Saturday, July 29, 2006

বিবেকানন্দের ভুল

 “ছোটবেলায় জাত যায় কি না পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন জাতের হুঁকো খেয়ে দেখেন! এখানেই তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করে বসলেন। তিনি জানতেন না যে তামাকের বিষ একবার শরীরে প্রবেশ করলে যে আসক্তি তৈরী হবে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করলেও তা দূরীভূত হবে না। জাত যাওয়া নিয়ে পরীক্ষাটি তিনি বিভিন্ন জাতের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট জলের গ্লাস থেকে জল খেয়ে খেয়েও করতে পারতেন। ৩৯ বত্সর বয়সে তাঁর অকালমৃত্যুতে দেশের ও বিশ্বের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল, তার মূখ্য কারণ ছিল তামাক।”
বাংলা উইকিপিডিয়ায় (bn.wikipedia.org) একজন বিবেকানন্দ প্রবন্ধে এই কথা লেখেন এবং তার পরেই উইকিপিডিয়ার একজন প্রশাসক এই প্যারাটি মুছে দেন । আমার মনে হল কোথাও একটা এই কথা প্রকাশ হওয়া দরকার তাই এখানে প্রকাশ করলাম ।



বাংলা উইকিপিডিয়া

আমরা অনেকেই আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য উইকিপিডিয়া (wikipedia.org) ব্যবহার করে থাকি । কোনো তথ্য খুঁজতে হলে ইন্টারনেটে ইতস্তত খোঁজাখুঁজি না করে যদি প্রথমেই উইকিপিডিয়াতে খোঁজা যায় তাহলে দেখেছি অনেক ভাল ফল পাওয়া যায় । ইংরাজী উইকিপিডিয়াতে (en.wikipedia.org) বর্তমানে ১২,৭৬,৪১৪ টি প্রবন্ধ আছে । যা পৃথিবীর অন্য কোন এনসাইক্লোপিডিয়ার থেকে অনেক বড় ।
উইকিপিডিয়ার এত বিশাল আকার হওয়ার কারন হল যে কেউ এই প্রবন্ধগুলি সম্পাদনা করতে পারে । এবং নতুন প্রবন্ধ সৃষ্টি করতে পারে । উইকিপিডিয়ার সব তথ্যই যে সম্পূর্ণ সঠিক তা নয় তবে একজনের ভুল অন্যজনের দ্বারা ঠিক হয় বলে ক্রমশ ভুলের পরিমান কমে আসে ।
আমরা অনেকেই শুধু ইংরাজী উইকিপিডিয়া ব্যবহার করি । আমরা অনেকেই জানি না যে উইকিপিডিয়া ইংরাজী ছাড়াও আরো ২২৮ টি ভাষায় কাজ করে । যার মধ্যে বেশ কিছু ভারতীয় ভাষাও রয়েছে । আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলা উইকিপিডিয়াতে (bn.wikipedia.org) কিছু নতুন প্রবন্ধ যোগ করেছি এবং কিছু সম্পাদনাও করেছি । বর্তমান বাংলা উইকিপিডিয়াতে প্রবন্ধের সংখ্যা হল ৩৪৯০টি । সংখ্যার বিচারে বাংলা ৬৯ স্থানে আছে । (http://meta.wikimedia.org/wiki/List_of_Wikipedias) এবং খুব তাড়াতাড়ি অগ্রগতি ঘটছে । বাংলা উইকিপিডিয়া ইউনিকোড বাংলা ব্যবহার করে । অর্থাৎ আপনি যদি আমার এই এই ব্লগটা ঠিকভাবে দেখতে পান তাহলে বাংলা উইকিপিডিয়াও ঠিক ভাবে দেখতে পাবেন ।
অন্যান্য ভারতীয় ভাষাতেও কাজ চলছে সব গুলির অবস্থা আশাব্যঞ্জক নয় তবে আশা করা যেতে পারে পরবর্তী কয়েক বছরে অবস্থার অনেক উন্নতি ঘটবে ।

কয়েকটি দক্ষিন এশিয় ভাষায় বর্তমান প্রবন্ধের সংখ্যা

মারাঠি : ৪৮২১ তামিল : ৩৪৮১ তেলেগু : ৩৩০০ কন্নড় :২৬০৮ উর্দু : ১৭১৫
হিন্দি : ১৪৮৮ মালয়ালম : ৬৭৬ সংস্কৃত : ৬১৫ কাশ্মিরী : ২৯৭
গুজরাটী : ২১২ নেপালী : ১২৬ সিংহলি : ১২৫ সিন্ধি : ৭৬
পাঞ্জাবি : ৪৯ ভোজপুরি : ৬ অসমীয়া : ৫ পালি : ৩

সুতরাং দেখা যাচ্ছে দক্ষিন ভারতীয় ভাষার মধ্যে বাংলা এখন দু নম্বরে মারাঠির পরেই । কিন্তু অনেক প্রবন্ধই একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে । তাই বাঙালি হিসাবে আমাদের সকলেরই কর্তব্য আমাদের কাছে অল্প স্বল্প যা কিছু তথ্য আছে তা যে ব্যাপরেই হোক না কেন এক লাইন দু লাইন হলেও বাংলা উইকিপিডিয়ায় দেওয়া । আপনার যদি কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসকদের সাহায্য আপনি সহজেই পাবেন ।

আরো বিশদ জানতে ও সাহায্যের জন্য মেল করুন রাগিব হাসান কে (ragibhasan@gmail.com) । ইনি বাংলা ও ইংরাজী উইকিপিডিয়ার একজন প্রশাসক এবং এখন বাংলা উইকিপিডিয়া নিয়ে পুরোদমে কাজ করছেন ।

Friday, July 21, 2006

ভারতে ব্লগ ব্যান অবশেষে উঠল

ভারতে ব্লগ ব্যান অবশেষে উঠে গেল । সমস্ত ব্লগস্পট ব্লগ গুলি আবার দেখা যাচ্ছে । যে সমস্ত ব্লগ এবং ওয়েবসাইটগুলিকে ব্যান করা হয়েছিল সেগুলো আবার দেখা যাচ্ছে । যেমন Hinduunity.org আবার আগের মতই খুলছে । এই কয়েকদিনের ব্যানে কাজের কাজ কিছুই হল না খালি ভারত সরকারকে কিছু গালাগালি হজম করতে হল । দেশের ভিতরে এবং বাইরে থেকে প্রবল চাপের ফলেই যে ভারত সরকারকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হল তাতে কোন সন্দেহ নেই । ভারত সরকার যে সমস্ত সাইট গুলোকে আটকেছিল সেগুলোতে প্রবলভাবে ভারত বিরোধী আর দেশের নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর এমন একেবারেই নয় । এদের সাথে উগ্রপন্থার কোন সম্পর্ক নেই । যেমন rahulyadav.com এক আমেরিকান হিন্দু ছাত্রের ওয়েবসাইট । সে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য । তার ওয়েবসাইটে এমন কিছুই বক্তব্য নেই যে সাইটটিকে ব্যান করতে হবে । খালি কয়েকটি হিন্দুপন্থী সংগঠন যেমন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের লিঙ্ক দেয়া আছে । কয়েকটি সাইটের সাথে ধর্ম বা উগ্রপন্থার কোন সম্পর্কই নেই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সাইট । তাও তাদের ব্যান করা হয়েছিল ।

বর্তমান কেন্দ্রীয় কংগ্রেস সরকার সবদিক থেকই ক্রমশ অযোগ্য প্রমানিত হচ্ছে । বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা অল্পবয়েসী নাগরিকদের খেপিয়ে তুলছে । কংগ্রেস সরকারের এই আচরন যে তাদের পক্ষেই কতটা খারাপ হচ্ছে তা তারা নিজেরাই বুঝছে না । শিবরাজ পাতিল এবং অর্জুন সিংয়ের মত সম্পূর্ণ ব্যর্থ মন্ত্রীকে এখনও রাখা হয়েছে । কংগ্রেসের উচিত এদের এক্ষুনি তাড়ানো । নেহরু গান্ধী পরিবারের ধামাধরা কংগ্রেসের যোগ্যতা যে কতটা তা অনেক আগেই প্রমান হয়ে গেছে । গত ঊনষাট বছরের বেশিরভাগ সময়েই ক্ষমতা তাদের হাতে ছিল এবং তারা ভারতের সেরকম কোন উন্নতি করতে পারে নি । গান্ধীজীর মতানুযায়ী উচিত ছিল স্বাধীনতার পরেই কংগ্রেস পার্টিকে তুলে দেওয়া । এই কংগ্রেস সরকার আবার দেশকে নিচের দিকে টেনে নামাতে চাইছে নতুন করে সংরক্ষন চালু করে এবং ইন্দিরা গান্ধীর ঘৃণ্য জরুরি অবস্থা আবার ফিরিয়ে এনে । কংগ্রেস আসলে নেহেরু গান্ধী পরিবারের পা চাটা কুকুর ছাড়া আর কিছু নয় । মনমোহন সিং শিক্ষিত এবং ভদ্র একজন মানুষ, কিন্তু আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি চরম ব্যর্থ এবং সোনিয়া গান্ধীর হাতের পুতুল । তাঁর উচিত অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া ।

বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপকারী কংগ্রেস সরকার নিপাত যাক !

অবিলম্বে ভারতে ব্লগের উপর ব্যান তোলা হোক

আজও স্বাভাবিকভাবে কোন ব্লগস্পট ব্লগ খোলা যাচ্ছে না । গতকাল দেখলাম ভারত সরকার মাত্র সতেরোটি সাইটকে ব্লক করতে বলেছে । কিন্তু আইএসপি রা পুরো ব্লগ পোর্টাল কেই আটকে বসে আছে । ভারত সরকার যে সতেরোটি ব্লগকে আটকাতে বলেছে সেই গোপনীয় চিঠিটির স্ক্যান করা কপি ইন্টারনেটে এসে গেছে । এবং মজার ব্যাপার হল সাইটগুলি বিভিন্ন প্রক্সি সাইট ব্যবহার করে সহজে খোলাও যাচ্ছে । তার মানে হল এই সাইট আটকানোর ব্যাপারটা আসলে একটা ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছু নয় । যারা এগুলো দেখবার তারা এগুলো ঠিকই দেখবে । এবং আমার মত যারা আগে এই সাইটগুলির নামও শোনেনি তারাও এই সাইটগুলি দেখত উৎসাহী হবে । বলা যেতে পারে ভারতে এই সাইটগুলির দর্শক আরো বেড়ে যাবে । ঠিক এই ব্যাপারটাই হয় যখন সরকার কোনো বই বা সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে । এইরকম ঘটেছিল যখন এর আগে তসলিমা নাসরিনের লজ্জা এবং দ্বিখন্ডিত নিযিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছিল । এইসব বই গুলির নকল কপিতে দেশ ছেয়ে গিয়েছিল । আসলে এইভাবে কোন কিছুকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে কাজের কাজ কিছুই হয় না ।

আমি পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার । আমার কাজের কিছু নমুনা একটি ব্লগস্পট ব্লগে রাখা আছে । ফ্রীল্যান্স কাজের সময় আমি ক্লায়েন্টকে ইউআরএল টা পাঠিয়ে দিই যাতে তারা আমার কাজের কিছু নমুনা দেখতে পারে । আজ তিনজন মেল করে জানিয়েছে যে তারা আমার ইউআরএলটা খুলতে পারছে না । এই ক্লায়েন্টের কাজগুলো যদি আমার হাত থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী কে ? এর ক্ষতিপূরন আমাকে কে দেবে ? ভারত সরকা র না ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ? আমার মত আরো বহু মানুষ আছেন যাঁরা নানা ভাবে ব্লগগুলির উপর নির্ভর করেন । এরা প্রত্যেকেই নানা ভাবে অসুবিধার শিকার হচ্ছেন । বহু ছাত্রছাত্রীর পড়াশুনার ভীষন অসুবিধা হচ্ছে, কারন তাঁরা পড়াশুনার জন্য নানা ব্লগের সাহায্য নেন । বহু সাংবাদিক এবং সমাজসেবী নিজেদের ব্লগ আপডেট করতে পারছেন না । মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন নানা প্রকারের তথ্য থেকে । অনেক ছোট কোম্পানি নিজেদের সম্পর্কে তথ্য রাখেন এই ফ্রী ব্লগ গুলিতে । তাঁদের ব্যবসাও মার খাচ্ছে । আর সবার পক্ষে জানা সম্ভব নয় কিভাবে প্রক্সির মাধ্যমে ব্লগগুলিকে দেখা যায় ।

তাই আমার দাবি অবিলম্বে ভারতে এই ব্লগের উপর ব্যান তোলা হোক । এবং এইরকম লজ্জাজনক কাজ করার জন্য এবং সাধারন মানুষের অসুবিধা করবার জন্য ভারত সরকারের উচিত দুঃখপ্রকাশ করা ।

Wednesday, July 19, 2006

ভারতও শেষ অবধি বিভিন্ন ব্লগ সাইট ব্যান করল

কিছু দিন আগে পাকিস্তান ব্লগার ডট কমে হোস্ট করা সমস্ত ব্লগ ব্যান করেছিল । এবার মুম্বাই ট্রেন বিস্ফোরনের পর ভারতও বেশ কিছু ব্লগ সাইট ব্যান করেছে । ব্যান করা সাইট গুলোর ভিতর রয়েছে । ব্লগস্পট ডট কম, টাইপপ্যাড ডট কম, ব্লগস ডট কম, জিওসিটিজ ডট কম প্রভৃতি ।
ধরেই আমার কম্পিউটারে সরাসরি কোন ব্লগস্পট ব্লগ খুলছিল না । আমি ভেবেছিলাম হয়ত এটা আমার লোকাল কেবল অপারেটরের প্রবলেম । আমি pkblogs.com এবং proxywebsite.com ব্যবহার করে সহজেই ব্লগ গুলিকে খুলতে পারছিলাম । আজ দেখলাম ভারত সরকার সব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে নির্দেশ দিয়েছে বেশ কিছু ব্লগকে আটকাতে । কিন্তু ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা কয়েকটি ব্লগ আটকানোর প্রকৌশলী বুদ্ধি (অথবা ইচ্ছা) না থাকায় পুরো ব্লগ হোস্টিং সাইটগুলিকেই আটকিয়ে দিয়েছে ।
ভারতে বহু মানুষ এখন ব্লগিং করছেন । তাঁদের মধ্যে বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষ যেমন আছেন তেমনি বহু সাধারন মানুষও আছেন । তাঁদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে ভারত সরকার বাক স্বাধীনতার উপরে চরম আঘাত করেছে । ভারত সরকারের এই নেতিবাচক সিদ্ধান্তকে চরম ধিক্কার জানাই ।
কিন্তু ভারত সরকারের এই চেষ্টা যে বিফলে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । কারন এখনও বহু উপায় রয়েছে যার সাহায্যে এই ব্লগ গুলিকে সহজেই দেখা যাবে । যার মধ্যে রয়েছে প্রক্সি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা, গুগুলের ওয়েব পেজ ট্রান্সলেসন পদ্ধতি দিয়ে ইংরাজি থেকে ইংরাজিতে পেজ অনুবাদ করে দেখা , অ্যাডোবের সরাসরি ওয়েব পেজকে পিডিএফএ রুপান্তরিত করে দেখা ইত্যাদি । এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গুগুলে একটু খোঁজ করলেই অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
এরফলে সাধারন মানুষকে ব্লগ দেখা পোস্ট করা আর পড়া থেকে নিরস্ত করতে করতে গিয়ে ভারত সরকার নির্বোধের মত আচরন করছে । আর তার প্রমান করছে যে তারা আসলে পাকিস্তান সরকারেরই জাতভাই ।
এইসমস্ত ব্লক করা ব্লগের ভিতর বহু ব্লগ আছে যারা মুম্বাই বিস্ফোরনের বিরুদ্ধে বহু কথা লিখেছে । বেশ কিছু ব্লগ বিস্ফোরনের পরবর্তী খবর নিয়মিত দিয়ে সাধারন মানুষের বহু উপকার করেছে । আর যদি কোন ওয়েবসাইটে ভারত বিরোধী কোন লেখা প্রকাশিত হয়ে থাকে ভারত সরকারের উচিত তাকে ব্লক না করে ভারতীয় ব্লগারদের সুযোগ দেওয়া যাতে তারা কাউন্টার অ্যাটাকের মাধ্যমে সেই ব্লগের বিরোধীতা করতে পারে ।
এইভাবে হাজার হাজার ভারতীয় ব্লগারকে চরম অপমান করল বর্তমান ভারত সরকার । এর আগে সংরক্ষনের প্রশ্নে প্রচুর ব্লগারের নিন্দার শিকার তারা হয়েছে । মনে হচ্ছে তারা ভারতে আবার ইন্দিরা গান্ধীর কলঙ্কজনক সেই জরুরি অবস্থা আবার চালাতে চাইছে ।
আমি ভারতে বসেই আমার ব্লগ আপডেট করব আর অন্যদের ব্লগও পড়ব । আপনি যদি ভারতের বাইরে থেকে আমার ব্লগ দেখেন তবে অনুগ্রহ করে আপনাদের ভারতীয় বন্ধুদের এ সম্পর্কে জানান আর এটাও জানান যে কিভাবে তারা এই ব্লক সাইট গুলি দেখতে পারেন ।
ভারত সরকারের এই ওয়েব সাইট ব্যানের প্রতিবাদ আমাদের করতেই হবে । মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনে আমাদেরই এই সরকারকে ব্যান করতে হবে । আমাদের সরকারের এই আচরনে আমি ক্ষুব্ধ, দুঃখিত, বিরক্ত, লজ্জিত, হতাশ । কিছু অশিক্ষিতের হাতে আমাদের দেশ যারা বাকস্বাধীনতার কোন মর্মই বোঝে না ।
আবারও চরম ধিক্কার জানাই ভারত সরকারের এই লজ্জাজনক সিদ্ধান্তকে ।

টুডি অ্যানিমেশনের স্বর্ণযুগ কি আমরা পেরিয়ে এলাম ?

অ্যানিমেশন আমরা সবাই দেখতে ভালোবাসি । ছোটবেলা পেরিয়ে আসার পরেও অ্যানিমেশনের প্রতি আমার আকর্ষন এতটুকু কমেনি । খুব ছোটবেলায় আমরা বাংলাদেশ টিভিতে নানা রকমের অ্যানিমেশন দেখতাম । ফ্ল্যাশ গর্ডন, হি ম্যান, থান্ডার ক্যাটস, ম্যানড্রেক, ইত্যাদির কথা এখনও মনে আছে । ভারতের টিভি চ্যানেলে তুলনামূলক ভাবে অ্যানিমেশন কম দেখাতো । তবে ডিজনির বেশ কিছু অ্যানিমেশন দেখেছিলাম । আরেকটু পরের দিকে টিভিতে দেখতাম ডিজনির নানা রকমের সিরিজ অ্যানিমেশন । লিটিল মারমেড, আলাদিন, ডাকটেলস, ইত্যাদি । কিন্তু ডিজনির বিভিন্ন অ্যানিমেশন সিনেমা গুলো দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি । খালি আলাদিন একবার সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছিলাম, সেটা ছিল একটা দারুন অভিজ্ঞতা । তারও বহু পরে সিডি এবং ডিভিডির দৌলতে বেশ কিছু ডিজনি মুভি দেখার সৌভাগ্য হয় যেমন লায়ন কিং, মুলান, অ্যানাস্টেসিয়া, স্নো হোয়াইট এন্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফ । যদিও আজও ডিজনির বহু মুভি দেখা হয়নি ।
আমাদের ছোটবেলায় থ্রিডি অ্যানিমেশনের কোন অস্তিত্ব ছিল না । কারন তখন কম্পিউটারের এত ব্যবহার শুরু হয়নি । প্রথম থ্রিডি অ্যানিমেশন সিনেমা হল টয় স্টোরি । এটা তৈরি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে । আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগে । ১৯৯৫ সালের কম্পিউটার শক্তিতে একটি প্রমান সাইজের থ্রিডি সিনেমা তৈরি মুখের কথা নয় । কারন থ্রিডি অ্যানিমেশন তৈরি করতে খুবই শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় ।

বর্তমানে টুডি অ্যানিমেশন বনাম থ্রিডি অ্যানিমেশনের দৌড়ে থ্রিডি অ্যানিমেশনই যে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই । বলা যেতে পারে ১৯৯৪ সালে লায়ন কিং রিলিজের পরেই আস্তে আস্তে টুডি অ্যানিমেশনে ভাঁটার টান আরম্ভ হয়েছে । লায়ন কিং ছিল একটি অসাধারন সিনেমা । কারোর কারোর মতে এটি এখনও পর্যন্ত সেরা টুডি অ্যানিমেশন সিনেমা । অ্যানিমেশনকে যে কি উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় তা জানতে গেলে এই সিনেমা দেখতেই হবে । কিন্তু দুঃখের বিষয় লায়ন কিং পরবর্তী টুডি অ্যানিমেশন সিনেমা গুলি এই সাফল্য ধরে রাখতে পারে নি ।
যেমন দ্য হাঞ্চবাক অফ নতরদাম (১৯৯৬), হারকিউলিস (১৯৯৭), মুলান (১৯৯৮), দ্য প্রিন্স অফ ইজিপ্ট (১৯৯৮), টারজান (১৯৯৯), দ্য রোড টু এল ডোরাডো (২০০০), আটলান্টিস দ্য লস্ট এম্পায়ার (২০০১), ট্রেজার প্ল্যানেট (২০০২), ব্রাদার বিয়ার (২০০৩), সিন্দবাদ লিজেন্ড অফ দ্য সেভেন সিজ (২০০৩), ইত্যাদি ।

এই সবকটি সিনেমা গুলিতেই খুব উঁচুদরের অ্যানিমেশন ব্যবহার করা হয়েছে । কিন্তু বিরাট হিট এগুলি একটিও নয় । কোন কোনটি হয়তো অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে । ট্রেজার প্ল্যানেট এবং সিন্দবাদ লিজেন্ড অফ দ্য সেভেন সিজ ছিল বিরাট ফ্লপ সিনেমা । ট্রেজার প্ল্যানেট ওয়াল্ট ডিজনি প্রোডাকসনকে প্রায় দেউলিয়া বানিয়ে দিয়েছিল ।

কিন্তু এই সময়ে অনেক থ্রিডি অ্যানিমেশন সিনেমা খুবই সাফল্য লাভ করেছে । যেমন টয় স্টোরি ১ (১৯৯৫), টয় স্টোরি ২ (১৯৯৯)এ বাগস লাইফ (১৯৯৮), ডাইনোসর (২০০০), শ্রেক (২০০১), মনস্টারস ইনক (২০০২), ফাইন্ডিং নেমো (২০০৩), দ্য ইনক্রেডিবলস (২০০৪), শ্রেক ২ (২০০৪),
সেইভাবে বলার মতো ফ্লপ থ্রিডি সিনেমা বলতে একটিই ফাইনাল ফ্যান্টাসি দ্য স্পিরিটস উইদিন ।
তাই বলা যেতে পারে নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকেই টুডি অ্যানিমেশনের অবনমন এবং থ্রিডি অ্যানিমেশনের উত্তরন ঘটছে । এখন তো ডিজনি চ্যানেলে মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক, প্লুটোর থ্রিডি কার্টুনও দেখা যাচ্ছে । যদিও আমার তা খুব একটা পছন্দ হয়নি ।
কম্পিউটারের উন্নতির সাথে সাথে থ্রিডি অ্যানিমেশনের যে আরো উন্নতি ঘটবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । যদিও এখনই টুডি অ্যানিমেশনের নিশ্চিহ্ন হবার কোন ভয় নেই কারন এখনও সারা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে টুডি অ্যানিমেশন তৈরি হয় । কিন্তু একথা আমাদের বোধহয় মেনে নিতেই হবে যে টুডি অ্যানিমেশনের স্বর্ণযুগ আমরা পেরিয়ে এসেছি ।

Friday, July 14, 2006

কমিউনিস্ট জোকস্ ১১

বুদাপেস্টের রাজপথে দুই পথিক একটি মোটরগাড়ির খুব প্রশংসা করছে । ‘চমৎকার দেখতে’, একজন বলে,
-- রুশরা সত্যিই জানে কি করে সুন্দর গাড়ি বানাতে হয় । কি সুন্দর লাইট দুটো ।
কিন্তু এটা তো রাশিয়ান গাড়ি নয় , অন্য পথিক ভুল সংশোধন করে বলে, আপনি কি আমেরিকান গাড়ি দেখে চিনতে পারেন না ?
-- নিশ্চই পারি, প্রথম পথিকের তাৎক্ষনিক জবাব, কিন্তু আমি যে আপনাকে চিনি না !

-- সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় কি সজারুর উপর বসা সম্ভব ?
-- সম্ভব কেবল তিনটি ক্ষেত্রে ।
এক-- যদি পশ্চাদ্দেশ নিজের না হয়;
দুই-- যদি বসার আগে সজারুর কাঁটা ছেটে ফেলা হয়;
তিন-- যদি পার্টি নির্দেশ দেয়।

ঘরে একটি চেয়ার । চেয়ারের ঠিক মাঝখানে পেরেকের ছুঁচলো দিকটি উঁচু হয়ে আছে ।
ইংরেজ ঘরে ঢুকে চেয়ারে বসেই ব্যথায় ককিয়ে উঠল । তারপর এক দৌড়ে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে ।
ফরাসি ঘরে ঢুকল, চেয়ারে বসল । এবং ইংরেজের মতই ছুটে বেরিয়ে গেল ।
রুশ ঢুকল, চেয়ারে বসল । দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করে বসেই রইল ।
এবার ঘরে ঢুকল এক বুলগেরিয়ান । ঘরের অবস্থা দেখে বাইরে চলে গেল এবং অনতিবিলম্বে ফিরে এল আর একটি চেয়ার নিয়ে । পেরেক গাঁথল তাতে । তারপর বসে রইল রুশটির পাশে ।

১৯৭০ সালে ভয়ঙ্কর বন্যায় রুমানিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে সাহায্য হিসেবে আমেরিকা পাঠাল ২০ লক্ষ ডলার । ভারত পাঠাল পাঁচ লক্ষ ডলার । সোভিয়েত ইউনিয়ন পাঠাল ‘সাঁতার শিক্ষা পদ্ধতি’ নামক একটি বই ।

ইজরায়েল গমনেচ্ছু ইহুদিকে কে জি বির লোকরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে :
-- আপনার কোনো আত্মীয় বিদেশে আছে ?
-- না ।
-- মিথ্যে কথা বলবেন না । আমরা জানি, আপনার কাকা থাকেন ইজরায়েলে ।
-- বিদেশে পড়ে আছি আমি, আমার কাকা নয় !


মৃত্যুর পরে এক কমিউনিস্ট নেতা যথাবিহিত নিয়মে পরলোকে পৌঁছলেন । বিস্মিত হয়ে তিনি দেখলেন, পরলোকে দুটি দরজা । একটির মাথায় লেখা ‘কমিউনিস্ট নরক’, অন্যটির মাথায় লেখা ‘ক্যাপিটালিস্ট নরক’
সাম্যবাদী নরকের দরজা দিয়ে ঢুকবেন, না, পুঁজিবাদি নরকে ঢুকবেন, এই নিয়ে চিন্তিত নেতা দেখা পেলেন এক কেরানির, যাঁর কাজ পরলোকে আগত ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করা । তাঁকে প্রশ্ন করলেন নেতা,
-- মাফ করবেন, কোনও পাপী সাম্যবাদী নরকে কিভাবে কষ্ট ভোগ করে ?
ওই কেরানী আসলে ছদ্মবেশী শয়তান । তিনি বললেন
-- সাম্যবাদী পাপীকে জ্বলন্ত কয়লার উনুনে ফ্রাইং প্যানে চাপিয়ে ভাজা হয় ।
-- আর পুঁজিবাদী নরকে ?
-- সেখানেও পাপীদের জ্বলন্ত কয়লার উনুনে ফ্রাইং প্যানে চাপিয়ে ভাজা হয় ।
-- তাহলে দেখা যাচ্ছে শাস্তির মধ্যে কোন ভেদ নেই । কমিউনিস্ট নেতার প্রশ্ন, তাহলে পুঁজিবাদী নরকের গেটে কোনও ভিড় নেই কেন ? আর কেনই বা সকলে ভিড় করছে কমিউনিস্ট নরকের গেটে ?
-- ভেদ নেই কে বলল ? শয়তানের জবাব, কমিউনিস্ট নরকে গত এক সপ্তাহ ধরে কয়লার যোগান নেই । আর এক সপ্তাহ এরকম চললে ফার্নেস বন্ধ করে দিতে হবে । তাছাড়া, ফার্নেসে কয়লা দেওয়ার লোকটি প্রায়ই মাতাল হয়ে শুয়ে থাকে । বিশ্বাস করুন কমরেড, কমিউনিস্ট নরকই ভালো ।

-- আদম এবং ইভ নির্ঘাৎ রাশিয়ান ছিলেন, এক রুশ নাগরিকের মন্তব্য, ‘তাঁদের পরবার কিছু ছিল না, আপেল ছাড়া খাওয়ার কিছু ছিল না, তবু তাঁরা বাস করতেন এক স্বর্গে !

সোভিয়েত ইউনিয়নের তাঁবেদার এক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এক অদ্ভুত টেলিফোন দেখে এক বিশিষ্ট অতিথির বিস্মিত প্রশ্ন, এটা কেমন টেলিফোন ? ইয়ারপিস আছে, কিন্তু কোনও মাউথপিস নেই কেন ? তাছাড়া এতে তো ডায়াল করাও যায় না !
-- আপনাকে বলতে বাধা নেই । বিষন্ন প্রধানমন্ত্রী জানান, এটাই ক্রেমলিনের সঙ্গে আমাদের হটলাইন !