনার বর্ণনা এতে রয়েছে । এর সাথে আরো যুক্ত হয়েছে নানা রকম কেচ্ছা এবং ব্যাভিচারের ঘটনা । এবং প্রেমের ঘটনাও কিছু কম নেই । তখনকার সমাজব্যবস্থার একটি বাস্তব চিত্র দেখা যায় । বাঙালি বাড়িতে ব্যভিচারের ঘটনা যে কত বেশি ছিল তার বর্ণনা পড়লে অবাক হতে হয় । অনেক পুরুষই কোন আত্মীয় মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখতেন এবং অনেক সময়ে বিপদে পড়লে তাদের নিয়ে গৃহত্যাগও করতেন । বেশিরভাগ সময়েই তাঁরা বারাণসীর মত কোন তীর্থস্থানে গিয়ে নাম পরিচয় এবং সম্পর্ক ভাঁড়িয়ে থাকতেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মানও আদায় করতেন ।<br /><br />লেখক লিখছেন যে –<br /><br /><span style="font-style: italic;">“বাঙ্গালীদলের বেশী কলঙ্ক । জাতিতে জাতিতে, জাতিতে বিজাতিতে, সম্পর্কে সম্পর্কে, সম্পর্কে নিঃসম্পর্কে, বাঙ্গালী নর-নারী পাপলিপ্ত হলেই নিরাপদের আশাতে কাশীতে পালিয়ে আসে ; মাতুলের ঔরসে ভগিনী-পুত্রী, পিতৃব্যের ঔরসে ভ্রাতৃকুমারী, ভ্রাতার ঔরসে বিমাতৃকুমারী, ভাগিনেয়ের ঔরসে মাতুলানী, জামাতার ঔরসে শ্বশ্রু-ঠাকরানী, শ্বশুরের ঔরসে যুবতী পুত্রবধূ গর্ভবতী হলেই কাশীধামে পালিয়ে আসে ! গর্ভগুলি নষ্ট কোত্তে হয় না, কাশীর পবনের প্রসাদে বংশ-রক্ষা হয় । ”</span><br /><br />মনে রাখতে হবে এই বর্ণনার সময়কাল ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহেরও আগের !<br /><br />খুনোখুনির ঘটনাও বেশ কিছু আছে । আর আছে সেই সময়ের ভালো-খারাপ পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার বর্ণনা । উপন্যাসটিতে পুলিশকে বেশ করিৎকর্মা হিসাবেই দেখানো হয়েছে । তবে তারা যে উৎকোচ গ্রহনেও সিদ্ধহস্ত তার ঈঙ্গিতও রয়েছে ।<br /><br />কাহিণীর পটভূমিকাও বদলেছে বারে বারে । তৎকালীন ভারতবর্ষের নানা তীর্থস্থানের বর্ণনাও এতে রয়েছে । পশ্চিমের গুজরাট থেকে আরম্ভ করে পূর্বের ত্রিপুরা পর্যন্ত উপন্যাসটির ব্যাপ্তি । কাহিনী ছুঁয়ে গেছে ভারতের বিভিন্ন শহর যেমন বরোদা, আমেদাবাদ, আগ্রা, মথুরা, বৃন্দাবন, পাটনা, বারাণসী, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, ঢাকা, বর্ধমান, কানপুর, গৌহাটি । এই কাহিনী যে সময়ের সেই সময়ে ভারতে রেলপথ ছিল না বা সবে স্থাপিত হতে আরম্ভ করেছে । তাই বিভিন্ন স্থানে যাওয়াও অনেক কষ্টকর ছিল এবং তাতে বিপদের ভয়ও ছিল যথেষ্ট ।<br /><br />হরিদাসের নিজের বক্তব্য ও মন্তব্য থেকে লেখকের ব্যক্তিতের বিষয়েও জানতে পারি । ইংরেজ শাসন বিষয়ে তিনি বেশ খুশি তবে সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে তিনি উভয় পক্ষেরই নৃশংসতার জন্য সমালোচনা করেছেন । রানী ভিক্টোরিয়াকে তিনি ভক্তি করতেন । তিনি ছিলেন বাল্যবিবাহ এবং জাতিভেদ প্রথার একজন সমর্থক । এবং অসবর্ণ বিবাহ প্রথার বিরোধী । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সৎ এবং উপকারী ।<br /><br />হরিদাসের গুপ্তকথা একটি উপন্যাস হলেও পড়লেই বোঝা যায় যে এটির পিছনে অনেক সত্য, লেখকের নিজের চোখে দেখা ঘটনাও রয়েছে । এটিকে একটি ঐতিহাসিক বিবরণও বলা যায় । তাই ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগের একটি চমৎকার বর্ণনা আমরা পাই ।<br /><br />বইটি বেশ দুষ্প্রাপ্য তবে বর্তমান সংস্করনটি বেরিয়েছে বিশ্ববাণী প্রকাশণী থেকে ১৩০৪ বঙ্গাব্দে । দাম ৬০ টাকা ।<br /><a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC"><br />বাংলা উইকিপিডিয়ায় ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় । </a><br /><br /><br /><br /></span>অদৃশ্য ভগবানhttp://www.blogger.com/profile/12651551075045551337noreply@blogger.com15tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-33528990952503242502010-02-22T01:54:00.005+05:302010-02-22T02:17:50.427+05:30লিখতে হবে বাংলায়<span style="font-size:130%;">বেশ কিছুদিন হল এই ব্লগে আর লেখা হচ্ছে না <span>।</span> প্রথম এই ব্লগে লিখতে শুরু করেছিলাম প্রায় চার বছর আগে <span><span></span></span></span><span style="font-size:130%;">২০০৬ সালের মে মাসে । বর্তমানে অবস্থাটা অনেকটাই পালটেছে</span><span style="font-size:130%;"><span><span> </span></span><span>।</span> তখন ইন্টারনেটে বাংলার পাঠক সংখ্যা খুবই কম ছিল আর ব্লগার তো ছিল আরো কম <span>।</span> এখন উইনডোজ ভিস্তা আর সেভেন এ কোনো কনফিগারেশন ছাড়াই ভাল বাংলা পড়া যায় আর অভ্র কিবোর্ড এবং ইউনিকোড বাংলা সম্পর্কে মানুষ আরো বেশি করে জেনেছেন <span>।</span> তাই শুধু বাংলাদেশ নয় <span>।</span> ভারত থেকেও বাংলা ব্লগারের সংখ্যা বাড়ছে <span>। </span></span><span style="font-size:130%;">আর কিছু দিনের মধ্যে যে ভারতীয় বাংলা ব্লগারের সংখ্যা আরো বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই <span>।</span></span><span style="font-size:130%;"><span><span></span></span><br /><br /><span></span> এই ব্লগ আমি ছদ্মনামে শুরু করেছিলাম কারন সেই সময় ভেবেছিলাম যে এখানে নানা রকম বির্তকিত বিষয় নিয়ে লিখব <span>।</span><span><span></span></span> </span><span style="font-size:130%;"> অনলাইনে নিজের আসল নামকে যতটা সম্ভব কোনো রকম বিতর্ক থেকে দূরে রাখাই ভালো। </span><span style="font-size:130%;">বেশ কিছু বিষয় নিয়ে লিখেওছিলাম <span>।</span> এর মধ্যে লেখার পরিমান কমে গেলেও এটা মনে করার কোনো কারন নেই যে আমি বাংলায় ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছি <span>।</span> আমি লিখব কারন লিখতে হবে বাংলায় <span>।</span> </span>অদৃশ্য ভগবানhttp://www.blogger.com/profile/12651551075045551337noreply@blogger.com9tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-81985938777567895662009-10-29T02:22:00.003+05:302010-02-22T02:13:42.924+05:30২০০ ফ্রি বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন ।<span style="font-size:130%;">সম্প্রতি ভারত সরকারের যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দ্বারা প্রকাশিত বাংলা সফটওয়্যারের সিডিতে বেশ কিছু বাংলা ইউনিকোড ফন্ট পেলাম । এর মধ্যে বেশ কিছু ফন্টের কোয়ালিটি খারাপ এবং নানা রকমের সমস্যা থাকলেও অনেক ফন্টই বেশ ভালো এবং ব্যবহার যোগ্য । তাই ফন্টগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না । ফন্টগুলির লাইসেন্সের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই তবে যে সিডি থেকে নেওয়া সেটি বিনামূল্যে বিতরন করা হয় । তাই কমার্শিয়াল ব্যবহারের ব্যাপারে সাবধান ।</span><br /><br /><span style="font-size:180%;"><a href="http://www.mediafire.com/?sharekey=8cdf445462c7e90f1f8e0fff488e27e08ea1ed0912b0d5f0bf1b77d2eb488dac">ডাউনলোড লিঙ্ক - ক্লিক করুন এখানে</a></span><br /><br />আরও জানুন:<br />http://ildc.gov.in<br />http://ildc.in<br />http://cdac.inUnknownnoreply@blogger.com13tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-24506460461584379932009-05-30T21:42:00.000+05:302009-05-30T21:44:38.918+05:30পাল্টা হাওয়া<span style="font-size:130%;">ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি দেওয়ালে কাস্তে হাতুড়ি তারা দেওয়া চিহ্ণ এবং লেখা সিপিআইএম প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করুন । আর তারপর সিপিআইএমই ভোটে জেতে । শুধু জেতে নয় বিপুল ভোটে জেতে । কি করে এভাবে বছরের পর বছর সিপিএম ভোটে জিতে আসে সেটা একটা রহস্য বলে মনে হত । কি লোকসভা কি বিধানসভা সবেতেই সিপিএমের জয়জয়কার । আমার শহরে ছোটবেলায় মনে আছে পৌরসভা কংগ্রেসের দখলে ছিল কিন্তু কিছু বছরের মধ্যেই সিপিএম সেটা দখল করল এবং শুধু দখল করা নয় তাকে তারা পরিণত করল বিরোধী শূন্য পৌরসভাতে । অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, লাইব্রেরী, পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ সবই সিপিএম বা বামফ্রন্টের দখলে । দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা বামফ্রন্টের বিকল্প শুধু উন্নততর বামফ্রন্ট ।<br /><br />কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের এই সাফল্যের কারন কি ? তারা কি পশ্চিমবঙ্গকে কোনো স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল যে তাতে মানুষ এত খুশি হয়ে দীর্ঘসময় ধরে তাদের বিপুল ভোটে জিতিয়ে ক্ষমতায় রেখে দিয়েছিল । বরং বলা যায় সিপিএমের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গের অবনতি বেশি হয়েছে । বহু কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে পার্টির ক্যাডার বসিয়ে সেগুলির সর্বনাশ করা হয়েছে । যেখানে সেখানে হকার বসিয়ে স্টেশন রাস্তাঘাটকে বাজারে পরিণত করা হয়েছে । প্রোমোটারদের বেআইনী নির্মানে সহযোগিতা করা হয়েছে । পরিবহনকে চূড়ান্ত অব্যবস্হার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠেছে দেশি মদ আর চুল্লুর ঠেক । কথায় কথায় রাস্তা অবরোধ আর বনধ । পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি জায়গা যেখানে সরকারী মদতে বনধ পালিত হয় । প্রশাসন সব দেখেও কানা মামা হয়ে বসে থাকে। যেসমস্ত সৎ পুলিশ আর সরকারী অফিসার কিছু কাজ করতে চেয়েছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।<br /><br />১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বামফ্রন্ট গ্রামাঞ্চলে কিছু কাজ করেছিল । কংগ্রেস ছিল বড়লোকদের দল । সেই সময়ে জমিদারদের কাছ থেকে জমি নিয়ে তারা সাধারন কৃষকদের ভিতরে কিছু বিলিবন্দোবস্ত করেছিল। এছাড়াও গ্রামের উন্নতিও তারা কিছুকিছু করেছিল বলে মনে করা হয় । এই অবস্থা ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত চলে । ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ায় প্রবল ইন্দিরা হাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ১৬টি লোকসভা আসনে বিজয়ী হয় । সেই সময়েই সিপিএমের টনক নড়ে । তারা বুঝতে পারে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে । তাই তারা নির্বাচন প্রক্রিয়াতে জল মেশাতে শুরু করে । তাদের জল মেশানো শুরুর হয় ভোটার তালিকা তৈরি থেকে । ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানো হয় । এছাড়া যারা সিপিএম বিরোধী তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া শুরু হয় । এরপর মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেওয়া, ভোটের সময়ে বুথজ্যামকরা এবং পুলিশ প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা । তার উপরে সর্বোপরি ছিল ফলস ভোট এবং ছাপ্পা ভোট দেওয়া । যে সমস্ত মানুষেরা বাইরে থাকার জন্য ভোট দিতে আসতে পারবেন না তাঁদের তালিকা তৈরি করে তাদের ভোট দিয়ে দেওয়া হত । বিভিন্ন বয়েসী ক্যাডাররা যাদের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই ছিল তারা এই কাজগুলি পেশাদারী দক্ষতায় সম্পন্ন করত । অনেকেই ভোট দিতে গিয়ে ফিরে আসতেন । তাঁদের বলা হত ‘ভোট পড়ে গেছে’ । এবং এখানেই শেষ নয় ভোট গণনার সময়েও তারা নানা রকম কারচুপি করতে থাকে ।<br /><br />যত দূরের গ্রাম হবে এই জালিয়াতির পরিমানও তত বেশি হবে । প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে দেখা যেত ভোট পড়ার হার সবচেয়ে বেশী । কারন এখানে ছাপ্পা ভোটের পরিমান সবচেয়ে বেশি হত । তাই কলকাতার কিছু কিছু জায়গায় সিপিএম ভোটে হারলেও জেলাগুলিতে তাদের জয়জয়কার সবসময়েই অক্ষুন্ন থাকত । তবে উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু জায়গা যেমন মালদায় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি থাকায় সেখানে কংগ্রেস বিজয়ী হত ।<br /><br />অবস্থা দেখে মনে হত সিপিএমকে হারানো মনে হয় সম্ভব নয় । তার উপরে বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদন্দ্ব নিয়েই ব্যস্ত । ফলে সিপিএমের পোয়াবারো । এত কিছুর পরেও কিছু সাধারন মানুষের সমর্থন তাদের সাথে ছিল সে কথা স্বীকার করতেই হবে । না হলে এতবড় সংগঠন চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব হত না । কিন্তু বহু বছর ক্ষমতায় দখলকরে রাখার পর তারা নৈতিক অধ:পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেছিল ।<br /><br />জ্যোতি বসু পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ করলেও তিনি দক্ষ রাজনীতিবিদ হওয়ার ফলে নানা ভাবে বহু সমস্যা পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন । অন্তত তাঁর রাজনৈতিক বুদ্ধির অভাব ছিল না । আর প্রশাসনকে দক্ষভাবে তিনি চালাতেও জানতেন । কিন্তু তাঁর অবসর নেওয়ার পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে সিপিএম নানা বিষয়ে নাস্তানাবুদ হতে থাকে । রিজওয়ানুর হত্যা মামলা, সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম বিষয়ে সরকার জোর ধাক্কা খায় । তাদের ধারনা ছিল মেকি শিল্পায়নের টোপ দেখিয়ে রাজ্যবাসীকে তারা বোকা বানাবে । কিন্তু যে রাজ্যে পঞ্চাশ হাজারের উপর ছোটবড় কারখানা বন্ধ সেখানে একটি দুটি নতুন কারখানার কলা দেখিয়ে যে নির্বাচনী বৈতরনী পার করা যাবে না তা তারা বুঝতে পারেনি ।<br />২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচনে অনেকের ধারনা ছিল জমি অধিগ্রহন বির্তকের ফলে গ্রামাঞ্চলে বামফ্রন্টের জনপ্রিয়তা কমেছে তাই হয়ত গ্রামের তাদের ফল খারাপ হবে কিন্তু শহরাঞ্চলের মানুষ যাঁদের কৃষিজমির উপর নির্ভরশীলতা কম তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের মা মাটি মানুষের আন্দোলনকে প্রত্যাখ্যান করবেন । কিন্তু লোকসভার ভোটের ফল বেরোতে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য গল্প । গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের ফল তো ভালোই আর শহরাঞ্চলে শুধু তাদেরই জয়জয়কার । কলকাতা এবং তার আশেপাশের প্রায় সমস্ত জায়গায় সিপিএম ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে । সিপিএম পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকে এত বড় ধাক্কা আর খায়নি । বহু আসনেই তারা বিপুল ভোটে পরাজিত । আর যে আসনগুলিতে তারা জিতেছে সেখানেও তাদের মার্জিন ব্যপকভাবে কমেছে । আর তারা যদি ভোটে জালিয়াতি না করত তাহলে তাদের ফল যে আরো খারাপ হত তাতে কোন সন্দেহ নেই ।<br /><br />এবারের ভোটে জেতার জন্য সিপিএমের নেতারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন । পাবলিসিটির প্লাবনে ভেসে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ । বড় বড় ফ্লেক্স হোর্ডিং-এ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল রাস্তাঘাট । উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের জয় হো হোর্ডিংগুলি সিপিএম পার্টি থেকেই সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল । কারন এখানে দল থেকে প্রার্থীকে বড় করে দেখানো হয়েছিল । কিন্তু পার্টির আপত্তি সত্ত্বেও হোর্ডিংগুলি খোলা হয়নি । এছাড়াও মহম্মদ সেলিমকে হনুমান মন্দিরে গিয়ে চরণমৃত সেবন করতেও দেখা যায় । তখনই বোঝা গিয়েছিল যে কমিউনিস্ট নাস্তিকদের তাদের আদর্শের প্রতি আর কোন বিশ্বাস নেই । যেকোন উপায়ে তাদের ক্ষমতা দখল করতেই হবে ।<br /><br />গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যদি কোন পার্টি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে (আমার মতে দশ বছর বা তার বেশি) তাহলে তাদের মধ্যে দুর্নীতি ঢুকতে বাধ্য । তাই সিপিএমের এই পরিণতি স্বাভাবিক । দুবছর পরে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ভোট । সেখানে হবে চূড়ান্ত পরীক্ষা । সিপিএম এবং বামফ্রন্টের অবস্থা যতই খারাপ হোক তারা অত সহজে যে হার মানবে না তা পরিষ্কার । আর বিরোধীদের পালে এখন হাওয়া । বত্রিশ বছরের মধ্যে এই প্রথম তারা বিধানসভায় জেতার স্বপ্ন দেখতে আরম্ভ করেছেন। আর অনেকেই স্বীকার করছেন যে সেটা সম্ভব । এটা অনেকটাই নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর । রাজনৈতিক অদূরদর্শীতার জন্য তিনি খ্যাত । কিন্তু এখন তিনিও অনেক পরিণত । কেন্দ্রীয় সরকারের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি রয়েছেন । এই মূহূর্তে তাঁর এবং তাঁর দলের ভালো কাজ তাঁকে আরো অনেকটাই এগিয়ে দিতে পারে ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com20tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-77597585574147141722009-04-26T23:19:00.004+05:302009-05-30T21:49:11.485+05:30সম্প্রতি যে যে সিনেমা দেখলাম<span style="font-size:130%;">১. <span style="font-weight: bold;">দ্য মোটরসাইকেল ডায়ারিজ</span><br />আর্জেন্টিনার ছবি । দুই বন্ধুর একসাথে দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশ ভ্রমনের কাহিনী । এবং ঘুরতে ঘুরতে তাদের জীবন পরিবর্তনের কাহিনী । অসাধারন ছবি । সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি কাদের নিয়ে তৈরি এখানে লিখছি না । দেখলে জানতে পারবেন ।<br /><br />২. <span style="font-weight: bold;">ওং বাক টু</span><br />থাইল্যান্ডের ছবি । টনি জা পরিচালিত এবং অভিনীত দারুন অ্যাকশন মুভি । ছবির গল্পটা খুব একটা জোরালো নয় তবে মার্শাল আর্টকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে । এত ভাল অ্যাকশন অন্য কোন ছবিতে দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না ।<br /><br />৩. <span style="font-weight: bold;">নাউহিয়ার ইন আফ্রিকা</span><br />জার্মান চলচ্চিত্র । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে এক ইহুদী পরিবারের জার্মানী থেকে পালিয়ে এসে কেনিয়াতে বসবাসের কাহিনী । অবশ্যই দেখা উচিত ।<br /><br />৪. <span style="font-weight: bold;">ডাউনফল</span><br />জার্মান চলচ্চিত্র । হিটলারের জীবনের শেষ কয়েকদিনের কাহিনী । অত্যন্ত যত্ন এবং রিসার্চের পর ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ।<br /><br />৫. <span style="font-weight: bold;">আন্ডারগ্রাউন্ড</span><br />সার্বো ক্রোয়েশিয়ান ছবি । দুই বন্ধুর কাহিনী যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু হয়ে নব্বইয়ের দশকে যুগোস্লাভিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত । পারস্পরিক বিশ্বাস অবিশ্বাস, প্রতারনার কাহিনী ।<br /><br />৬. <span style="font-weight: bold;">আমেলি</span><br />ফরাসি চলচ্চিত্র । এক ইন্ট্রোভার্ট মেয়ের কাহিনী যে অন্যদের জীবনকে বদলে দিতে চায় । অসাধারন মেকিং । দেখা দরকার ।<br /><br />৭. <span style="font-weight: bold;">দ্য হোয়াইট শেখ</span><br />ইটালিয়ান চলচ্চিত্র । পরিচালনা ফেলিনি । এটা ছিল ফেলিনি পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র । এক গোবেচারা স্বামীর গল্প যে তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে রোমে আসে তার আত্মীয়দের সাথে দেখা করানোর জন্য । কিন্তু তার আগেই তার বউ নিরুদ্দেশ হয় । স্বামী পড়ে বেজায় বিপদে । আত্মীয়দের কাছে আর মুখ দেখানোর জো থাকে না । ফেলিনির অসাধারন পরিচালনা আর কমেডি এই ছবির সম্পদ ।<br /><br />৮. <span style="font-weight: bold;">অবচোদ না করজে ইংরেজিতে দ্য শপ অন মেন স্ট্রীট </span><br />স্লোভাক ছবি । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইহুদী উৎখাতের মর্মস্পর্শী কাহিনী ।<br /><br />৯. <span style="font-weight: bold;">সিটি অফ গড</span><br />ব্রাজিলিয়ান চলচ্চিত্র । রিও ডি জেনিরোর কাছেই এক বস্তির ভয়াবহ কাহিনী । সেখানকার বাচ্চারা ছোট থেকেই খুন খারাপিতে মেতে ওটে । ড্রাগ ব্যবসা সহ বহু অপরাধ সংগঠিত হয় আর চলে গ্যাং ওয়ার । এর মধ্যেই এক ফটোগ্রাফারের বেড়ে ওঠা । সিনেমা কিভাবে বাস্তবকে আঁকড়ে ধরতে পারে এই ছবি তার প্রমান ।<br /><br />১০. <span style="font-weight: bold;">দ্য ভার্জিন স্প্রিং</span><br />ইংমার বার্গম্যান পরিচালিত ১৯৬০ সালের সুইডিশ ছবি । বার্গম্যানের ঈশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাসের টানাপোড়েন নিয়ে অন্যতম চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি ।<br /><br />১১. <span style="font-weight: bold;">দ্য কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন</span><br />আমেরিকান চলচ্চিত্র । তেরোটি একাডেমি অ্যওয়ার্ডের নমিনেশন পেয়ে মাত্র তিনটি সাধারন বিভাগে জিততে পেরেছে । আমার দেখা অন্যতম সেরা ছবি । ব্র্যাড পিটের অভিনয় অসাধারন । জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন তিনি । এই ছবিটি এমন একজন মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে যার জীবন উলটোদিকে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ বৃদ্ধত্ব থেকে শৈশবের দিকে । যাঁরা ফরেস্ট গাম্পের মত ছবি ভালবাসেন তাঁদের অবশ্যই দেখতে হবে এই ছবি ।<br /><br />১২. <span style="font-weight: bold;">গুডবাই লেনিন!</span><br />জার্মান চলচ্চিত্র । পূর্ব জার্মানির পতন এবং তারই সাথে জড়িয়ে যায় এক পরিবারের জীবনকাহিনী । নব্বই দশকের শুরুতে কমিউনিস্ট আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধ এক মার কোমায় থাকার সময়ে পতন ঘটে কমিউনিজমের । তার জ্ঞান ফেরার পরে তার ছেলেমেয়েরা তাকে জানতে দিতে চায়না দেশের প্রকৃত অবস্থা । কারন তাতে তাদের মার শক পেয়ে মৃত্যু হতে পারে । আশির দশকের শেষে সারা পৃথিবীব্যাপী কমিউনিজমের পতনের অন্যতম দলিল এই ছবি ।<br /></span>Unknownnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-17809492879738137372008-11-14T23:20:00.001+05:302008-11-14T23:23:45.839+05:30বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা<span style="font-size:130%;"><br />যুক্তবর্ণ বলতে একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। বাংলা লিখনপদ্ধতিতে যুক্তবর্ণের একটি বিশেষ স্থান আছে। এগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপাদান বর্ণগুলির চেয়ে দেখতে ভিন্ন, ফলে নতুন শিক্ষার্থীর এগুলি লেখা আয়ত্ত করতে সময়ের প্রয়োজন হয়।<br /><br />যুক্তবর্ণগুলি বাংলা লিখন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য। উচ্চারিত ধ্বনির সাথে এগুলির উপাদান ব্যঞ্জনবর্ণের নির্দেশিত ধ্বনির সবসময় সরাসরি সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। যেমন - পক্ব -এর উচ্চারণ পক্কো; বানানে ব-ফলা থাকলেও উচ্চারণে ব ধ্বনিটি অনুপস্থিত। রুক্ষ-এর উচ্চারণ রুক্খো; বানানের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষ যুক্তবর্ণটি ক ও ষ-এর যুক্তরূপ হলেও উচ্চারণ হয় ক্খ। বানান ও ধ্বনির এই অনিয়মও শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তবর্ণের সঠিক ব্যবহারে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।<br /><br />নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।<br /><br /><br /><br /><br /> 1. ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা<br /> 2. ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 3. ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়<br /> 4. ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত<br /> 5. ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র<br /> 6. ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ<br /> 7. ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী<br /> 8. ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য<br /> 9. ক্র = ক + র; যেমন- চক্র<br /> 10. ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি<br /> 11. ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ<br /> 12. ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ<br /> 13. ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু<br /> 14. ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী<br /> 15. ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য<br /> 16. ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য<br /> 17. ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স<br /> 18. খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য<br /> 19. খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান<br /> 20. গ্ণ = গ + ণ; যেমন - রুগ্ণ<br /> 21. গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ<br /> 22. গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য<br /> 23. গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী<br /> 24. গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন<br /> 25. গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়<br /> 26. গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী<br /> 27. গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম<br /> 28. গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য<br /> 29. গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম<br /> 30. গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট<br /> 31. গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি<br /> 32. ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন<br /> 33. ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য<br /> 34. ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ<br /> 35. ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক<br /> 36. ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি<br /> 37. ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য<br /> 38. ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা<br /> 39. ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ<br /> 40. ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ<br /> 41. ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি<br /> 42. ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ<br /> 43. ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য<br /> 44. ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি<br /> 45. ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়<br /> 46. চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা<br /> 47. চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা<br /> 48. চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস<br /> 49. চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়<br /> 50. চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা<br /> 51. চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী<br /> 52. চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য<br /> 53. জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক<br /> 54. জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল<br /> 55. জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা<br /> 56. জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান<br /> 57. জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর<br /> 58. জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য<br /> 59. জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র<br /> 60. ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল<br /> 61. ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা<br /> 62. ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ<br /> 63. ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা<br /> 64. ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম<br /> 65. ট্ব = ট + ব; যেমন- খট্বা<br /> 66. ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল<br /> 67. ট্য = ট + য; যেমন- নাট্য<br /> 68. ট্র = ট + র; যেমন- ট্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 69. ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা<br /> 70. ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান<br /> 71. ড্য = ড + য; যেমন- জাড্য<br /> 72. ড্র = ড + র; যেমন- ড্রাইভার, ড্রাম (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 73. ড়্গ = ড় + গ; যেমন- খড়্গ<br /> 74. ঢ্য = ঢ + য; যেমন- ধনাঢ্য<br /> 75. ঢ্র = ঢ + র; যেমন- মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল)<br /> 76. ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা<br /> 77. ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ<br /> 78. ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য<br /> 79. ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল<br /> 80. ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য<br /> 81. ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র<br /> 82. ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ<br /> 83. ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ<br /> 84. ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর<br /> 85. ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়<br /> 86. ণ্য = ণ + য; যেমন- পূণ্য<br /> 87. ৎক = ত + ক; যেমন- উৎকট<br /> 88. ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর<br /> 89. ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব<br /> 90. ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত<br /> 91. ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ<br /> 92. ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন<br /> 93. ত্ব = ত + ব; যেমন- রাজত্ব<br /> 94. ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা<br /> 95. ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য<br /> 96. ত্য = ত + য; যেমন- সত্য<br /> 97. ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ<br /> 98. ত্র্য = ত + র + য; যেমন- বৈচিত্র্য<br /> 99. ৎল = ত + ল; যেমন- কাৎলা<br /> 100. ৎস = ত + স; যেমন- বৎসর, উৎসব<br /> 101. থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী<br /> 102. থ্য = থ + য; যেমন- পথ্য<br /> 103. থ্র = থ + র; যেমন- থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 104. দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম<br /> 105. দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন- উদ্ঘাটন<br /> 106. দ্দ = দ + দ; যেমন- উদ্দেশ্য<br /> 107. দ্দ্ব = দ + দ + ব; যেমন- তদ্দ্বারা<br /> 108. দ্ধ = দ + ধ; যেমন- রুদ্ধ<br /> 109. দ্ব = দ + ব; যেমন- বিদ্বান<br /> 110. দ্ভ = দ + ভ; যেমন- অদ্ভুত<br /> 111. দ্ভ্র = দ + ভ + র; যেমন- উদ্ভ্রান্ত<br /> 112. দ্ম = দ + ম; যেমন- ছদ্ম<br /> 113. দ্য = দ + য; যেমন- বাদ্য<br /> 114. দ্র = দ + র; যেমন- রুদ্র<br /> 115. দ্র্য = দ + র + য; যেমন- দারিদ্র্য<br /> 116. ধ্ন = ধ + ন; যেমন- অর্থগৃধ্নু<br /> 117. ধ্ব = ধ + ব; যেমন- ধ্বনি<br /> 118. ধ্ম = ধ + ম; যেমন- উদরাধ্মান<br /> 119. ধ্য = ধ + য; যেমন- আরাধ্য<br /> 120. ধ্র = ধ + র; যেমন- ধ্রুব<br /> 121. ন্ট = ন + ট; যেমন- প্যান্ট (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 122. ন্ট্র = ন + ট + র; যেমন- কন্ট্রোল (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 123. ন্ঠ = ন + ঠ; যেমন- লন্ঠন<br /> 124. ন্ড = ন + ড; যেমন- গন্ডার, পাউন্ড<br /> 125. ন্ড্র = ন + ড + র; যেমন- হান্ড্রেড<br /> 126. ন্ত = ন + ত; যেমন- জীবন্ত<br /> 127. ন্ত্ব = ন + ত + ব; যেমন- সান্ত্বনা<br /> 128. ন্ত্য = ন + ত + য; যেমন- অন্ত্য<br /> 129. ন্ত্র = ন + ত + র; যেমন- মন্ত্র<br /> 130. ন্ত্র্য = ন + ত + র + য; যেমন- স্বাতন্ত্র্য<br /> 131. ন্থ = ন + থ; যেমন- গ্রন্থ<br /> 132. ন্থ্র = ন + থ + র; যেমন- অ্যান্থ্রাক্স (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 133. ন্দ = ন + দ; যেমন- ছন্দ<br /> 134. ন্দ্য = ন + দ + য; যেমন- অনিন্দ্য<br /> 135. ন্দ্ব = ন + দ + ব; যেমন- দ্বন্দ্ব<br /> 136. ন্দ্র = ন + দ + র; যেমন- কেন্দ্র<br /> 137. ন্ধ = ন + ধ; যেমন- অন্ধ<br /> 138. ন্ধ্য = ন + ধ + য; যেমন- বিন্ধ্য<br /> 139. ন্ধ্র = ন + ধ + র; যেমন- রন্ধ্র<br /> 140. ন্ন = ন + ন; যেমন- নবান্ন<br /> 141. ন্ব = ন + ব; যেমন- ধন্বন্তরি<br /> 142. ন্ম = ন + ম; যেমন- চিন্ময়<br /> 143. ন্য = ন + য; যেমন- ধন্য<br /> 144. প্ট = প + ট; যেমন- পাটি-সাপ্টা, ক্যাপ্টেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 145. প্ত = প + ত; যেমন- সুপ্ত<br /> 146. প্ন = প + ন; যেমন- স্বপ্ন<br /> 147. প্প = প + প; যেমন- ধাপ্পা<br /> 148. প্য = প + য; যেমন- প্রাপ্য<br /> 149. প্র = প + র; যেমন- ক্ষিপ্র<br /> 150. প্র্য = প + র + য; যেমন- প্র্যাকটিস (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 151. প্ল = প + ল; যেমন-আপ্লুত<br /> 152. প্স = প + স; যেমন- লিপ্সা<br /> 153. ফ্র = ফ + র; যেমন- ফ্রক, ফ্রিজ, আফ্রিকা, রেফ্রিজারেটর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 154. ফ্ল = ফ + ল; যেমন- ফ্লেভার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 155. ব্জ = ব + জ; যেমন- ন্যুব্জ<br /> 156. ব্দ = ব + দ; যেমন- জব্দ<br /> 157. ব্ধ = ব + ধ; যেমন- লব্ধ<br /> 158. ব্ব = ব + ব; যেমন- ডাব্বা<br /> 159. ব্য = ব + য; যেমন- দাতব্য<br /> 160. ব্র = ব + র; যেমন- ব্রাহ্মণ<br /> 161. ব্ল = ব + ল; যেমন- ব্লাউজ<br /> 162. ভ্ব =ভ + ব; যেমন- ভ্বা<br /> 163. ভ্য = ভ + য; যেমন- সভ্য<br /> 164. ভ্র = ভ + র; যেমন- শুভ্র<br /> 165. ম্ন = ম + ন; যেমন- নিম্ন<br /> 166. ম্প = ম + প; যেমন- কম্প<br /> 167. ম্প্র = ম + প + র; যেমন- সম্প্রতি<br /> 168. ম্ফ = ম + ফ; যেমন- লম্ফ<br /> 169. ম্ব = ম + ব; যেমন- প্রতিবিম্ব<br /> 170. ম্ব্র = ম + ব + র; যেমন- মেম্ব্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 171. ম্ভ = ম + ভ; যেমন- দম্ভ<br /> 172. ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন- সম্ভ্রম<br /> 173. ম্ম = ম + ম; যেমন- সম্মান<br /> 174. ম্য = ম + য; যেমন- গ্রাম্য<br /> 175. ম্র = ম + র; যেমন- নম্র<br /> 176. ম্ল = ম + ল; যেমন- অম্ল<br /> 177. য্য = য + য; যেমন- ন্যায্য<br /> 178. র্ক = র + ক; যেমন - তর্ক<br /> 179. র্ক্য = র + ক + য; যেমন- অতর্ক্য (তর্ক দিয়ে যার সমাধান হয় না)<br /> 180. র্গ্য = র + গ + য; যেমন - বর্গ্য (বর্গসম্বন্ধীয়)<br /> 181. র্ঘ্য = র + ঘ + য; যেমন- দৈর্ঘ্য<br /> 182. র্চ্য = র + চ + য; যেমন- অর্চ্য (পূজনীয়)<br /> 183. র্জ্য = র + জ + য; যেমন- বর্জ্য<br /> 184. র্ণ্য = র + ণ + য; যেমন- বৈবর্ণ্য (বিবর্ণতা)<br /> 185. র্ত্য = র + ত + য; যেমন- মর্ত্য<br /> 186. র্থ্য = র + থ + য; যেমন- সামর্থ্য<br /> 187. র্ব্য = র + ব + য; যেমন- নৈর্ব্যক্তিক<br /> 188. র্ম্য = র + ম + য; যেমন- নৈষ্কর্ম্য<br /> 189. র্শ্য = র + শ + য; যেমন- অস্পর্শ্য<br /> 190. র্ষ্য = র + ষ + য; যেমন- ঔৎকর্ষ্য<br /> 191. র্হ্য = র + হ + য; যেমন- গর্হ্য<br /> 192. র্খ = র + খ; যেমন- মূর্খ<br /> 193. র্গ = র + গ; যেমন- দুর্গ<br /> 194. র্গ্র = র + গ + র; যেমন- দুর্গ্রহ, নির্গ্রন্হ<br /> 195. র্ঘ = র + ঘ; যেমন- দীর্ঘ<br /> 196. র্চ = র + চ; যেমন- অর্চনা<br /> 197. র্ছ = র + ছ; যেমন- মূর্ছনা<br /> 198. র্জ = র + জ; যেমন- অর্জন<br /> 199. র্ঝ = র + ঝ; যেমন- নির্ঝর<br /> 200. র্ট = র + ট; যেমন- আর্ট, কোর্ট, কম্ফর্টার, শার্ট, কার্টিজ, আর্টিস্ট, পোর্টম্যানটো, সার্টিফিকেট, কনসার্ট, কার্টুন, কোয়ার্টার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 201. র্ড = র + ড; যেমন- অর্ডার, লর্ড, বর্ডার, কার্ড (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 202. র্ণ = র + ণ; যেমন- বর্ণ<br /> 203. র্ত = র + ত; যেমন- ক্ষুধার্ত<br /> 204. র্ত্র = র + ত + র; যেমন- কর্ত্রী<br /> 205. র্থ = র + থ; যেমন- অর্থ<br /> 206. র্দ = র + দ; যেমন- নির্দয়<br /> 207. র্দ্ব = র + দ + ব; যেমন- নির্দ্বিধা<br /> 208. র্দ্র = র + দ + র; যেমন- আর্দ্র<br /> 209. র্ধ = র + ধ; যেমন- গোলার্ধ<br /> 210. র্ধ্ব = র + ধ + ব; যেমন- ঊর্ধ্ব<br /> 211. র্ন = র + ন; যেমন- দুর্নাম<br /> 212. র্প = র + প; যেমন- দর্প<br /> 213. র্ফ = র + ফ; যেমন- স্কার্ফ (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 214. র্ভ = র + ভ; যেমন- গর্ভ<br /> 215. র্ম = র + ম; যেমন- ধর্ম<br /> 216. র্য = র + য; যেমন- আর্য<br /> 217. র্ল = র + ল; যেমন- দুর্লভ<br /> 218. র্শ = র + শ; যেমন- স্পর্শ<br /> 219. র্শ্ব = র+ শ + ব; যেমন- পার্শ্ব<br /> 220. র্ষ = র + ষ; যেমন- ঘর্ষণ<br /> 221. র্স = র + স; যেমন- জার্সি, নার্স, পার্সেল, কুর্সি (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 222. র্হ = র + হ; যেমন- গার্হস্থ্য<br /> 223. র্ঢ্য = র + ঢ + য; যেমন- দার্ঢ্য (অর্থাৎ দৃঢ়তা)<br /> 224. ল্ক = ল + ক; যেমন- শুল্ক<br /> 225. ল্ক্য = ল + ক + য; যেমন- যাজ্ঞবল্ক্য<br /> 226. ল্গ = ল + গ; যেমন- বল্গা<br /> 227. ল্ট = ল + ট; যেমন- উল্টো<br /> 228. ল্ড = ল + ড; যেমন- ফিল্ডিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 229. ল্প = ল + প; যেমন- বিকল্প<br /> 230. ল্ফ = ল + ফ; যেমন- গল্ফ (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 231. ল্ব = ল + ব; যেমন- বিল্ব, বাল্ব<br /> 232. ল্ভ = ল + ভ; যেমন- প্রগল্ভ<br /> 233. ল্ম = ল + ম; যেমন- গুল্ম<br /> 234. ল্য = ল + য; যেমন- তারল্য<br /> 235. ল্ল = ল + ল; যেমন- উল্লাস<br /> 236. শ্চ = শ + চ; যেমন- পুনশ্চ<br /> 237. শ্ছ = শ + ছ; যেমন- শিরশ্ছেদ<br /> 238. শ্ন = শ + ন; যেমন- প্রশ্ন<br /> 239. শ্ব = শ + ব; যেমন- বিশ্ব<br /> 240. শ্ম = শ + ম; যেমন- জীবাশ্ম<br /> 241. শ্য = শ + য; যেমন- অবশ্য<br /> 242. শ্র = শ + র; যেমন- মিশ্র<br /> 243. শ্ল = শ + ল; যেমন- অশ্লীল<br /> 244. ষ্ক = ষ + ক; যেমন- শুষ্ক<br /> 245. ষ্ক্র = ষ + ক + র; যেমন- নিষ্ক্রিয়<br /> 246. ষ্ট = ষ + ট; যেমন- কষ্ট<br /> 247. ষ্ট্য = ষ + ট + য; যেমন- বৈশিষ্ট্য<br /> 248. ষ্ট্র = ষ + ট + র; যেমন- রাষ্ট্র<br /> 249. ষ্ঠ = ষ + ঠ; যেমন- শ্রেষ্ঠ<br /> 250. ষ্ঠ্য = ষ + ঠ + য; যেমন- নিষ্ঠ্যূত<br /> 251. ষ্ণ = ষ + ণ; যেমন- কৃষ্ণ<br /> 252. ষ্প = ষ + প; যেমন- নিষ্পাপ<br /> 253. ষ্প্র = ষ + প + র; যেমন- নিষ্প্রয়োজন<br /> 254. ষ্ফ = ষ + ফ; যেমন- নিষ্ফল<br /> 255. ষ্ব = ষ + ব; যেমন- মাতৃষ্বসা<br /> 256. ষ্ম = ষ + ম; যেমন- উষ্ম<br /> 257. ষ্য = ষ + য; যেমন- শিষ্য<br /> 258. স্ক = স + ক; যেমন- মনোস্কামনা<br /> 259. স্ক্র = স + ক্র; যেমন- ইস্ক্রু (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 260. স্খ = স + খ; যেমন- স্খলন<br /> 261. স্ট = স + ট; যেমন- স্টেশন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 262. স্ট্র = স + ট্র; যেমন- স্ট্রাইক (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 263. স্ত = স + ত; যেমন- ব্যস্ত<br /> 264. স্ত্ব = স + ত + ব; যেমন- বহিস্ত্বক<br /> 265. স্ত্য = স + ত + য; যেমন-অস্ত্যর্থ<br /> 266. স্ত্র = স + ত + র; যেমন- স্ত্রী<br /> 267. স্থ = স + থ; যেমন- দুঃস্থ<br /> 268. স্থ্য = স + থ + য; যেমন- স্বাস্থ্য<br /> 269. স্ন = স + ন; যেমন- স্নান<br /> 270. স্প = স + প; যেমন- আস্পর্ধা<br /> 271. স্প্র = স + প +র; যেমন- স্প্রিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 272. স্প্ল = স + প + ল; যেমন- স্প্লিন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)<br /> 273. স্ফ = স + ফ; যেমন- আস্ফালন<br /> 274. স্ব = স + ব; যেমন- স্বর<br /> 275. স্ম = স + ম; যেমন- স্মরণ<br /> 276. স্য = স + য; যেমন- শস্য<br /> 277. স্র = স + র; যেমন- অজস্র<br /> 278. স্ল = স + ল; যেমন- স্লোগান<br /> 279. হ্ণ = হ + ণ; যেমন- অপরাহ্ণ<br /> 280. হ্ন = হ + ন; যেমন- চিহ্ন<br /> 281. হ্ব = হ + ব; যেমন- আহ্বান<br /> 282. হ্ম = হ + ম; যেমন- ব্রাহ্মণ<br /> 283. হ্য = হ + য; যেমন- বাহ্য<br /> 284. হ্র = হ + র; যেমন- হ্রদ<br /> 285. হ্ল = হ + ল; যেমন- আহ্লাদ<br /><br /><br />মন্তব্য<br /><br />১) র্য-কে যুক্তবর্ণ ধরা হয়েছে, কেননা এটি র ও য-এর সমষ্টি। অন্যদিকে র্যাব, র্যাম, র্যাঁদা, ইত্যাদিতে উপস্থিত র্য-কে যুক্তবর্ণ হিসেবে ধরা হয়নি, কেননা এটি আসলে র্যা-এর অংশ, আর র্যা হল র ব্যঞ্জনধ্বনি এবং অ্যা স্বরধ্বনির মিলিত রূপ।<br /></span>Unknownnoreply@blogger.com9tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-3377556579794255182008-10-24T22:53:00.002+05:302008-10-24T22:58:31.341+05:30আই অ্যাম লিজেন্ড<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXffJIHTlV1V0fVkxxrfd13oL_tsJHI-BtmlnC00f4LdtXsicEQVWIf2XtsjpecEovuwqCStktyxVA_MkqSY1hHvAl8LdzW5DFEPvDb-aGJCZXVWrGBkpRuzZdCgTD1KfyCwDF/s1600-h/200px-I_am_legend_teaser.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer; width: 200px; height: 296px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXffJIHTlV1V0fVkxxrfd13oL_tsJHI-BtmlnC00f4LdtXsicEQVWIf2XtsjpecEovuwqCStktyxVA_MkqSY1hHvAl8LdzW5DFEPvDb-aGJCZXVWrGBkpRuzZdCgTD1KfyCwDF/s320/200px-I_am_legend_teaser.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5260773436156867810" border="0" /></a><br /><span style="font-size:130%;"><br /><br />সম্প্রতি আই অ্যাম লিজেন্ড ছবিটি দেখার সুযোগ হল । ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি দেখে বেশ ভালো লেগেছে বলতে হবে । মুখ্য ভূমিকায় উইল স্মিথের অভিনয় যথাযথ ।<br /><br />সিনেমাটির শুরুতে দেখানো হয় টিভিতে ইন্টারভিউতে এক বিজ্ঞানী বলছেন যে তিনি ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন এবং এতে সাফল্যের পরিমান একশো শতাংশ । তারপরেই তিন বছর বাদের নিউইয়র্ক শহর দেখানো হয় । পুরোপুরি ফাঁকা এক নিস্তব্ধ শহর । রাস্তা জুড়ে গাড়ির সারি কোথাও কোনো জনপ্রানীর চিহ্ণ নেই । শহরের বুকে ছুটে বেড়াচ্ছে হরিণের দল । আর তাদের তাড়া করে ফিরছে সিংহ । পুরো শহরে একজন মাত্র সুস্থ জীবিত মানুষ রবার্ট নেভিল (উইল স্মিথ) । তার একমাত্র সঙ্গী তার পোষা অ্যালসেসিয়ান কুকুরটি ।<br /><br />ক্যান্সারের প্রতিষেধক বলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিঙের সাহায্যে যে ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছিল তার সংক্রমনের ফলে পৃথিবীর নব্বই শতাংশ মানুষ আগেই মৃত । আর যে মানুষেরা সংক্রমিত হয়ে মারা যায়নি তারা পরিণত হয়েছে ভয়ানক জম্বি রাক্ষসে । এর বাইরে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই বেঁচে আছে ।<br />এর পর কিভাবে সিনেমার নায়ক বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হবে এবং অবশেষে এই ভয়ানক ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করবে তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প ।<br /><br />অ্যাপোক্যালিপ্টিক থিম নিয়ে এর মধ্যে অনেকগুলি ছবিই দেখা হয়েছে । যেমন টুয়েন্টি এইট ডেজ ল্যাটার, টুয়েন্টি এইট উইকস ল্যাটার, ডুমসডে, প্রভৃতি এগুলির মধ্যে আই অ্যাম লিজেন্ড ছবিটিকেই সব থেকে ভালো বলে মনে হল । স্পেশাল এফেক্টের সাহায্যে যেভাবে ফাঁকা নিউইয়র্ক শহর দেখানো হয়েছে তা প্রশংসা যোগ্য । তবে টুয়েন্টি এইট উইকস ল্যাটার ছবিতে এরকমই ফাঁকা লণ্ডন শহরে দেখানো হয়েছিল যেটাও বেশ ভালো লেগেছিল ।<br /><br />সিনেমাটির রেটিং এ দশে সাত দেওয়া যেতেই পারে ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-84692859794230488592008-10-02T00:27:00.000+05:302008-10-02T00:29:26.563+05:30ইন্টারনেটের নানা কথা ।<span style="font-size:130%;">গুগুলের সবই ভালো কিন্তু কিছু কিছু বিষয় কেন যে তারা পরিবর্তন করছে না বোঝা যায় না । যেমন অর্কুটে কেউ যদি স্ক্র্যাপ করে তাহলে ইমেলে নোটিফিকেশন আসে কিন্তু ইচ্ছা করলেই তারা ইমেলে পুরো স্ক্র্যাপটাই পাঠিয়ে দিতে পারে কিন্তু তা দিচ্ছে না । মানে অর্কুটে লগ-ইন না করলে আমি আমার স্ক্র্যাপ পড়তে পারব না ।<br /><br />আমার কোনোদিনই কোন হটমেল ইমেল আইডি ছিল না । সম্প্রতি একটা তৈরি করলাম । তারপর ভাবলাম এখানের সব মেল আমার জিমেলে অটো ফরোয়ার্ড করে দিই । কিন্তু করতে গিয়ে দেখলাম হটমেল থেকে কেবল অন্য কোন হটমেল অ্যাকাউন্টেই সব মেল অটো ফরোয়ার্ড করা যায় । অন্যকোন ইমেল প্রোভাইডারে ইমেল ফরোয়ার্ড করা যায় না । ফলে আমার জিমেল-এ ফরোয়ার্ড করা গেল না । কিন্তু আমার জিমেল আইডি থেকে সব মেল আমার অন্য একটি ইয়াহু অ্যাকাউন্টে ফরোয়ার্ড করা আছে । তাই আমি ইয়াহু থেকেও আমার মূল জিমেল অ্যাকাউন্টের সব মেল দেখতে পারি । এখানেই বোঝা যায় গুগুলের সাথে মাইক্রোসফটের পার্থক্য কোথায় ।<br /><br />গুগুলের আয়ের অনেকটাই আসে অনলাইন অ্যাডের মাধ্যমে কিন্তু তারা অ্যাড দেবার সময় ব্যবহারকারীর সুবিধা অসুবিধাগুলি খেয়াল রাখে । মানে তাদের অ্যাডে কোন ছবি বা অ্যানিমেশন থাকে না । শুধু টেক্সট অ্যাড থাকে । ফলে তা ব্যবহারকারীর কাছে কোন বিরক্তিকর জিনিস হয়ে দাঁড়ায় না । তুলনায় দেখা যায় ইয়াহু বা রেডিফের মেলবক্স খুললেই তাতে রংচঙে অ্যাডের ছড়াছড়ি । যা আমার বিশ্রী লাগে । আর এগুলো বেশ কিছুটা ব্যান্ডউইথও খায় । আবার ইয়াহু চ্যাট বা এমএসএন চ্যাট খুললেই মুখের সামনে ধড়াম করে বড় একটা বিজ্ঞাপন খুলে যায় । কাজের সময়ে যা একটা ফালতু উপদ্রব । কিন্তু জিটকে লগ ইন করলে এরকম কোন বিজ্ঞাপন খোলে না । বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে গুগুলের নীতি আমার খুবই পছন্দের ।<br /><br />সম্প্রতি কয়েকদিন অন্য সবায়ের মত আমিও গুগুল ক্রোম ব্যবহার করে দেখলাম । সুন্দর ডিজাইন আর বেশ তাড়াতাড়ি চলে । কিন্তু তবুও ফায়ারফক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আসতে বহু দেরি আছে । ফায়ারফক্সের এত ভাল ভাল এক্সটেনশন আছে যে সেগুলো ছাড়া আমার তো চলেই না । গুগুল যদি সেরকম এক্সটেনশন বের করতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত আরো বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে । তবে উইনডোজ ভার্সনে নতুন সাফারি ব্রাউজারটিও খারাপ নয় । এটিও দৌড়ে আছে । ব্রাউজার যুদ্ধ ভবিষ্যতে যে আরো জমে উঠবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।<br /><br /><br /><br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-70191721523186295652008-09-29T23:54:00.003+05:302008-09-29T23:59:32.742+05:30কিল আইই সিক্স<span style="font-size:130%;">একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে সবথেকে যন্ত্রনা হল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬ তে ওয়েবসাইট ঠিকঠাক বানানো । একা এই ব্রাউজারটি যে ইন্টারনেটকে কতটা পিছনে টেনে রাখছে সেকথা আর বলার নয় । কখনো কখনো রাগে চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করে এই দেখে যে আমার ডিজাইন করা সাইট এইচটিএমএল, সিএসএস লেআউট বানানোর পর সব ব্রাউজারে ভালো ভাবে চলছে কিন্তু আইই ৬তে খোলার পরেই নানা রকমের গণ্ডোগোল চোখে পড়ছে । আর সেগুলিকে ঠিক ঠাক করতে কত ঘন্টা কাজ যে বেশি করতে হচ্ছে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই ।<br /><br />নানা রকম বাগে ভরা এই বাজে অথচ চরম জনপ্রিয় সফটওয়্যারটি এখনও সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষই ব্যবহার করেন । তাই একে উপেক্ষা করা সম্ভব নয় । সাইট বানানো হলে সেটা ফায়ারফক্স, অপেরা, সাফারি, গুগুল ক্রোম প্রভৃতি সব ব্রাউজারেই টেস্ট করা হয় । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন সমস্যা হলে সেগুলি এই ব্রাউজারগুলিতে ধরা পড়ে । কিন্তু আইই ৬ তে যে সমস্যা গুলি তৈরি হয় তার বেশির ভাগই অন্য কোন ব্রাউজারে হয় না । এই সমস্যাগুলির কারন হচ্ছে কোডের মধ্যে বাগ আর কিছু কিছু ব্যাপারে মাইক্রোসফটের একগুঁয়েমি । আইই ৬ এর বেশ কিছু সমস্যা আইই ৭ এ ঠিক করা হয়েছে কিন্তু মুশকিল হল অনেকই আইই ৬ থেকে ৭ এ আপগ্রেড করেন না । আর আরো একটা মুশকিল হল উইনডোজ এক্সপির ডিফল্ট ব্রাউজার হল আইই ৬ । তাই যখনই কেউ কম্পিউটারে নতুন করে উইনডোজ এক্সপি লোড করেন তখনই আবার আইই ৬ ইন্সস্টল হয়ে যায় ।<br /><br />আইই ৬তে ট্যাব ব্রাউজিং সহ আধুনিক ইন্টারনেট সার্ফিঙের কোন সুযোগসুবিধাই নেই বললে চলে । তার উপর খুব সাধারন কয়েকটি বৈশিষ্ট্য যেমন সেমি ট্রান্সপারেন্ট পিএনজি ছবির ব্যবহার করা যায় না । (আইই ৬তে সেমি ট্রান্সপারেন্ট পিএনজি ব্যবহার করা সম্ভব । কিন্তু তার জন্য অনেক জটিল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় যার কিছু নিজস্ব অসুবিধা আছে । ) অথচ অনেক ছোট কম্পানির ব্রাউজারগুলিতে এই সুযোগ সুবিধা অনেকদিন থেকেই আছে । উইনডোজ এক্সপি বেরিয়েছিল ২০০১ সালের অক্টোবরে তার মানে আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে । এই সাত বছর আগের পুরনো একটা ফালতু ব্রাউজারকে কিছুতেই ঝেড়ে ফেলা যাচ্ছে না । এবং যতদিন উইনডোজ এক্সপির ব্যবহার থাকবে একে নিয়েই আমাদের চলতে হবে । কিন্তু যত তাড়াতাড়ি এই ব্রাউজারের মৃত্যু ঘটে ততই আমাদের পক্ষে মঙ্গল ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-87429269428300502232008-06-18T19:26:00.005+05:302008-06-18T19:34:39.677+05:30অসাধারন একটি বাউল গান<span style="font-size:130%;">ইউটিউব ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎই নজরে পড়ল এই গানটি <span>।</span> দেখুন তো আপনাদের কেমন লাগে <span>।</span></span><br /><div style="text-align: center; margin-left: auto; margin-right: auto;"><br /><object width="425" height="344"><param name="movie" value="http://www.youtube.com/v/5PRFdKredT0&hl=en"><embed src="http://www.youtube.com/v/5PRFdKredT0&hl=en" type="application/x-shockwave-flash" width="425" height="344"></embed></object></div>Unknownnoreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-67390027013229973552008-06-01T23:44:00.000+05:302008-06-01T23:45:27.011+05:30জিমেল এখন বাংলায়<span style="font-size:130%;">অনেকদিন আগে থেকেই ইউনিকোড বাংলায় জিমেলে লেখা যেত এবং মেল ফরোয়ার্ড করা যেত । এখন জিমেলের ইন্টারফেসও ইচ্ছা করলে বাংলায় পরিবর্তন করে নেওয়া যেতে পারে । আঞ্চলিক ভাষায় কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য এটা একটা বড় পদক্ষেপ ।<br /><br />জি মেলের বাংলা ইন্টারফেস আনার জন্য যা করতে হবে ।<br /><br />১. অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে ইউনিকোড বাংলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে । এবং কমপক্ষে একটি বাংলা ইউনিকোড ফন্ট কম্পিউটারে ইনস্টল করা থাকতে হবে ।<br />২. জিমেলে ঢুকে ডানদিকে উপরে সেটিংস ট্যাবে চলে যান ।<br />৩.এবার দেখুন সেটিংসের প্রথম অপশনই হল ল্যাঙ্গুয়েজ অপশন । এখানে ড্রপডাউনে ভাষা বাংলা করে দিন ।<br />৪. তারপর পাতার নিচে গিয়ে সেভ চেঞ্জেস করুন ।<br /><br />দেখুন এবার আপনার জিমেল বাংলায় হয়ে গেছে ।<br /></span>Unknownnoreply@blogger.com15tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-47242796901555982232008-05-31T22:49:00.002+05:302008-05-31T23:07:17.855+05:30ক্লোভারফিল্ড<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="http://upload.wikimedia.org/wikipedia/en/thumb/f/f1/Cloverfield_theatrical_poster.jpg/200px-Cloverfield_theatrical_poster.jpg"><img style="display:block; margin:0px auto 10px; text-align:center;cursor:pointer; cursor:hand;width: 320px;" src="http://upload.wikimedia.org/wikipedia/en/thumb/f/f1/Cloverfield_theatrical_poster.jpg/200px-Cloverfield_theatrical_poster.jpg" border="0" alt="" /></a><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;">গতকাল ক্লোভারফিল্ড নামের একটি সিনেমা দেখছিলাম । সিনেমাটির বিষয়বস্তু নতুন কিছু নয় একটি অতিকায় প্রাণীর নিউইয়র্ক আক্রমন । এর আগে বহু সিনেমায় যেমন ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে, গডজিলা, কিংকং এ আমরা নিউইয়র্ক শহরে অতিকায় প্রানীর দাপাদাপি দেখেছি । </span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;"><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;">কিন্তু সিনেমাটি যেভাবে তোলা হয়েছে তাতে পুরো ব্যাপারটিই একটা আলাদা মাত্রা পেয়ে গেছে । সিনেমাটি পুরোটা তোলা হয়েছে হোম ভিডিও যেভাবে তোলা হয় সেভাবে । পুরো ক্যামেরা টেকনিকটার স্টাইল হল যেন কোন অপেশাদার ক্যামেরা ম্যান পুরোটা তুলেছে । অবশ্য গল্পেও সেটাই ছিল । গল্পের শুরুতে বলা হয় যে ধ্বংসপ্রাপ্ত নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক থেকে মিলিটারিরা ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছে । সেই ক্যামেরার এডিট না হওয়া ফুটেজটাই হল পুরো সিনেমা । পুরো সিনেমা জুড়ে ক্যামেরা কোন সময়েই স্থির নেই সব সময়েই কাঁপছে অনেক সময়েই যে কথা বলছে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না বা তার মুখ কেটে যাচ্ছে । আবার অনেক সময় ক্যামেরা হাত থেকে পড়ে যাচ্ছে বা বেঁকে যাচ্ছে । </span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;"><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;">অর্থাৎ বাড়িতে হ্যান্ডিক্যাম বা মোবাইলে ভিডিও তুললে যা হয় সেই ভাবেই পুরো সিনেমাটি দেখানো হয়েছে । চিত্রগ্রহনের এই পদ্ধতি এর আগে মনসুন ওয়েডিং নামের একটি সিনেমায় দেখেছিলাম কিন্তু এই ধরনের প্যানিক এবং সাই-ফাই সিনেমায় পুরো ব্যাপারটাই আলাদা মাত্রা পেয়েছে । ফার্স্ট পার্সনে চিত্রগ্রহন করার ফলে সিনেমাটি অনেক আকর্ষনীয় হয়েছে । এখানে দর্শক শুধু দর্শক নয় সেও যেন সিনেমাটির একটি চরিত্র । রোমাঞ্চ যেন আরও বেশি করে অনুভব করা গেছে । </span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;"><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-size:large;">অনেকের কাছেই এই স্টাইলটা বেশ ভাল লেগেছে এবং নতুন জেনারেশনের কাছে এটা গ্রহন যোগ্য কারন তারা এইভাবেই ভিডিও তুলতে অভ্যস্ত । যদিও হলে দেখতে গিয়ে কেউ কেউ মাথা ঘোরা এবং ধরার অভিযোগ জানিয়েছেন । </span></div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-25189214239580050182008-03-26T23:08:00.001+05:302008-03-26T23:10:57.688+05:30বালাই ষাট<span style="font-size:130%;">গায়ক ও কবি কবীর সুমনের ষাট বছরের জন্মদিন উপলক্ষে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হয়ে গেল বালাই ষাট বলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠান । সুমনের গান গাইলেন বিভিন্ন জেনারেশনের শিল্পীরা । আমি অবশ্য টিভিতেই দেখলাম অনুষ্ঠানটি ।<br /><br />১৯৯২ সালে সুমনের তোমাকে চাই অ্যালবামটি বেরোনোর পর সুমনকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি । তিনি তাঁর পরের বহু জনপ্রিয় গায়ক গায়িকাকে প্রভাবিত করেছেন । নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত, রূপঙ্কর, অনেকই বলেছেন তাঁরা যদি সুমনের গান না শুনতেন তাহলে তার হয়তো কোন দিন গানই গাইতেন না ।<br /><br />অনুষ্ঠানটি শুরু হয় হৈমন্তী শুক্লার গানের ভিতর দিয়ে । এরপর রূপঙ্কর, দোহার, সাবিনা ইয়াসমিন, ফসিল্স, চন্দ্রবিন্দু, শহর, অঞ্জন দত্ত এবং তাঁর ছেলে নীল, শ্রীকান্ত আচার্য, ব্রহ্ম ব্যান্ড, লোপামুদ্রা সবাই গাইলেন ।<br /><br />দোহারের দুটি গান অনবদ্য লাগল । সুমনের গানের তাঁরা যেন এক অন্য মাত্রা দিলেন । অঞ্জন দত্তের ছেলে নীল সুমনের একটি ইংরেজি গান গাইলেন । ফসিল্সের রূপম তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ইন্টেলেকচুয়াল ভঙ্গিতে সুমনের রংপেনসিল গানটির অন্য রূপ তুলে ধরলেন । শ্রীকান্ত, লোপামুদ্রা নিজেদের পেশাদারী দক্ষতা বজায় রাখলেন । ব্রহ্ম ব্যান্ডের গান আমি আগে শুনিনি । এই ব্যান্ডের একটি মেয়ে সুমনের পেটকাটি চাঁদিয়াল গানটি সম্পূর্ণ অন্য কায়দায় গাইলেন ।<br />জয় গোস্বামী কবিতাপাঠ করলেন । অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি প্রায় পুরো অনুষ্ঠানটিই দেখলেন । তবে পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক জগতের আমরা ওরা ভাগাভাগির পর 'আমাদের দলের' কাউকে তেমন চোখে পড়ল না ।<br />তবে চোখে লাগল এই অনুষ্ঠানে সুমনের গানের বড় ভক্ত নচিকেতার না থাকাটা । কেন জানিনা মনে হল নচিকেতা থাকলে অনুষ্ঠানটি আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হত ।<br />সুমন নিজে কোন গান পুরো গাইলেন না তবে অনেক গানেই গলা মেলালেন । অনবদ্য একটি অনুষ্ঠান উপহার দেবার জন্য কলকাতা টিভিকে ধন্যবাদ ।<br /></span>Unknownnoreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-61576608857714174452008-03-16T12:42:00.003+05:302008-03-16T12:55:04.452+05:30হারবার্ট<span style="font-size:130%;">হারবার্ট সিনেমাটির ভিসিডি কেনার মাত্র কয়েকদিন আগেই আমি জানতে পেরেছিলাম যে নবারুণ ভট্টাচার্যের রচিত এই উপন্যাসের উপর সুমন মুখোপাধ্যায় একটি ছবি তৈরি করেছেন <span>।</span> এছাড়া ছবিটি সম্পর্কে আমার কাছে আর কোনো তথ্য ছিল না <span>।</span><br /><br />ছবিটি দেখার পরে অনেকটাই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম <span>।</span> বাংলা ভাষায় এই রকমের ছবি আগে কখনও দেখেছি বলে মনে করতে পারলাম না <span>।</span> থিয়েটার জগতের এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায় তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবিতেই যে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন তা মনে রাখার মতো <span>।</span> তবে ছবিটি বাংলা ভাষায় নির্মিত আরো অনেক সমান্তরাল ছবির মতো ছিল ফ্লপ <span>।</span><br /><br />এর কারণ কি সুমন মুখোপাধ্যায়ের নাম চিত্রপরিচালক হিসাবে মানুষের কাছে অজানা ছিল বলে নাকি ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় যাঁর স্টার ভ্যালু কম <span>।</span> এখন তো বাংলা সমান্তরাল সিনেমাতেও বড় বড় স্টারদের নামনো হয় লোক টানার জন্য যেখানে আমাদের এখানের অনেক নামহীন অভিনেতাই তার থেকে ভাল অভিনয় করতে সক্ষম <span>।</span><br /><br />কিছুদিন আগে ফেলিনির লা স্ট্রাডা ছবি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বলেছিলাম কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা কেনই বা জন্মায় আর কেনই বা মরে যায় সে নিয়ে কারো মাথাব্যথা থাকে না <span>।</span> হারবার্ট সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র হারবার্ট সরকার এই রকম একটি চরিত্র <span>।</span> তার জীবনটা হতে পারত খুবই উঁচুদরের তার বাবা ছিল একজন সেলিব্রিটি চিত্রপরিচালক যার স্বভাবতই নায়িকাদের সঙ্গে ফস্টি নস্টি করার প্রবণতা ছিল <span>।</span> কিন্তু শুটিং-এ গিয়ে সে বেঘোরে প্রাণ দিল <span>।</span> এরকিছুদিন পরেই তার মা কাপড় মেলতে গিয়ে ছাদে কারেন্ট খেয়ে মারা গেল <span>।</span> এর পর হারবার্ট জ্যাঠা জেঠিমার সংসারে লাঠি ঝ্যাঁটা খেয়ে বড় হতে লাগল <span>।</span> শেষ পর্যন্ত সে হয়ে উঠল একজন প্রেত বিশেষজ্ঞ <span>।</span> এরপর যুক্তিবাদী সমিতির হুমকি পেয়ে সে আত্মহত্যা করে <span>।</span><br /><br />সিনেমাটিতে প্রচুর রূপক দৃশ্য ও ভাবনা আছে <span>।</span> উত্তর কলকাতার সরু গলি আর উঁচুনিচু বাড়ির ল্যান্ডস্কেপ পুরনো বনেদী বাড়ির একতলার অন্ধকার ঘর সবই এক অদ্ভুত পরিবেশ রচনা করে <span>।</span> জানলার ভিতর দিয়ে দেখা কাস্তে হাতুড়ি তারা, মৃত বাবা মার মুভি ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে ছেলের কীর্তিকলাপ দেখা সবই কিছু ইঙ্গিত হিসাবে আমাদের চোখে ধরা পড়ে <span>।</span><br /><br />ছবিটির গল্প শুধু অনুসরণ করলে ছবিটিকে বুঝে নিতে অসুবিধা হবে <span>।</span> অনেক কথাই এখানে বলা হয়েছে পরোক্ষ ভাবে <span>।</span> সত্তরের দশকের নকশাল আন্দোলন ছবিটির অন্যতম প্রেক্ষাপট <span>।</span> সেই আন্দোলনের চেতনা যে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি যেকোন মূহুর্তেই তা আবার ফেটে পড়তে পারে তা বোঝানো হয়েছে <span>। </span> ছবিটির পিছনে গভীর রাজনৈতিক বক্তব্য আছে</span><span style="font-size:130%;"><span><span></span></span><span>।</span> ছবিটি কখনই একমাত্রিক বা লিনিয়ার নয় <span>।</span> বরং বহুমাত্রিক সময়ের তিনটি আলাদা আলাদা স্তর কে পাশাপাশি ধরা হয়েছে <span>।</span> এবং এই কাজটি পরিচালক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করেছেন <span>।</span> আলো-ছায়া উঁচুনিচু সবই এখানে প্রতীক <span>।</span> হারবার্টের কৈশোর এবং যৌবন, বর্তমান হারবার্ট এবং তার আত্মহত্যা করার পর আপাত রহস্য এবং পুলিশের তদন্ত সবই পাশাপাশি দেখানো হয়েছে <span>।</span><br /><br />সুমন মুখোপাধ্যায় যে বহু নামকরা চিত্র পরিচালকের কাজ থেকে প্রভাবিত হয়েছেন তা সহজেই বোঝা যায় <span>।</span> ফেলিনির প্রভাব </span><span style="font-size:130%;">তাঁর কাজে ভালোই পড়েছে <span>।</span> ছাদের উপরে কিশোর হারবার্টের হস্তমৈথুন করার দৃশ্যটি দেখে ফেলিনির অ্যমারকর্ড ছবিটির কথা মনে পড়ে যায় <span>।</span> কিন্তু একথা স্বীকার করতেই হবে যে প্রভাবিত হয়েও তিনি চিত্রপরিচালক হিসাবে নিজের একটি জায়গা গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন <span>।</span> ছবিটিতে বেশ কিছু গালাগালি রয়েছে যা কিছু মানুষের অস্বস্তির কারণ হতে পারে <span>।</span> কিন্তু আমার মনে হয়ে সিনেমাটিতে এগুলি ছাড়া চরিত্রগুলিকে পুরোপুরি বোঝানো যেত না <span>।</span><br /><br />দৃশ্যনির্মান সম্পাদনা সংলাপ ক্যামেরা এবং পরিচালনা সবই অসাধারণ <span>।</span> ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও মনে রাখার মত <span>।</span> হারবার্ট এর চরিত্রে শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় এছাড়া লিলি চক্রবর্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, সবাই ভালো অভিনয় করেছেন <span>।</span> তবে কিছু কিছু জায়গায় অভিনয় একটু লাউড <span>।</span> মনে হয় পরিচালক ইচ্ছাকৃত ভাবেই এটা করেছেন <span>।</span> অথবা থিয়েটার অভিনয়ের লাউডনেস এই ছবিতেও একটু এসে ঢুকেছে <span>।</span><br /><br />ছবিটি দেখার পর নবারুণ ভট্টাচার্যের মূল উপন্যাসটি পড়ার ইচ্ছা খুব বেড়ে গেল <span>।</span> মূল উপন্যাসটি সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত <span>।</span> বিজন ভট্টাচার্য এবং মহাশ্বেতা দেবীর সুযোগ্য সন্তান নবারুন নিজেও কতটা প্রতিভাশালী লেখক তার বোঝার জন্য বইটি পড়তেই হবে <span>।</span><br /><br />যাঁরা একটু অন্য ধরণের সিনেমা দেখতে ভালবাসেন তাঁদের দেখতেই হবে এই ছবি <span>।</span> ভারতে মোজার বায়ার কম্পানি এই ছবির ভিসিডি বের করেছে <span>।</span> দুটি সিডির সিনেমার দাম মাত্র তিরিশ টাকা <span>।</span><br /><br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-70646452331923360532008-02-11T00:01:00.000+05:302008-02-11T00:04:13.515+05:30বাংলা উইকিপিডিয়া -- পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের বলছি<span style="font-size:130%;">আমরা কথায় কথায় বলি যে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি । আর পশ্চিমবঙ্গ যে এই তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্রমাগত এগিয়ে চলছে তাও আমরা বুঝতে এবং দেখতে পারছি বিভিন্ন মিডিয়াতে । এবং আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতাতেও ।<br /><br />কিন্তু এই তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে সমস্ত স্তরের মানুষদের কাছে পৌছে দিতে হবে । আর সেটা করা সম্ভব কম্পিউটারে মাতৃভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে । গ্রামে গ্রামে শুধু কম্পিউটার আর ইন্টারনেট পৌছে দিলেই হবে না । ইন্টারনেটে যদি বাংলা ভাষায় পড়ার মত উপযুক্ত বিষয় না থাকে তাহলে কখনই আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিকে সর্বস্তরে পৌছে দেওয়ার স্বপ্ন সফল হবে না । তাই বাংলার সাধারন মানুষের হাতে পৌছে দিতে হবে জগতের সব তথ্য । আমাদেরই মাতৃভাষায় - বাংলা ভাষায় ।<br /><br /> ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র, ভাষাবিজ্ঞান, গণিত, প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্কলন হল বিশ্বকোষ । অর্থাৎ বিশ্বকোষ এমন একটি জিনিস যাতে সমস্ত কিছুর উপরেই তথ্য পাওয়া যেতে পারে । কিন্তু বাংলায় লেখা আধুনিক এবং সম্পূর্ণ বিশ্বকোষের অভাব রয়েছে । আর তার দামও বিশাল । অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই তা কেনা সম্ভব নয় । আর এই বাংলা বিশ্বকোষের বদলে পড়া যেতে পারে ইংরাজি বিশ্বকোষ যেমন এনকার্টা, বা ব্রিটানিকা । এখন যাঁদের ইংরাজি জ্ঞান কম তাঁদের পক্ষে এগুলি পড়া সম্ভব নয় । আর ইংল্যান্ড বা আমেরিকা থেকে প্রকাশিত হওয়ার জন্য এগুলিতে ভারতীয় বা বাংলার বিষয় কম থাকে । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে ব্রিটানিকা বা এনকার্টা থেকে আপনি বেশি তথ্য পাবেন না ।<br />আর ভারত বা বাংলার বিষয়গুলি এই বিদেশি বিশ্বকোষগুলিতে লেখা হয় বিদেশী দৃষ্টিকোন থেকে সেগুলি পড়ে আমাদের যদি নিজেদের সংস্কৃতি, সাহিত্য, সঙ্গীত, ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হয় তার থেকে দুঃখজনক আর কিছু নেই ।<br /><br />অনেকেই হয়ত অবগত আছেন <a href="http://en.wikipedia.org">ইংরাজি উইকিপিডিয়া </a>সম্পর্কে । এটি পৃথিবীর সবথেকে বড় উইকিপিডিয়া । কিন্তু অনেকে হয়ত জানেন না যে উইকিপিডিয়ার একটি বাংলা সংস্করণও আছে । ইন্টারনেটে বাংলা বিশ্বকোষ <a href="http://bn.wikipedia.org">বাংলা উইকিপিডিয়া </a>(bn.wikipedia.org) লেখার কাজ চলেছে প্রায় বছর দুই ধরে । এর মধ্যেই সতেরো হাজারেরও বেশি নিবন্ধ তৈরি করা হয়েছে । কিন্তু এই নিবন্ধের অনেকগুলিই রয়েছে প্রাথমিক অবস্থায় । তাই এই নিবন্ধগুলিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দরকার স্বেচ্ছাসেবকের । এরমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এগিয়ে এসেছেন । কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় এই যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা নামমাত্র । আমারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আমাদের রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি নিয়ে খুবই গর্ব করি বটে কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই পিছিয়ে আছি ।<br /><br />বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিষয় নিয়ে লেখা সম্ভব নয় । বলুন তো কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের উপর নিবন্ধ লিখতে গেলে তো এরকম মানুষকেই প্রয়োজন যাঁর এখানে নিয়মিত যাতায়াত আছে । অথবা কলকাতা বইমেলা নিয়ে লিখতে গেল এরকম মানুষ প্রয়োজন যিনি এখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন । আর বাংলা উইকিপিডিয়াতে লিখতে গেলে কোন বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নেই । আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়েস কোনটাই বিচারযোগ্য নয় । শুধু ইচ্ছেটাই এখানে বড় কথা । সমস্ত কাজের মধ্যেও আপনি যদি রোজ মাত্র একলাইন করেও বাংলা উইকিপিডিয়ায় লেখেন তাহলেও বছরে ৩৬৫ লাইন লেখা হয় । আর অনেকে যদি অল্প অল্প লেখেন তাহলে এই বিন্দু বিন্দু করেই আমরা সবাই মালিক হতে পারি এক বিরাট বাংলা বিশ্বকোষের । আর যদি আপনার মনে হয় যে কোন বিষয়েই জ্ঞান নেই (যেটা আসলে ভুল) তা হলেও আপনি বাংলা উইকিপিডিয়ায় আপনার অবদান রাখতে পারেন ইংরাজি উইকিপিডিয়া থেকে নিবন্ধ অনুবাদ করে বা বানান এবং ব্যকরনগত সমস্যা দূর করে ।<br /><br />বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকেরা যদি <a href="http://bn.wikipedia.org">বাংলা উইকিপিডিয়ার</a> উন্নতিতে এগিয়ে আসতে পারেন তাহলে আমরাই বা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আসুন আমরা গঠনমূলক এই প্রজেক্টে অংশগ্রহন করে আমাদের ভবিষ্যৎ সমাজের হাতে তুলে দিই বাংলা ভাষায় এক চমৎকার বিশ্বকোষ ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-58026019565735074502008-02-09T20:27:00.000+05:302008-02-09T20:50:48.139+05:30ফেডেরিকো ফেলিনির লা স্ট্রাডা<span style="font-size:130%;">সমাজের কিছু প্রান্তিক মানুষ থাকে যারা কেনই বা জন্মায় আর কেনই বা মরে যায় তা নিয়ে কারোর কোনো মাথাব্যথা থাকে না । তাদের সুখ দুঃখ চিন্তা ভাবনা চাপা পড়ে যায় সময়ের সাথে সাথে । এরকম দুজন প্রান্তিক মানুষের প্রেমকাহিনী নিয়ে ফেলিনির লা স্ট্রাডা ।<br /><br />ফেলিনির আগের যে সমস্ত ছবি দেখেছিলাম যেমন আই ভিতেলোনি (I vitelloni ), এইট অ্যান্ড হাফ, অ্যমারকর্ড সেগুলি বেশিরভাগই ছিল আত্মজীবনী মূলক । সেদিক থেকে লা স্ট্রাডা বেশ আলাদা ।<br /><br />ইটালির উপকূলের এক গরীব পরিবারের মেয়ে জেলসোমিনা । তাকে তার মা অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে বেচে দেয় সার্কাসে খেলা দেখানো জ্যামপানোর কাছে । জ্যামপানো খুবই কড়া ধাঁচের বদরাগী লোক । সে একটা মোটরবাইক কাম ভ্যান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খেলা দেখিয়ে বেড়ায় । জ্যামপানো জেলসোমিনাকে অল্প ট্রেনিং দিয়ে তার খেলা দেখানোর সহকারী হিসাবে লাগায় । জেলসোমিনার আচার আচরন ছিল ঠিক একটা ক্লাউনের মত । ছোট ছোট করে ছাঁটা চুলে তাকে মেয়ে বলেই মনে হত না । আর সিনেমার নায়িকাসুলভ কোন গুনই জেলসোমিনার ছিল না । জ্যামপানোর হাজার দোষ সত্ত্বেও জেলসোমিনার তাকে ভাল লাগতে থাকে ।<br /><br />জ্যামপানোর আচার আচরন এবং নারীসঙ্গে বিরক্ত হয়ে সে একবার পালিয়ে যায় । কিন্তু জ্যামপানো আবার তাকে ধরে আনে । এর মধ্যেই তাদের সাথে দেখা হয় সার্কাসে ব্যালান্সের খেলা দেখানো 'দ্য ফুল' এর সাথে । দ্য ফুলের সাথে জ্যামপানোর আগে থেকেই শত্রুতা ছিল । একবার ছুরি নিয়ে দ্য ফুলকে মারতে গিয়ে জ্যামপানো পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । সেই সময় জেলসোমিনা খুব সহজেই চলে যেতে পারত । কিন্তু সে যায় না । জ্যামপানো ছাড়া পেতেই সে আবার ফিরে যায় ।<br /><br />এরপর একসময় রাস্তায় আবার জ্যামপানো আর দ্য ফুল মুখোমুখি হয় । দুজনের মারামারিতে দ্য ফুল আহত হয় আর মারা যায় । এই ঘটনায় জেলসোমিনা খুবই আঘাত পায় আর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে । তাকে এই অবস্থায় দেখে জ্যামপানো নিজের ভুল বুঝতে পারে আর জেলসোমিনাকে একজায়গায় রেখে চলে যায় ।<br />বেশ কিছু বছর পরে জ্যামপানো জানতে পারে যে এর কিছুদিন পরেই জেলসোমিনা মারা গিয়েছিল । সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখা যায় জ্যামপানোকে রাতের অন্ধকার সমুদ্রের ধারে কাঁদতে ।<br /><br />অসাধারন এই সিনেমার মূল আকর্ষন হচ্ছে জ্যামপানোর ভূমিকায় অ্যান্টনি কুইন আর জেলসোমিনার ভূমিকায় জিউলিয়েতা ম্যাসিনার অভিনয় । সম্ভবত অ্যান্টনি কুইন তাঁর জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন এই ছবিতে । আর জিউলিয়েতা ম্যাসিনার অভিনয় সম্পর্কে বেশি কিছু না বলাই ভালো । মুখের এক্সপ্রেসন বদলাতে তাঁর জুড়ি নেই । চরিত্রের একেবার ভিতরে ঢুকে কিভাবে তাকে জীবন্ত করে তুলতে হয় তার তুলনা বোধহয় আর পাওয়া যাবে না । চরিত্রটির সরলতা, দুঃখ, আনন্দ, কষ্ট সবই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন অনবদ্য ভাবে ।<br />এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে জিউলিয়েতা ম্যাসিনা হলেন ফেলিনির স্ত্রী । তাঁরা এর আগে ও পরে বহু ছবিতে একসাথে কাজ করেছেন । ছবিটির নেপথ্যসঙ্গীতও মনে রাখার মত ।<br />১৯৫৬ সালে সেরা বিদেশী ছবির জন্য এটি অস্কার পুরষ্কার পেয়েছিল ।<br /></span>Unknownnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-49847245820931665232008-01-26T12:55:00.000+05:302008-01-26T13:06:48.800+05:30গুগল বই সমাচার<span style="font-size:130%;">বেশ কিছুদিন ধরেই গুগল বই এর সাইটটি (books.google.com) আমার নজরে এসেছিল । প্রথমে একটু নিরাশই হয়েছিলাম কেননা এতে কোনো বইয়ের পুরোটা দেখা যাচ্ছিল না কেবল অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছিল । তারপর একটু ভাল করে নজর করে দেখলাম যে ফুল ভিউ লিংকে গেলে যে বইগুলি দেখা যায় তার বেশিরভাগই ফ্রিতে দেখা আর ডাউনলোড করা যাচ্ছে পিডিএফ ফরম্যাটে ।<br /><br />একটু সার্চ করতেই খুঁজে পেলাম আদ্যিকালের দুষ্প্রাপ্য সমস্ত বইয়ের স্ক্যান করা কপি । আমার প্রিয় বিষয় ইতিহাস । তাই ভারত ও বাংলার ইতিহাসের বই প্রথমেই খুঁজে দেখলাম । পেলাম দারুণ দারুন সমস্ত বই । বেশিরভাগ বই ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে আগত ব্রিটিশ সরকারী কর্মচারী বা মিশনারীদের লেখা । সেসময়ের ভারতের নানা রকমের ভ্রমনের কাহিনী, সিপাহী বিদ্রোহের রোমাঞ্চকর বর্ণনা, সতীদাহের চাক্ষুষ বর্ণনা বাদ যায় নি কিছুই । খুব আকর্ষনীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে স্লিম্যান সাহেবের লেখা ভারতীয় ঠগী আর ফাঁসুড়েদের উপর বই । আর একজন মহিলার লেখা বইতে রয়েছে কিভাবে ১৮০২ সালে তিনি জলপথে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ গিয়ে মীরজাফরের স্ত্রী মুন্নি বেগমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তার বর্ণনা । খুঁজতে খুঁজতে পেলাম একেবারে প্রথম যুগের বাংলা থেকে ইংরাজি ডিকশনারি যা ছাপা হয়েছিল শ্রীরামপুরে ।<br /><br />গুগল বইয়ের একটা ভাল দিক হচ্ছে এখানে আসল বই থেকে স্ক্যান করা পাতাগুলি দেখা যায় । তবে স্ক্যান করা হলেও বই গুলি সার্চযোগ্য । কারন স্ক্যান করা বইয়ের পাতার ছবিগুলির সাথে ওসিআর করা টেক্সটও রাখা আছে । কিন্তু স্ক্যানের কোয়ালিটি নিয়ে অনেক সময়েই প্রশ্ন উঠতে পারে । কিছু কিছু বই খুব বাজে ভাবে স্ক্যান করা হয়েছে । পাতা কেটে বেরিয়ে গেছে এরকম ব্যাপারও আমার চোখে এসেছে ।<br /><br />পুরনো বই খুঁজতে খুঁজতে একটা ব্যাপার আমার নজরে এসেছিল সেটা হচ্ছে ফ্রি ডাউনলোডের জন্য যে বইগুলি দেওয়া হচ্ছে সেগুলি সবই ১৮৪০-৫০ এর সময়কার বা তার আগের কিন্তু এই সময়ের পরের বইগুলি যেগুলির উপরে কপিরাইট নেই যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই সেগুলি কিন্তু ফ্রিতে ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না ।<br />আমেরিকার কপিরাইট আইন ঘেঁটে দেখলুম যে ১৯২৩ সালের আগে প্রকাশিত সব বই পাবলিক ডোমেনে চলে গেছে মানে তাদের উপরে আর কপিরাইট নেই । কিন্তু বই তো ১৮৪০-৫০এর পরে প্রকাশিত হলে ফ্রিতে ডাউনলোড দিচ্ছে না । ব্যাপারটা কি ?<br /><br />নেটে একটু খোঁজখবর করে দেখতে পেলাম যে ব্যবহারকারী যদি আমেরিকার বাইরে থেকে গুগল বই ব্যবহার করে তবে সে ১৮৬৫ সালের পরের কোন বই ফ্রী তে ডাউনলোড করতে পারবে না । কিন্তু সে যদি আমেরিকার ভিতর থেকে গুগল বই ব্যবহার করে তাহলে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত সমস্ত বই ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবে । একটা প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে দেখলাম ঠিক তাই । সাধারণ ভাবে রবীন্দ্রনাথের লেখা কোন বই ফ্রিতে ডাউনলোড করতে দিচ্ছে না কিন্তু প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে গুগল বই খুললে তখন রবীন্দ্রনাথের ১৯২৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত সব বই ডাউনলোড করা যাচ্ছে । বিভিন্ন দেশের কপিরাইট আইন বিভিন্ন রকম হওয়ার জন্য গুগলের পক্ষে সত্যিই ট্র্যাক রাখা কঠিন কোন বইয়ের কোন দেশে কপিরাইট আছে আর কোন দেশে নেই । যেমন ভারতের কপিরাইট আইনে লেখকের মারা যাওয়ার পর ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট বলবৎ থাকে । আবার কোন কোন দেশে এই আইন ৭০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্তও হয়ে থাকে । তাই যে বই আমেরিকায় পাবলিক ডোমেনে চলে গেছে সেই বই হয়তো ভারতে কপিরাইটের আওতায় আছে ।<br /><br />তাই গুগলের বিশেষ কিছু করার ছিল না কোন লেখক কবে মারা গেছে আর কোন দেশে সেই অনুযায়ী কপিরাইট আছে কি নেই তার ট্র্যাক রেখে সেই অনুযায়ী সেই দেশের আই পি দেখে ডাউনলোডের অনুমতি দিতে গেলে তারা পাগল হয়ে যাবে । তাই আমেরিকার বাইরের সবাইকে ১৮৬৫ সাল অবধি প্রকাশিত বই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ।<br /><br />আমি প্রক্সি সার্ভার দিয়ে বই ডাউনলোড করার চেষ্টা করে দেখলাম ডাউনলোড হচ্ছে কিন্তু স্পিড স্লো । আর ডাউনলোড কোন ভাবে আটকে গেলে তাকে আবার প্রথম থেকে চালু করতে হচ্ছে । যেটা সাধারণভাবে ডাউনলোড করতে গেলে করতে হয় না ।<br /><br />গুগল সত্যিই আমাদের সামনে এক বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে দুষ্প্রাপ্য বইগুলি দেখার ও পড়ার । কিন্তু এই কপিরাইটের কচকচিতে তার অনেকটাই বানচাল হতে চলেছে । তাই কেউ যদি গুগল বই থেকে অন্তত ১৯২৩ সাল পর্যন্ত বইগুলি আমেরিকার বাইরে ডাউনলোডের সহজ পদ্ধতি জানান তাহলে খুবই কৃতজ্ঞ থাকব ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-38331949598405382472007-12-28T22:24:00.000+05:302007-12-28T22:27:40.745+05:30বাজে গল্প<p><span style="font-size:130%;">আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগে এক ভদ্রলোক ব্যবসার কারনে চিনে গিয়েছিলেন । সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার ফলে তিনি চিনা ভাষা ভালোই বলতে ও বুঝতে পারতেন কিন্তু পড়তে বা লিখতে পারতেন না । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">চিনে সেই ভদ্রলোক এক মাঝারি শহরে একটা বাড়ির একতলা ভাড়া নিয়ে কিছুদিন ছিলেন । সেই বাড়ির পাশের বাড়িতে এক চিনা তরুণী তার বাবা মার সঙ্গে ভাড়া থাকত ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">পাশাপাশি থাকতে থাকতে সেই সুন্দরী তরুণীর সঙ্গে ভদ্রলোকের বেশ ভালোই ভাব জমে উঠল । ভদ্রলোক ভাবতে লাগলেন এখানেই এই মেয়েটিকে বিয়ে করে থেকে গেলে ভালোই হয় ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">ক্রমে দিন কাটতে লাগল । এরপর ভদ্রলোক একবার অল্প কিছুদিনের জন্য দেশে ফিরলেন । তারপর যখন আবার চিনে ফিরে গেলেন তখন দেখলেন যে সেই তরুণী তার বাবা মার সঙ্গে ঘর ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে । ভদ্রলোক ব্যস্ত হয়ে মেয়েটির অনেক খোঁজ খবর করলেন । কিন্তু কেউই তাদের কোন খবর বলতে পারল না । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">কিছুদিন বাদে ভদ্রলোকের কাছে একটা চিঠি এসে পৌছাল । আগেই বলেছি যে ভদ্রলোক চিনা ভাষা কিছুই পড়তে পারতেন না । কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন যে এই চিঠিটা সেই মেয়েটাই তাকে লিখেছে । কারণ তিনি এই রকমের খাম আর কাগজ মেয়েটির ঘরে দেখেছিলেন আর মেয়েটি যে সেন্ট ব্যবহার করত তার গন্ধও চিঠিটা থেকে পাওয়া যাচ্ছিল । ভদ্রলোক বেশ আশান্বিত হয়ে উঠলেন । যাক এবার খবর পাওয়া যাবে খালি চিঠিটা কাউকে দিয়ে পড়াতে হবে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রলোক এবার তাঁর বাড়িওলার কাছে গেলেন । বাড়িওয়ালা হলেন এক মধ্যবয়স্ক মোটা আর রাগী ভদ্রমহিলা । ভদ্রলোক চিঠিটা তাঁর হাতে দিয়ে খুব বিনীত ভাবে তাঁকে অনুরোধ করলেন চিঠিটা পড়ে দেবার জন্য । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রমহিলা চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে আরম্ভ করলেন । কিন্তু একি পড়বার আগেই তাঁর মুখ কুঁচকে উঠল । তিনি হঠাৎ বিরাট চিৎকার আরম্ভ করলেন । যার বাংলা করলে হয় বজ্জাত ছোকরা তুই আমার কাছে এই চিঠি পড়াতে এনেছিস । বেরো শিগ্গির আমার বাড়ি থেকে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রলোক কোনভাবেই বুঝিয়ে তাঁকে শান্ত করতে পারলেন না । ভদ্রমহিলা কোনভাবেই শান্ত হলেন না । কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তিনি তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দিলেন । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রলোককে মালপত্র নিয়ে অগত্যা একটা হোস্টেলে আশ্রয় নিতে হল । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">হোস্টেলে থিতু হয়ে তিনি একজন বোর্ডারকে চিঠিটা দেখাতেই সেও ভদ্রলোকের উপর ক্ষেপে উঠল । বলা যায় কেবল মারতে বাকি রাখল । ভদ্রলোক কিছুই বুঝতে পারলেন না কি হচ্ছে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">দিন কয়েক বাদে ভদ্রলোক তাঁর একজন খদ্দের কে চিঠিটা দেখালেন । এবারেও একই কান্ড । সেই খদ্দের তো চটে উঠলই তক্ষুনি ভদ্রলোকের সাথে সমস্ত ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দিল । আর তার অফিস থেকে ভদ্রলোককে চরম অপমান করে বের করে দিল । আরো হুমকি দিল যে এবার থেকে যদি তাকে ত্রিসীমানায় দেখা যায় তবে পুলিশে দেবে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">বার বার তিনবার নাস্তানাবুদ হয়ে ভদ্রলোক ঠিক করলেন না এই চিঠি আর কাউকে দেখানো যাবে না । চিন দেশের আইন খুব কড়া কে জানে এবার হয়ত জেলে পুরে ফাঁসিই দিয়ে দেবে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">তাই ভদ্রলোক ঠিক করলেন যে তিনি দেশে ফিরে আসবেন মেয়েটির সঙ্গে দেখা করার আশা ছেড়ে দিয়ে । আর মেয়েটি নিশ্চই ভালো কথা কিছু লেখেনি চিঠিতে যা দেখে সবাই চটে উঠছে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রলোক চিন থেকে জাহাজ পথে দেশে ফিরতে লাগলেন । জাহাজে তিনি খুবই বিমর্ষ মুখে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন । তাই দেখে এক ফুর্তিবাজ আমেরিকান ছোকরা তাকে জিজ্ঞাসা করল কিহে তোমার ব্যাপারটা কি যখনই দেখি তখনই মুখ হাঁড়ি । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রলোক তখন তাকে ব্যাপারটা খুলে বললেন । ছোকরাটি বলল দেখি তো তোমার চিঠিটা । আমি চিনেতেই বড় হয়েছি । তাই আমি ভালো মতই চিনা ভাষা পড়তে পারি । ভদ্রলোক বললেন দেখ যেই এই চিঠি পড়েছে সেই আমার উপর ক্ষেপে উঠে মারতে বাকি রেখেছে । তুমি হয়তো এই চিঠি পড়ার পর আমাকে হয়তো জাহাজ থেকে লাথি মেরে ফেলে দেবে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ছোকরাটি হেসে বলল – না না তোমার ভয় পাবার কিছু নেই । চিঠিতে যতই খারাপ কথা লেখা থাক না কেন আমি তোমার উপর রাগ করবো না । তুমি তো আর এই চিঠিটা লেখোনি ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">ভদ্রলোক তখন আশ্বস্ত হয়ে চিঠিটা পকেট থেকে বের করে ছেলেটির হাতে দিলেন । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">ছেলেটি চিঠিটা নিয়ে ডেকের রেলিঙের উপর ঝুঁকে পড়তে যাবে এমন সময় একটা দমকা হাওয়া এসে চিঠিটাকে ছেলেটির হাত থেকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে মাঝসমুদ্রে ফেলল ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">ফলে ভদ্রলোকের আর কোনদিনই জানা হয়নি যে চিঠিটাতে কি লেখা ছিল ।</span></p><p><span style="font-size:130%;"><br /></span></p> <span style="font-size:130%;"><span style="font-style: italic;">(গল্পটা একজনের মুখে শোনা । আমি একটু রঙ চড়িয়ে বললাম মাত্র)</span></span>Unknownnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-3256644441914442102007-11-11T15:04:00.000+05:302008-12-09T20:01:40.193+05:30নন্দীগ্রামে সুপরিকল্পিত গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZq6Q67Ccy0rhatiHTcEgNeP-hzGdVKtLGsWyHAi32zlkuf4wu3lGp4VsrlNbwwUr6bcGCDgr-VbjzafndQHosjoIItlV2J_3cy71Vt4zRqQuvhKjzkJDzCqGcaHbLrzHMZ-m8/s1600-h/black.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZq6Q67Ccy0rhatiHTcEgNeP-hzGdVKtLGsWyHAi32zlkuf4wu3lGp4VsrlNbwwUr6bcGCDgr-VbjzafndQHosjoIItlV2J_3cy71Vt4zRqQuvhKjzkJDzCqGcaHbLrzHMZ-m8/s400/black.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5131514644238782850" border="0" /></a><br /><span style="font-size:180%;"><br />নৃশংসতা এবং বর্বরতার দিক থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সিপিএম সমস্ত সীমার উর্দ্ধে চলে গেছে । সমস্ত সরকারি প্রশাসনকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে বসিয়ে রেখে নন্দীগ্রামকে তারা পরিণত করেছে এক রণক্ষেত্র এবং বধ্যভূমিতে ।<br /><br />অসভ্য ইতর বর্বর এবং গণহত্যা ও ধর্ষনকারী এই সরকার এবং পার্টির নিন্দার জন্য আজ কোন কথাই যথেষ্ট নয় । ধিক্কার জানাই সেই সব বুদ্ধিজীবিদের যাঁরা এখনও সরকারী আমন্ত্রনে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উৎসবে মেতে আছেন ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-10928873246821680902007-11-10T13:59:00.000+05:302007-11-10T14:02:15.947+05:30গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে কিছু কথা<p><span style="font-size:130%;">গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং গ্রীন হাউস এফেক্ট নিয়ে ছোটবেলা থেকেই অনেক কিছু পড়ে আসছি । যার মোদ্দা কথা হল পরিবেশ দূষন এবং গাছপালা কেটে ফেলার ফলে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে ফলে সূর্য থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে পৃথিবীতে ঢোকার পর যতটা আবার পৃথিবীর বাইরে বিকিরিত হওয়া উচিত তা হচ্ছে না ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবার ফলে মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাবে এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে পৃথিবীর বহু জায়গা ডুবিয়ে দেবে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">পুরো ব্যাপারটার মধ্যেই কেমন একটা যেন মানুষের পাপের ফলই হল গ্লোবাল ওয়ার্মিং এরকম একটা বার্তা লুকিয়ে রয়েছে । এবং এই সবই আমরা মুখস্ত করে এসেছি । কিছুদিন আগে The Great Global Warming Swindle নামে একটি তথ্যচিত্র দেখেছিলাম এই তথ্যচিত্রটিতে দাবি করা হয়েছিল অবশ্যই কিছু বাঘা বাঘা বৈজ্ঞানিক এবং পরিবেশবিদদের সাক্ষাৎকার সহযোগে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য মানুষ দায়ী নয় । পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়া কমা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । এবং পৃথিবীর পরিবেশ সব সময়েই পরিবর্তিত হয়ে আসছে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">পরে অবশ্য নেটে খোঁজ খবর নিয়ে জানলাম যে এই তথ্যচিত্রটি নিয়েও প্রচুর বিতর্ক এবং সন্দেহ আছে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর পিছনে বিরাট রাজনীতির খেলা আছে সেটা বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না । গত কিছু বছরে গ্লোবাল ওয়ার্মিং সংক্রান্ত রিসার্চ এর পিছনে বহু টাকা ব্যয় করা হয়েছে । অনেকেরই বক্তব্য যে বিজ্ঞানের এই শাখায় এত বেশি টাকা আসায় বিজ্ঞানের অন্য শাখাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । বেশ কিছু সাংবাদিক, চ্যানেল, কাগজ, পত্রিকা এবং বিজ্ঞানী গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেচে বেশ ভালোই উপার্জন করছেন । আবার এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং । বলা যেতে পারে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিজেই এখন একটা সিস্টেম এবং ইন্ডাস্ট্রি । এবং এক রকমের পপ কালচারও বটে ।<br />ইদানীং গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে একটু আধটু পড়াশোনা করতে গিয়ে বেশ কিছু বেসিক তথ্য নজরে এল । যেমন :</span></p> <p><span style="font-size:130%;">গ্লোবাল ওয়ার্মিং হয় গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে । আর সবথেকে বড় গ্রিনহাউস গ্যাস হল জলীয় বাষ্প । জলীয় বাষ্প ৩৬-৭০ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিন হাউস এফেক্টের জন্য দায়ী । আর এই জলীয় বাষ্পের মধ্যে কিন্তু মেঘ পড়ছে না । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">কার্বন ডাই অক্সাইডের গ্রিনহাউস এফেক্টের জন্য দায়িত্ব ৯-২৬ শতাংশ । মিথেন ৪-৯ শতাংশ । ওজোন ৩-৭ শতাংশ ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">এখানে মানব সভ্যতার দায়িত্ব মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের পরিমান বায়ুমন্ডলে বাড়াবার জন্য । তবে মনে রাখতে হবে যে কলকারখানা ও পরিবহন ছাড়াও আরও বহু প্রাকৃতিক ভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয় । যেমন আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে এবং জঙ্গলের প্রানীদের মৃতদেহ এবং গাছের তলায় পড়ে থাকা পাতা পচেও কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয় । এবং মানুষ সহ সমস্ত প্রানীর শ্বাসকার্যের ফলেও কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি হয় ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর আর একটা বড় কারন সোলার ভ্যারিয়েশন । বা সূর্য থেকে বিকিরিত শক্তির বাড়া কমা যাতে মানুষের কোন হাত নেই । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">১৯৪০ এর পর থেকে পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান ক্রমশ বেড়েছে । কিন্তু ১৯৭৫ সাল অবধি পৃথিবীর তাপমাত্রা কমেছে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান এবং তাপমাত্রার চেয়ে বেশি এর আগেও ছিল । যেমন ডাইনোসররা যখন পৃথিবীতে পুরোদমে রাজত্ব করছে তখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান এখন থেকে বারো গুন পর্যন্ত বেশি ছিল । সেই সময় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এখন থেকে বেশি ছিল এবং মেরু প্রদেশে কোন বরফ ছিল না । সেই সময়ে সমুদ্রের উচ্চতাও এখন থেকে ১০০ থেকে ২৫০ মিটার অবধি বেশি ছিল । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">গ্লোবাল ওয়ার্মিং কে আটকাতে যে সমস্ত গাইডলাইন তৈরি হয়েছে সেগুলিকে গরীব এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে যদি সৌরশক্তি বায়ুশক্তির মত অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহার করা হয় তাহলে হয়ত কয়েকটা বাড়িতে আলো পাখা চালানো যেতে পারে কিন্তু বড় বড় শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব নয় । ভাবুন তো একটা লৌহ ইস্পাত শিল্প কি কখনো সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তির সাহায্যে গড়ে তোলা যেতে পারে না সৌর শক্তি দিয়ে নিয়মিতভাবে ট্রেন চালানো যেতে পারে । তাহলে কি উন্নয়নশীল দেশগুলি কি গাইডলাইন মানতে গিয়ে শিল্পোন্নয়ন করবে না ।<br />জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান বাড়তে বাড়তে পৃথিবীকে একেবারে অবসবাসযোগ্য করে দেবে একথা ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় না । কারণ যতই হোক জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিমান সীমিত । পৃথিবীর ধ্বংসের অনেক আগেই মনে হয় তা ফুরিয়ে যাবে ।</span></p> <p><span style="font-size:130%;">গ্লোবাল ওয়ার্মিং থিয়োরির পক্ষে ও বিপক্ষে বহু মানুষ আছেন । এই থিয়োরির বিপক্ষে যাঁরা তাঁরা এটাকে স্রেফ প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই মনে করেন না । আর এই থিয়োরির পক্ষে যাঁরা তাঁরা বিপক্ষকে উড়িয়ে দেন এই বলে যে তাদের পিছনে আছে বড় বড় তেল কম্পানিগুলি । দুপক্ষের মতামত পড়ে বুঝে ওঠা খুব মুশকিল যে কারা ঠিক । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">তবে সাধারন ভাবে শক্তি সাশ্রয়ের নিয়মগুলি মেনে চললে তা গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে কতটা আটকাবে তা জানা নেই তবে আমাদের পকেটের পক্ষে অবশ্যই কিছু সাশ্রয় আনবে ।</span> </p> <p><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Global_Warming">http://en.wikipedia.org/wiki/Global_Warming</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Solar_variation">http://en.wikipedia.org/wiki/Solar_variation</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Greenhouse_effect">http://en.wikipedia.org/wiki/Greenhouse_effect</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Climate_change_denial">http://en.wikipedia.org/wiki/Climate_change_denial</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Scientific_opinion_on_climate_change">http://en.wikipedia.org/wiki/Scientific_opinion_on_climate_change</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Global_warming_controversy">http://en.wikipedia.org/wiki/Global_warming_controversy</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Politics_of_global_warming">http://en.wikipedia.org/wiki/Politics_of_global_warming</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/The_Great_Global_Warming_Swindle">http://en.wikipedia.org/wiki/The_Great_Global_Warming_Swindle</a><br /><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Dinosaur">http://en.wikipedia.org/wiki/Dinosaur</a></p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-74823025388454642082007-10-31T19:13:00.000+05:302008-12-09T20:01:40.360+05:30কলকাতার দুর্গাপুজো<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQHZ2JF-5Reg0KBWYnBBj-IDGx2vnUXCMRSuPAOiaCrVKgtx_UFE7_b6dBQ9LrX0__VFv-25fHWx4xeO77kGmLkoYKihL42-ZsIQ76MU4Jgsm8umunKKMIX-rc7A1M2BRXWHjp/s1600-h/durga.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQHZ2JF-5Reg0KBWYnBBj-IDGx2vnUXCMRSuPAOiaCrVKgtx_UFE7_b6dBQ9LrX0__VFv-25fHWx4xeO77kGmLkoYKihL42-ZsIQ76MU4Jgsm8umunKKMIX-rc7A1M2BRXWHjp/s400/durga.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5127498177559797666" border="0" /></a><br /><p><span style="font-size:130%;">বহু বছর ধরেই কলকাতার দুর্গাপুজো দেখে আসছি । এবারও দেখলাম । আমি কলকাতার বাইরের বাসিন্দা হলেও কলকাতা আমার কাছে নিজের ঘরের মতই কারণ আমার আমার মামার বাড়ি ও দিদির বাড়ি সহ আরও বহু আত্মীয়ের বাস কলকাতাতেই তাই পুজোর দিনগুলোতে এখানে ঘাঁটি গাড়তে কোন অসুবিধা হয় না । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">পুজোর দিনগুলোতে কলকাতা যেন এক অন্য চেহারা নেয় । এমনিতে কলকাতা রাতজাগা শহর নয় । রাত দশটা বাজলেই শহরের বহু এলাকা একেবারে ফাঁকা হয়ে যায় । কিন্তু পুজোর দিনগুলোতে সারা রাত্রি শহর জেগে থাকে । বাস ও মেট্রোরেল চলে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">কলকাতার পুজো গুলোকে এখন মোটামুটি চারভাগে ভাগ করা যায় । প্রথম হল পুরনো জমিদার ও বনেদী বংশের পুজোগুলি । যারা শত অসুবিধার মধ্যেও নিজেদের পুজো বজায় রাখতে পেরেছে । যেমন শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো বা লাটুবাবু ছাতুবাবুর বাড়ির পুজো । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">দ্বিতীয় হল সার্বজনীন পুজো । অর্থাৎ ক্লাব বা পাড়ার পুজো । সার্বজনীন পুজোগুলি আবার দুভাগে বিভক্ত । একদল চিরাচরিত ধরনের মন্ডপ এবং প্রতিমা তৈরি করেন যেমন বাগবাজার সার্বজনীন বা ম্যাডক্স স্কোয়ারের পুজো । এছাড়াও আরো বহু সার্বজনীন পুজোই এই গোত্রের মধ্যে পড়বে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">দ্বিতীয় প্রকারের সার্বজনীন পুজোগুলিকে বলা যেতে পারে থিম পুজো ।যে ধরনের পুজোর এখন কলকাতায় রমরমা । থিম পুজোর বৈশিষ্ট্য হল প্রত্যেক বার মণ্ডপ এবং প্রতিমার চেহারা আলাদা আলাদা রকমের হয় । কোন একটি বিশেষ থিম বেছে নেওয়া হয় প্রতিমা এবং মণ্ডপসজ্জার জন্য । এই থিম যেকোন রকমেরই হতে পারে । যেমন এবারেই যে থিমগুলি দেখা গেছে সেগুলি হল বাংলার গ্রাম এবং নবান্ন, আফ্রিকার আদিবাসী গ্রাম, রাজস্থানের দুর্গ, দক্ষিন ভারতীয় মন্দির, পুরনো ভাঙা মন্দির, নোয়ার জলযান প্রভৃতি । অন্যান্য বছরে আরো রোমাঞ্চকর কিছু থিমের মধ্যে ছিল মঙ্গলগ্রহ, ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট প্রভৃতি । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">সার্বজনীন পুজোগুলি ছাড়া এখন কলকাতায় যে পুজোগুলি সংখ্যায় বাড়ছে সেগুলি হল ফ্ল্যাটবাড়ির পুজো । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">দিনে দিনে কলকাতার পুজোর বাজেট আরোও বাড়ছে এবং ছোটখাটো অল্প বাজেটের পুজোগুলিও আস্তে আস্তে বড় বাজেটের হয়ে উঠছে । কলকাতার বেশিরভাগ বড় বড় পুজোই আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলে হয় না । তার বদলে এখন বড় কম্পানিগুলি বেশির ভাগ টাকা স্পনসর করে । কলকাতায় বিজ্ঞাপন করার সের সময় হল পুজোর সময় আর কম্পানিগুলি সেটা ভালোই বোঝে । যেমন এবার খুব বড়ভাবে হাজির ছিল ভোডাফোন কম্পানি। এই কম্পানিটি কলকাতায় এসেছে মোবাইল কম্পানি হাচকে কিনে নেবার মাধ্যমে । তাই পুজোর সময়কে তারা বেছে নিয়েছিল কলকাতায় নিজেদের ব্রান্ড আর লোগো কে সাধারন মানুষের কাছে পরিচয় করানোর জন্য । এইজন্য বেশির ভাগ পুজোমন্ডপে তাদের বিজ্ঞাপন দেখা গেছে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালী নেতাও তাদের শক্তি পরীক্ষা করে নেয় বড় বাজেটের পুজো করানোর মাধ্যমে । অনেক সময় তাদের নাম পুজো কমিটির কোথাও থাকে না কিন্তু সবাই জানে যে এটা অমুকদার পুজো । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">কলকাতা এই কয়েকটা দিন বলা যেতে পারে যে একটি বিশাল শিল্প প্রদর্শনীতে পরিণত হয় । সাধারনলোকে খুব কমই কলকাতায় শিল্পপ্রদর্শনী দেখতে যায় বিভিন্ন গ্যালারিতে কিন্তু পুজোর সময়ে খুব সহজেই শিল্পীরা সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেন । এছাড়া বিভিন্ন থিমের পুজোর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করা যায় । যাদের পক্ষে রাজস্থানে বা দক্ষিন ভারতে গিয়ে বিখ্যাত স্থাপত্যগুলি দেখে আসা সম্ভব নয় তারাও অন্তত কিছুটা ধারনা পেতে পারে সেই আদলে তৈরি মন্ডপগুলি দেখে ।এছাড়া বহু অজানা শিল্প ও সংস্কৃতির সাথেও পরিচয় করা যায় এই সময়ে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">কলকাতার পুজোর আরো একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আলোকসজ্জা । মূলত চন্দননগরের আলোকশিল্পীরাই মূলত আলোকসজ্জাগুলি তৈরি করে থাকেন । সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা উঠে আসে আলোকসজ্জার মাধ্যমে । </span></p> <p><span style="font-size:130%;">পুজো তো চলে গেল আর অনেকের পক্ষেই কলকাতায় এসে পুজো দেখা সম্ভব নয় । তবে এবছর ডিজিট্যাল ক্যামেরার দাম কমায় আর ইন্টারনেটের প্রসার আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর ছবি ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে । তাই পিকাসা বা ফ্লিকারে গিয়ে Durga Puja 2007 লিখে সার্চ করলেই আপনি কলকাতার পুজোর অনেক ভালো ভালো ছবি দেখতে পাবেন ।</span></p>Unknownnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-75575464540027986452007-10-06T23:49:00.000+05:302007-10-06T23:53:20.936+05:30শারদীয়া আনন্দমেলা, কাকাবাবুর চোখে জল এবং অন্যান্য<span style="font-size:130%;">মনে আছে ছোটবেলায় শারদীয়া আনন্দমেলায় পড়তাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সমরেশ মজুমদারের অর্জুন আর শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের রোমাঞ্চকর সব উপন্যাস এছাড়া শৈলেন ঘোষের রূপকথার উপন্যাসও আমার বেশ ভাল লাগত ।<br /><br />তাই সেই পুরোনো স্বাদ আবার ফিরে পেতে এবারে কিনলাম শারদীয়া আনন্দমেলা । কিন্তু হতাশ হলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবুর উপন্যাস ‘কাকাবাবুর চোখে জল’ পড়ে । এটি একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস । সেই বস্তাপচা কিডন্যাপিং এর গল্প । কাকাবাবুর বেশির ভাগ উপন্যাসই কিডন্যাপিং সংক্রান্ত । কোন গল্পে কাকাবাবু কিডন্যাপ হয় । কোন গল্পে কিডন্যাপ হয় সন্তু বা জোজো আবার কোন গল্পে অন্য কেউ । ‘কাকাবাবুর চোখে জল’ উপন্যাসে কিডন্যাপ হল কাকাবাবুর পাড়ার একটি বাচ্চা ছেলে । তারপর কাকাবাবু কিভাবে সেই ছেলেটিকে উদ্ধার করে আনলেন সেই নিয়েই হল গল্প ।<br /><br />উপন্যাসটিতে কোন প্লটের বালাই নেই । কাকাবাবু গেলেন আর কয়েকজনকে ঠেঙিয়ে ছেলেটিকে নিয়ে এলেন এই হচ্ছে গল্প । আর সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এই উপন্যাসে সন্তু বা জোজোর সেরকম কোনো ভূমিকা নেই । কেবল মুখ দেখানোর জন্যই তার উপন্যাসে হাজির এরকম ব্যাপার আমি প্রথমবার দেখলাম ।<br /><br />উপন্যাসটি পড়তে গেলে মনে হয় কেবল মাত্র লেখার জন্যই যেন লেখা হয়েছে । স্রেফ কিছু পাতা ভর্তি করে দেওয়া । লেখক হিসাবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যে কিরকম অবনতি হয়েছে এই উপন্যাসটিই তার প্রমাণ । কিছুদিন আগেই কিনেছিলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র প্রথম খন্ড । এই খন্ডেই ছিল সুনীলের কিছু বিখ্যাত উপন্যাস । যেমন আত্মপ্রকাশ, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভৃতি । কি সহজ সরল দৃপ্ত ভাষায় লেখা উপন্যাসগুলি । মানুষের বিভিন্ন অভিব্যক্তি হাসি দুঃখ রাগ কামনা কিভাবে তিনি অক্লেশে লিখেছিলেন । চকচকে ছোরার ফলার মত ছিল এক একটি উপন্যাস তাঁর । আর আজ সেই লেখকের এরকম বাজে লেখা পড়তে আমার একটুও ভাল লাগল না । অবশ্য কাকাবাবুর উপন্যাসগুলির সাথে এগুলির তুলনা চলে না । তবুও কাকাবাবুর কিছু পুরোনো উপন্যাস নতুনগুলির থেকে অনেকাংশে ভাল ছিল । যেমন বিজয়নগরের হীরে, সবুজ দ্বীপের রাজা, মিশর রহস্য, কাকাবাবু ও বজ্রলামা, নীলমূর্তি রহস্য প্রভৃতি । আর এই বিষয়ের উপর কাকাবাবুর আরেকটি উপন্যাস আছে । সেটি হল কাকাবাবু ও শিশুচোরের দল ।<br /><br />শারদীয়া আনন্দমেলার আরেকটি উপন্যাস পড়লাম শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘অঘোরগঞ্জের ঘোরালো ব্যাপার’ । কাকাবাবুর চোখে জলের মত এত বাজে না লাগলেও শীর্ষেন্দুর উপন্যাসটি পড়েও ঠিক মন ভরল না । এরকম উপন্যাস শীর্ষেন্দু অনেক লিখেছেন । মনে আছে স্কুলে পড়ার সময় যখন শীর্ষেন্দুর ঝিলের ধারে বাড়ি, গৌড়ের কবচ বা পটাশগড়ের জঙ্গলের মত উপন্যাস পড়েছিলাম তখন কি ভালোই না লেগেছিল । সেরকম ভালো লাগা অঘোরগঞ্জের ঘোরালো ব্যাপারে পাওয়া গেল না ।<br /><br />মনে হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত লেখকেরা তাঁদের প্রতিভার শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন । লেখার মধ্যে সেই উদ্যম বা নতুনত্ব আর নেই । দেখা যাক নতুন লেখকেরা কেউ হাল ধরেন কিনা ।<br /><br /></span>Unknownnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-84010927602721788342007-09-15T00:01:00.000+05:302007-09-15T00:16:07.130+05:30তসলিমার উপর হামলা, গ্লোবাল ভয়েস অনলাইন ও আরো কিছু কথা ।<span style="font-size:130%;">আমি প্রায় একমাস আগে তসলিমা নাসরিনের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম আমার এই ব্লগে । আমি কয়েকদিন আগে অবাক হয়েই দেখলাম <a href="http://globalvoicesonline.org/">গ্লোবাল ভয়েস অনলাইনে</a> <a href="http://bn.globalvoicesonline.org/2007/08/17/174/">বাংলা</a> <a href="http://hi.globalvoicesonline.org/bangla-blogs-its-all-about-taslima/">হিন্দি</a> এবং <a href="http://www.globalvoicesonline.org/2007/08/17/bangla-blogs-its-all-about-taslima/">ইংরাজিতে </a>আমার সেই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে ।<br /><br />গ্লোবাল ভয়েসে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার ব্লগারদের বক্তব্য অনুবাদের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় । বলা যেতে পারে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার ব্লগারদের মিলনের স্থান এই সাইট । তাঁরা যে আমার মত একজন ব্লগারের বক্তব্য তাঁদের সাইটে তুলে ধরেছেন সে কারণে আন্তরিকভাবে আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ ।<br /><br />এর আগেও একবার গ্লোবাল ভয়েসে আমার কথা তুলে ধরা হয়েছিল যখন আমি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকাররের ভুল সংরক্ষন নীতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম ।<br /><br />আমার ব্লগের পাঠক সংখ্যা খুব একটা বেশি নয় । পরিসংখ্যান থেকে দেখতে পাই যে প্রতিদিন আমার ব্লগে গড়ে মাত্র ছয় থেকে দশজন আসেন । এমনিতেই বাংলা ব্লগের পাঠক সংখ্যা কম । তারপর সেই পাঠকদের বেশিরভাগই সামহোয়্যারইন ব্লগ বা সচলায়তন ছাড়া আর কিছু পড়েন না । তবুও যে আমার ব্লগের লেখা কারো কারো চোখে পড়ে এবং তা অন্য জায়গায় প্রকাশিত হয় এটা দেখে ভাল লাগে এবং আরো লেখার আগ্রহ জাগে ।<br /><br />বাংলাতে লেখা আরো অন্য ব্লগ যখন পড়ি তখন অনেক সময়েই মনে হয় যে আমার লেখা কিছুই হচ্ছে না । অন্য লেখকেরা তাঁদের ব্লগে কত সুন্দর সুন্দর লেখা লেখেন । সে সমস্ত লেখার গভীরতা অনেক বেশি । আমার সেরকম লেখার ক্ষমতাও নেই আর তার চেষ্টাও করি না । কিন্তু যখনই দেখি যে কারো ব্যক্তিস্বাধীনতা আক্রান্ত হচ্ছে তখনই তার প্রতিবাদ জানাতে ইচ্ছা করে । সে স্বাধীনতা কোন ব্যক্তিরও হতে পারে আবার কোন রাষ্ট্রেরও হতে পারে । যে সমস্ত মানুষ ইরাক আক্রমনের জন্য আমেরিকাকে দায়ী করে গাল দেন আর নিজের বাড়িতে বাচ্চা চাকরদের উপর নির্যাতন করেন আমার মনে হয় সেইসব মানুষদের স্বাধীনতা নিয়ে কোন কিছু বলার অধিকার নেই ।<br /><br />কোনোরকমে পড়াশোনা শেষ করেছি । পড়াশোনা করতে কোনদিনই আমার খুব একটা ভাল লাগত না । যখন থেকে আমার পরীক্ষার টেনশন দূর হল আমার মনে হয় সেদিন থেকেই আমার আসল পড়াশোনা শুরু হল । এখন আমার নানা বিষয়ে পড়াশোনা করতে ভালই লাগে । আমার প্রিয় বিষয় ইতিহাস । সভ্যতার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খালি দেখি ক্ষমতা দখলের লড়াই ইতিহাসের মূল বিষয় হয়ে বসে আছে । আর তার উপর আছে ধর্মান্ধতা । কিছুদিন আগেই বোধহয় উৎসর ব্লগে পড়ছিলাম যে ভগবান আসলে খুব ভীতু । একধর্মের ভগবান কিছুতেই অন্যধর্মের ভগবানকে সহ্য করতে পারেন না । কেউ যদি ঈশ্বরের একটু নিন্দামন্দ করে তাহলেই তাঁর আসন টলে ওঠে ।<br /><br />তসলিমা নাসরিন যদি ইসলাম হজরত মহম্মদ বা আল্লা সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেই থাকেন তাহলে ইসলামেরই বা কি আর আল্লারই বা কি । যেকোন ধর্মের ঈশ্বর সম্পর্কেই বলা হয়ে থাকে যে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান । আরে ঈশ্বর যদি সর্বশক্তিমান হয়েই থাকেন তাহলে নিশ্চই তাঁর ইচ্ছাতেই সব কিছু হয় । তাহলে ধরে নিতে হবে যে তসলিমা নাসরিন যে মন্তব্যগুলি করেছেন তাও সম্ভব হয়েছে কেবল সর্বশক্তিমান আল্লার ইচ্ছাতেই । আর আল্লার ইচ্ছাতেই যদি সবকিছু হয়ে থাকে তো কিছু লোকের খেপে ওঠার কারণ কি বোঝা যায় না । হয়ত কিছু লোকের খেপে ওঠাও হয়ত সম্ভব হয়েছে আল্লার ইচ্ছাতেই ।<br /><br />আসলে মৌলবাদ মানুষকে এমনভাবে নিজের জালে জড়িয়ে ফেলছে তারা নিজেরা কি করছে বা কি বলছে তারা নিজেরাই তা জানে না । এরমধ্যে আবার কলকাতার এক মসজিদের ইমাম তসলিমা নাসরিনকে হত্যার ডাক দিলেন । আর আমাদের বামপন্থী প্রগতিশীল মার্কসবাদী সরকারের পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে রইল । সত্যি লোকহাসানো আর কাকে বলে । এর আগে এরা একবার লোক হাসিয়েছিল তসলিমার দ্বিখণ্ডিত নিষিদ্ধ করে । পরে আবার আদালতের রায়ে দ্বিখণ্ডিত বাজারে ফিরে আসে । আর না এলেও কোন ক্ষতি ছিল না । কারণ বইতে ইন্টারনেটে সহজলভ্য আর নকল বইও সহজেই পাওয়া যায় । আর এসব আটকানোর কোন ক্ষমতা এদের নেই ।<br /><br />এরা আবার বিজেপিকে অসভ্য বর্বর বলে ! আসলে মুসলমানদের ভোট টানার জন্য বিজেপি কংগ্রেস আর সিপিএমের মধ্যে কোন তফাত নেই । তারা সবাই সমান সাম্প্রদায়িক । কিন্তু গত পঞ্চাশ বছরে তারা ভারতে মুসলমানদের কোন উন্নতিই করতে পারে নি ।</span>Unknownnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-27371452.post-38426401641423678952007-08-11T19:36:00.000+05:302008-12-09T20:01:41.236+05:30কুট্টি জুট্টি পর্ব ৩<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhNRPX-9HoIGAwJeFBlRmjDVeAVowLmj8EHJZ54avY5ghT7zPCrCkoFpIkYPj2tujA0hyuUyTQG1x-LKUTFmH2ZBShmU4caryGsX761DwwWLh1svYZps1PrurceKTHbP-arv0aU/s1600-h/24.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhNRPX-9HoIGAwJeFBlRmjDVeAVowLmj8EHJZ54avY5ghT7zPCrCkoFpIkYPj2tujA0hyuUyTQG1x-LKUTFmH2ZBShmU4caryGsX761DwwWLh1svYZps1PrurceKTHbP-arv0aU/s400/24.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5097444731526505314" border="0" /></a><br /><div style="text-align: center;"><span style="font-size:130%;">ঘিসিং এবং বেনজির ভু্ট্টো<br /><br /></span></div><a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhX6zYR-_gO6HxIMdPjO8onW-sWNtB9BRSJrAs7zRYoUIu_ignT5LILhsJRW2mWecEdubevcE0bbxQ4VERhJqVebA-VpLK69UqHaiyir1xQA2v4QJNPjQWUNdY5BNMm8qzH3ZpY/s1600-h/26.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhX6zYR-_gO6HxIMdPjO8onW-sWNtB9BRSJrAs7zRYoUIu_ignT5LILhsJRW2mWecEdubevcE0bbxQ4VERhJqVebA-VpLK69UqHaiyir1xQA2v4QJNPjQWUNdY5BNMm8qzH3ZpY/s400/26.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5097444735821472626" border="0" /></a><br /><div style="text-align: center;"><span style="font-size:130%;">এরশাদ এবং গর্বাচভ</span><br /></div><br /><a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhvEDKzkXrpQppTb3czEJ7P-qfGJRQ71c3P7IFOe0fcVWQJajnF2SPGzHUcbuycIoI3PKvq1BQG0SXUDJA4mKLzJhao1wJ9CY1twZ84ZCQBF92-1W1V1owCnIwZQ3p3LerVqF5f/s1600-h/28.JPG"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhvEDKzkXrpQppTb3czEJ7P-qfGJRQ71c3P7IFOe0fcVWQJajnF2SPGzHUcbuycIoI3PKvq1BQG0SXUDJA4mKLzJhao1wJ9CY1twZ84ZCQBF92-1W1V1owCnIwZQ3p3LerVqF5f/s400/28.JPG" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5097444735821472642" border="0" /></a><br /><div style="text-align: center;"><span style="font-size:130%;">জর্জ বুশ সিনিয়র এবং মার্গারেট থ্যাচার</span><br /></div><br /><a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZiIZQot1uz4LduQkXG_mL_W9Bh5YGT7XYz1eye6LhkEX_-kflCfIKPCqehZx-CCSvncL2l8eayb5tyWrAJP4u6IAYXxg0cqxewW8LVhYZYn64k-V3DhsuIbuppWLShrS4PlPZ/s1600-h/30.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZiIZQot1uz4LduQkXG_mL_W9Bh5YGT7XYz1eye6LhkEX_-kflCfIKPCqehZx-CCSvncL2l8eayb5tyWrAJP4u6IAYXxg0cqxewW8LVhYZYn64k-V3DhsuIbuppWLShrS4PlPZ/s400/30.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5097444740116439954" border="0" /></a><br /><div style="text-align: center;"><span style="font-size:130%;">সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেন </span><br /></div><br /><a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhO63-QSdoOTGoDePfqBzDCT4-N6TxsyS9S7D11aITgPlx2QHLXjYzQS4l2zDkjv88Z1G9hlKbmM5Ow_LKPnvEhrLUG-higEFPJo-K1B4xkKeeVuDMmycXKIGvwoLECGnoKfI5E/s1600-h/32.jpg"><img style="margin: 0px auto 10px; display: block; text-align: center; cursor: pointer;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhO63-QSdoOTGoDePfqBzDCT4-N6TxsyS9S7D11aITgPlx2QHLXjYzQS4l2zDkjv88Z1G9hlKbmM5Ow_LKPnvEhrLUG-higEFPJo-K1B4xkKeeVuDMmycXKIGvwoLECGnoKfI5E/s400/32.jpg" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5097444740116439970" border="0" /></a><br /><div style="text-align: center;"><span style="font-size:130%;">অমিতাভ বচ্চন এবং মিঠুন চক্রবর্তী </span><br /></div>Unknownnoreply@blogger.com0