Saturday, May 31, 2008

ক্লোভারফিল্ড

গতকাল ক্লোভারফিল্ড নামের একটি সিনেমা দেখছিলাম । সিনেমাটির বিষয়বস্তু নতুন কিছু নয় একটি অতিকায় প্রাণীর নিউইয়র্ক আক্রমন । এর আগে বহু সিনেমায় যেমন ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে, গডজিলা, কিংকং এ আমরা নিউইয়র্ক শহরে অতিকায় প্রানীর দাপাদাপি দেখেছি । 

কিন্তু সিনেমাটি যেভাবে তোলা হয়েছে তাতে পুরো ব্যাপারটিই একটা আলাদা মাত্রা পেয়ে গেছে । সিনেমাটি পুরোটা তোলা হয়েছে হোম ভিডিও যেভাবে তোলা হয় সেভাবে । পুরো ক্যামেরা টেকনিকটার স্টাইল হল যেন কোন অপেশাদার ক্যামেরা ম্যান পুরোটা তুলেছে । অবশ্য গল্পেও সেটাই ছিল । গল্পের শুরুতে বলা হয় যে ধ্বংসপ্রাপ্ত নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক থেকে মিলিটারিরা ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছে । সেই ক্যামেরার এডিট না হওয়া ফুটেজটাই হল পুরো সিনেমা । পুরো সিনেমা জুড়ে ক্যামেরা কোন সময়েই স্থির নেই সব সময়েই কাঁপছে অনেক সময়েই যে কথা বলছে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না বা তার মুখ কেটে যাচ্ছে । আবার অনেক সময় ক্যামেরা হাত থেকে পড়ে যাচ্ছে বা বেঁকে যাচ্ছে ।   

অর্থাৎ বাড়িতে হ্যান্ডিক্যাম বা মোবাইলে ভিডিও তুললে যা হয় সেই ভাবেই পুরো সিনেমাটি দেখানো হয়েছে । চিত্রগ্রহনের এই পদ্ধতি এর আগে মনসুন ওয়েডিং নামের একটি সিনেমায় দেখেছিলাম কিন্তু এই ধরনের প্যানিক এবং সাই-ফাই সিনেমায় পুরো ব্যাপারটাই আলাদা মাত্রা পেয়েছে । ফার্স্ট পার্সনে চিত্রগ্রহন করার ফলে সিনেমাটি অনেক আকর্ষনীয় হয়েছে । এখানে দর্শক শুধু দর্শক নয় সেও যেন সিনেমাটির একটি চরিত্র । রোমাঞ্চ যেন আরও বেশি করে অনুভব করা গেছে । 

অনেকের কাছেই এই স্টাইলটা বেশ ভাল লেগেছে এবং নতুন জেনারেশনের কাছে এটা গ্রহন যোগ্য কারন তারা এইভাবেই ভিডিও তুলতে অভ্যস্ত । যদিও হলে দেখতে গিয়ে কেউ কেউ মাথা ঘোরা এবং ধরার অভিযোগ জানিয়েছেন ।