লাভ সেক্স আউর ধোখা
আধুনিক হিন্দি চলচ্চিত্র ক্রমশ এগিয়ে চলেছে আরো আধুনিকতার দিকে আর ডিরেক্টর দিবাকর ব্যানার্জীর ছবি লাভ সেক্স আউর ধোখা তাকে আরো এগিয়ে দিল ।
হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় তোলা ছবি নতুন কিছু নয় । ভারতীয় দর্শকরা আগে দেখেছেন মনসুন ওয়েডিং এর মত ছবি । এছাড়াও হলিউডের ছবি ক্লোভারফিল্ড এবং প্যারানরম্যাল অ্যাকটিভিটিজ এইভাবে তোলা হয়েছিল । লাভ সেক্স আউর ধোখা তে তার সাথে আরো যুক্ত হয়েছে ননলিনিয়ার গল্প বলার পদ্ধতি । যা আমরা আগে দেখেছি পাল্প ফিকশন বা মেমেন্টোর মত ছবিতে । অর্থাৎ পুরো ছবিতে গল্পটা পরপর বলা হয় না খাপছাড়া ভাবে দেখানো হয় । কিন্তু পরে এসে সবটাই মিলে যায় । এখানে ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে হ্যান্ডিক্যাম এবং সিকিউরিটি ক্যামেরা । ভারতে প্রতিমূহুর্তে বেড়ে চলা এমএমএস স্ক্যান্ডাল এবং ওয়েবক্যাম এবং হ্যান্ডিক্যামে তোলা ব্যক্তিগত পর্ণ ছবির চাহিদা উর্ধ্বমুখী । সাধারন এন্টারটেনমেন্টে আর মানুষের চাহিদা মিটছে না । তারই পটভূমিকায় নির্মিত এই ছবি । কাস্টিং কাউচ এবং স্টিং অপারেশনও এই ছবির গল্পের একটা অংশ । সংবাদমাধ্যমও যে কিভাবে এই ক্লিপিংসগুলোকে কিভাবে নিজেদের লাভের জন্য তৈরি করে এবং ব্যবহার করে তাও দেখানো হয়েছে ।
এই ছবিতে তিনটি আলাদা গল্প দেখানো হয় কিন্তু মূল চরিত্রগুলি ঘুরে ফিরে আসে সবগুলিতেই । ছবিতে কোনো চেনামুখ নেই এবং ছবির বাজেটও অতি কম । এত কম বাজেটেও যে এত ভাল ছবি তোলা যায় দিবাকর ব্যানার্জী তা দেখিয়ে দিলেন ।
সাহসী পরিচালনা, চিত্রনাট্য ও গল্প এই ছবিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে । হিন্দি ছবিতে এই প্রথম ফাকিং শব্দটা শুনলাম । একটি গানের কথা ‘তুঝে নাঙ্গি আচ্ছি লাগতি হ্যায়’ যদিও এটিকে বদলে দেওয়া হয়েছে । বালাজি টেলিফিল্মস পারিবারিক সিরিয়াল ছেড়ে যে এরকম একটা সিনেমা প্রোডিউস করল দেখে ভাল লাগল । এডিটিং অসাধারন । ছবিতে গানের তেমন প্রাধান্য না থাকলেও যেটুকু আছে বেশ ভাল । আর বলিউডে বহু বছর পর আবার একজন মহিলা সঙ্গীত পরিচালক স্নেহা খানওয়ালকার । তাঁরা আগের ছবি ছিল ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে ।