Friday, September 15, 2006

হোটেল জোকস্


খদ্দের : মেনুতে লিখেছে এটা চিকেন স্যান্ডউইচ । কিন্তু দুকামড় খেয়ে এখনও তো চিকেনের দেখা পেলাম না বাপু !

ব্য় : আর এক কামড় খেয়ে দেখুন তো ।

খদ্দের ( বড় এক কামড় দিয়ে চিবোতে চিবোতে ) : নাঃ এবারও পেলাম না ।

ব্য় : যাচ্চলে ! তাহলে আপনি ওটা পেরিয়ে এসেছেন ।


এক ক্ষুদ্র জনপদের ক্ষুদ্রতর রেস্তোঁরা । পরিশ্রান্ত এক পর্যটক সবে চেয়ারে এসে বসেছেন । অতি সংক্ষিপ্ত মেনু নেড়েচেড়ে দেখছেন তিনি, এমন সময় পরিবেশনকারিনী তাঁর সামনে এসে দাঁড়ালেন, প্রশ্ন করলেন, আপনি কি ডিনার বিফ রোস্ট খেতে চান?

না, পর্যটক উত্তর দিলেন ।

সেক্ষেত্রে, পরিবেশনকারিনীর উত্তর , ডিনার ওখানেই শেষ !


:: ওয়েটার, এখন যেটা খেলাম, সেটা কী ?

:: ঠিক বলতে পারব না, স্যার ! আমি আজই জয়েন করেছি !


:: ওয়েটার, এখানকার খাবারদাবার ভাল তো ?

:: বলতে পারছি না স্যার ! আমি কোনও দিন এই রেস্তোরাঁয় খাইনি !


খদ্দের কাউন্টারে দাম মেটাতে গেছেন । ম্যানেজার প্রশ্ন করেন, কী খেয়েছেন স্যার ? কফি না কোকো ?

আমি তো ঠিক বলতে পারছি না, খদ্দের বলেন, তবে জিনিসটা একেবারে অখাদ্য । কেমন টুথপেস্টের মতো লাগল ।

ওঃ ! তাহলে ওটা কফি স্যার ! দশ টাকা দেবেন । আমাদের কোকোর স্বাদ একেবারে গঁদের আঠার মতো !

Thursday, September 14, 2006

কমিউনিস্ট জোকস্ ১৩

কথায় বলে, এইডস হল বিংশ শতাব্দীর ব্যাধি । কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জাপানের কাছে তা কোনও হুমকিই নয় । কারণ জাপান বাস করে একবিংশ শতাব্দীতে । আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ? ঊনবিংশ শতাব্দীতে ।


কমিউনিজমের মূল কথা হল, এক তাত্ত্বিক বোঝাচ্ছেন অন্য জনকে,

প্রতিবেশীর সঙ্গে নিজেরটা ভাগ করে নেওয়া ।

না মোটেই না । আরেকজন প্রতিবাদ করেন, কমিউনিজমের মূল কথা হল, প্রতিবেশীরটা নিজের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া ।


রুশ ও পোলিশ একসঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে কুড়িয়ে পেল একশ রুবল ।

প্রস্তাব দিল রুশ :

এসো, টাকাটা আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে ভাগ করে নিই ।

উহুঁ একেবারে না । ভাই-ভাইয়ের হিসাব বাদ দাও । তার চেয়ে এসো, টাকাটা অর্ধেক অর্ধেক করে নিই ।


জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্টের একশ জন প্রেমিকা । তাদের মধ্যে একজন এইডস্ এ আক্রান্ত। কিন্তু ঠিক কে, প্রেসিডেন্ট তা জানেন না ।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের একশ জন দেহরক্ষীর মধ্যে একজন কেজিবির এজেন্ট । কিন্তু ঠিক কে, তা তিনি জানেন না ।

সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের একশ জন অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মধ্যে একজনের কাছে সঠিক অর্থনৈতিক কর্মসূচীটি আছে । কিন্তু ঠিক কার কাছে, তা তিনি জানেন না ।


এক পোলিশ পুরনো এক প্রদীপ ঘষেমেজে পরিষ্কার করছিল । হঠাৎ আলাদিনের জিনের আবির্ভাব । জিন বলল, তোমার তিনটে ইচ্ছে আমি পূরন করে দিতে পারি ।

বেশ আমার প্রথম ইচ্ছে, চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে । আমার দ্বিতীয় ইচ্ছে চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে । আর আমার তৃতীয় ইচ্ছে চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে ।

জিন অবাক হয়ে জানতে চাইল এই অদ্ভুত ইচ্ছের কারণ ।

খুব সোজা । তাহলে চীনের সৈন্যবাহিনীকে ছবার রাশিয়ার উপর দিয়ে যেতে হবে ।


এক ভুক্তভোগী কমিউনিজমের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করছেন :

যদি তিরিশ বছর বয়সের আগে তুমি কমিউনিস্ট না হও, তাহলে বুঝতে হবে, তোমার হৃদয় বলে কোন পদার্থ নেই । যদি তুমি তিরিশের পরেও কমিউনিস্ট থেকে যাও তাহলে বুঝতে হবে, তোমার মস্তিষ্ক বলে কোনও পদার্থ নেই !

Monday, September 11, 2006

উপলব্ধি

স্বর্গে আছে ...........

ইংরেজ পুলিশ

জার্মান ইঞ্জিনিয়ার

ফরাসি রাঁধুনি

ইতালীয় প্রেমিক

সুইস ম্যানেজার

নরকে আছে ...........

ইংরেজ রাঁধুনি

জার্মান পুলিশ

ফরাসি ইঞ্জিনীয়ার

সুইস প্রেমিক

এ পৃথিবীতে সেই হল সুখী যার আছে .....

জাপানি বউ

চীনে রাঁধুনি

ইংলিশ বাড়ি

মার্কিন বেতন

আর অসুখী হল সে যার আছে .....

জাপানি বাড়ি

ইংরেজ রাঁধুনি

মার্কিন বউ

চীনে বেতন

Sunday, September 10, 2006

ব্লগ আপগ্রেড

অবশেষে আমার ব্লগটা ব্লগার বিটায় আপগ্রেড করলাম । এতে বেশ কিছু নতুন সুবিধা পাওয়া যাবে । এবার থেকে আমার ব্লগে আমি লেবেলের সুবিধা পাব । যাতে সহজে আমি আমার পোস্ট গুলোকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করতে পারব ।

আমি কয়েকদিন আগেই আমার ব্লগটাকে ব্লগার বিটায় সরিয়েছিলাম । কিন্তু আমার টেমপ্লেটটাকে আমি আপগ্রেড করিনি । টেমপ্লেট আপডেট না করা অবধি নতুন সুবিধা গুলি কিছু পাওয়া যাবে না । টেমপ্লেট আপগ্রেড করার সবথেকে বেশী অসুবিধা ছিল এই যে টেমপ্লেটে আগের পরিবর্তন গুলি সব মুছে যেত । তা যাই হোক টেমপ্লেট আপগ্রেড করার পর কিছু এইচটিএমএল এডিট করে আমি আমার ব্লগের আগের ডিজাইনটা অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছি ।

ব্লগারের এই নতুন ভার্সনে যাদের এইচটিএমএল এবং সিএসএস সম্পর্কে জ্ঞান নেই তারাও অতি সহজে বিভিন্ন লেআউট পরিবর্তন এবং অন্যান্য সাইট এবং ব্লগের সঙ্গে লিঙ্ক করতে পারবেন । এই সুবিধার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল । এর ফলে ব্লগিংয়ের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে । এবং এর ফলে অন্যান্য ব্লগ সার্ভিসের সঙ্গে ব্লগারের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য আরো বাড়ল ।

Friday, September 08, 2006

ব্লগার বিটা

ব্লগার তার নতুন ভার্সন ব্লগার বিটা চালু করেছে ( beta.blogger.com) । আপনার বর্তমান ব্লগস্পট ব্লগকে আপনি নতুন বিটা ভার্সনে উত্তোলন করতে পারেন । এই নতুন ভার্সনে কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে । যেমন আপনি আপনার পোস্ট গুলিকে ট্যাগ করতে পারবেন । অর্থাৎ পোস্ট গুলিকে বিভিন্ন শ্রেনীবিভক্ত করতে পারবেন যা ওয়ার্ডপ্রেসের ব্লগে অনেক আগে থেকেই করা যায় । এছাড়া খুব সহজেই টেমপ্লট কে এডিট করা যাবে । এবং এর জন্য কোন কোড জানার দরকার হবে না । এই নতুন বিটা ভার্সনে আপনি আপনার গুগুল অ্যাকাউন্ট দিয়েও লগইন করতে পারবেন । সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগার অ্যাকাউন্ট টি আপনার গুগুল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মিশে যাবে ।

কিন্তু এই বিটা ভার্সনের কিছু সমস্যাও রয়েছে । আপনি যদি আপনার ব্লগটিকে বিটা ভার্সনে উত্তোলন করার পরে আপনার টেমপ্লেট টিকে আপডেট করেন তাহলে আপনার আগের অনেক টেমপ্লেট পরিবর্তনই মুছে যাবে । তবে টেমপ্লট আপডেট না করেও বিটা ভার্সনে আপনার ব্লগটিকে উত্তোলন করা যাবে । এখনও অবধি বিটা ভার্সনের টেমপ্লেটের এইচটিএমএল এডিট করা যাচ্ছে না ফলে ডিজাইনের ব্যাপারে আপনি একশো শতাংশ স্বাধীনতা পাবেন না । এছাড়া বিটা ভার্সনে উত্তোলন করার পর আপনি এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিটা ভার্সন নয় এরকম ব্লগস্পট ব্লগে কমেন্ট দিতে পারবেন না । যেটা একটা বড় সমস্যা । আমি এখন অন্য কোন বিটা ভার্সন নয় এমন ব্লগস্পট ব্লগে আমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কমেন্ট দিতে পারছি না । আর একবার বিটা ভার্সনে উত্তোলন করার পর আপনি আর আগেকার পুরনো ভার্সনে ফিরে যেতে পারবেন না । দেখা যাক কতো তাড়াতাড়ি গুগুল এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠে । তবে সবাইকেই পুরনো ভার্সন থেকে নতুন ভার্সনে আসতে হবে তা একরকম নিশ্চিত ।

Tuesday, September 05, 2006

হোটেল জোকস্ ২

খদ্দের : এই খাবারটা শুয়োরেরও উপযুক্ত নয় ।
ওয়েটার : একটু অপেক্ষা করুন স্যার ! খুঁজে দেখছি শুয়োরের উপযুক্ত খাবার মেলে কি না !

মাংস কাটতে গিয়ে এক ওয়েটারের হাতটা বিশ্রীভাবে কেটে গেল । যথারীতি সে ভর্তি হল স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে । ঘন্টার পর ঘন্টা সে টেবিলে শুয়ে রইল, কেউ তার পরিচর্যায় এল না । একজন ডাক্তারবাবু পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন । ওয়েটার চেঁচিয়ে বলল, ডাক্তারবাবু, আমাকে একটু দেখুন ! আমি এই টেবিলে তিন ঘন্টা পড়ে আছি !
ডাক্তারবাবু জবাব দিলেন, স্যরি ! এটা আমার টেবিল নয় ।

খদ্দের স্যুপের অর্ডার দিয়ে বসে আছেন তো আছেনই । স্যুপ আর আসে না । শেষ পর্যন্ত ম্যানেজারের কাছে গিয়ে তিনি বললেন, আচ্ছা, যে ওয়েটার প্রথমে আমার অর্ডার নিয়েছিল, সে কি তার উত্তরসুরির কাছে কোন বার্তা রেখে গেছে ?

ফ্যান্সি রেস্তোরায় অর্ডার দেবার সময় সতর্ক থাকবেন । খাবারের নামটা আপনি যদি উচ্চারন করতে না পারেন, তাহলে জানবেন ওটা অর্ডার দেবার মত রেস্ত আপনার পকেটে নেই !

এই অভিজাত রেস্তোরাঁয় দামটা বেশ চড়া । গ্যারন্টারের সই ছাড়া তারা বিলই দেয় না ।

এটা একেবারে হাই ক্লাস রেস্তোরাঁ । গ্রেভিটা বানায় আপনার শার্টের রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে !

এই রেস্তোরাঁ সোমবার বন্ধ থাকে । কারণ সপ্তাহের এই একটা দিনেই ওরা সব বাসন-কোসন ধোয় !

রেস্তোরাঁ থেকে প্রায়ই কোট, হ্যাট, ছাতা চুরি যায় । কিন্তু এই রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম এত বেশি যে কোট হ্যাট ছাতার দিকে নজর রাখার চেয়ে প্লেটের চপ-কাটলেটের দিকে নজর রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ !

খদ্দের : ওয়েটার, আমাকে আর মাশরুম দেবে না । গত সপ্তাহে আমার ফুড পয়জন হয়েছিল ।
ওয়েটার : বলেন কি স্যার ! তাহলে রাঁধুনির সঙ্গে বাজিটা ধরে আমি মোটেই ভুল করিনি !

আচ্ছা আপনি এই রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ঢুকলেন কি করে ?
আরে আমি কি ঢুকতে চেয়েছিলাম না কি ? একটা কুড়ি ডলারের নোট ভাঙাতে এসেছিলাম, আর ওরা আমাকে পার্টনার করে নিল ।

খদ্দের : এ তো ভয়াবহ খাবার ! আমি ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে চাই ।
ওয়েটার : দুঃখিত স্যার ! তিনি লাঞ্চের জন্য বেরিয়ে গেছেন !

Sunday, September 03, 2006

প্লেবয় সম্পর্কে কিছু কথা

প্লেবয় পত্রিকাটি প্রকাশনা শুরু হয় ১৯৫৩ সালে । তার পর থেকে এই পত্রিকাতে পঞ্চাশ বছরেরও বেশী সময় ধরে নগ্ন নারীদের ছবি প্রকাশিত হয়ে আসছে । বর্তমানে এটি একটি বিরাট কোম্পানি এবং ম্যাগাজিন ছাড়াও এরা ওয়েবসাইট এবং হোম ভিডিওর মাধ্যমে এরা ব্যবসা করছে ।

মূলত অল্পবয়সী অবিবাহিত পুরুষদের পছন্দের প্রতি দৃষ্টি রেখে প্লেবয়ের ম্যাগাজিন এবং ওয়েবসাইটে সুন্দরী মহিলাদের নগ্ন ছবি প্রকাশ করা হয় । তবে বিবাহিত এবং বেশী বয়সের পুরুষেরাও এর আকর্ষন এড়াতে পারেন না । সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় অথবা বিবস্ত্র হবার বিভিন্ন অবস্থায় মহিলাদের ছবি তোলা হয় । মহিলাদের উন্মুক্ত স্তন, নিতম্ব এবং যোনি স্পষ্ট ভাবে দেখালেও তা হার্ডকোর পর্নো পত্রিকাগুলির মতো জোর করে দেখানো হয় না বরং স্বাভাবিক ভাবে যতটুকু দেখা যায় তাই দেখানো হয় ।

প্লেবয়ের ছবিগুলি যৌনতা এবং শিল্পের সঠিক মিশেল । নারীশরীর যে কত সুন্দর হতে পারে তা একমাত্র প্লেবয়ের ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যায় । প্লেবয়ের অধিকাংশ মহিলারাই ক্যামেরার সামনে অত্যন্ত সাবলীল এবং আত্মবিশ্বাসী ভাবে পোজ দেন । যদিও তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রফেশনাল মডেল নন । মডেলদের ছবি যে ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা হয় তার পিছনেও বহু ভাবনা চিন্তা থাকে এবং আলোর ব্যবহার থাকে যথাযথ । প্লেবয়ের ফটোগ্রাফাররাও খুব নামী এবং সুদক্ষ । প্লেবয়ের অনেক মডেলই যখন অন্য পত্রিকা বা ওয়েবসাইটের জন্য ছবি তুলেছেন তখন তা প্লেবয়ের মতো অত সুন্দর হয় নি ।

শৈল্পিক দিক থেকে প্লেবয়ের ছবিগুলি সুন্দর হলেও যৌনতার দিকটাকেও খেয়ালে রাখা হয় । মূলত পুরুষের মনে কামনা জাগিয়ে তোলার জন্যই যে ছবিগুলি তা মডেলদের এক্সপ্রেসন এবং ভঙ্গিমা দেখলেই বোঝা যায় । যুগের সাথে সাথে প্লেবয় মডেলদের স্টাইলও পালটেছে ।

প্লেবয়ের জন্য প্রফেশনাল মডেল ছাড়াও বহু অভিনেত্রী, খেলোয়াড়, সাংবাদিক, শিক্ষিকা, ছাত্রী এবং অফিসাররা নগ্নাবস্থায় পোজ দেন । তাঁদের মধ্যে অনেকেই উচ্চশিক্ষিত অথবা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী । বড় বড় কোম্পানি যেমন ওয়াল মার্ট এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মহিলা কর্মচারীদের জন্য প্লেবয় নানা নগ্ন ছবির সিরিজ করেছে । বিরাট কোম্পানি এনরন যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন প্লেবয় এনরনের বেশ কিছু মহিলা কর্মচারীদের মডেলিঙের সুযোগ দিয়েছিল । এছাড়াও প্লেবয় বহু যমজ বোনের একসাথে ছবি প্রকাশিত করেছে । প্লেবয় যে কোথা থেকে এত সুন্দরী যমজ বোন যোগাড় করে তা এক আশ্চর্যের বিষয় ।

ছবি প্রকাশনা ছাড়াও প্লেবয় তার মডেলদের নিয়ে প্রচুর হোম ভিডিও প্রকাশ করেছে । সুন্দর মিউজিকের সাথে যথাযথভাবে তোলা ভিডিওগুলি খুবই উঁচুদরের । এই ভিডিওগুলিতে নানাভাবে উলঙ্গ নারীশরীর দেখানো হয় কিন্তু কোন যৌনক্রিয়া দেখানো হয় না । ভিডিও গুলিতে অনেকসময় মডেলদের সাক্ষাৎকারের সাথে তাদের বাড়ির লোকেদের সাক্ষাৎকারও দেখানো হয় ।

আমেরিকার এক চতুর্থাংশ কলেজ ছাত্র প্লেবয় পত্রিকার গ্রাহক । পত্রিকাটিতে নগ্ন ছবি ছাড়াও নানা রকম বিষয়ের উপর লেখা প্রকাশিত হয় । অবশ্য প্লেবয়ের ওয়েবসাইটগুলিতে শুধুমাত্র ছবি এবং ভিডিও রাখা থাকে ।

প্লেবয় পত্রিকা এবং ওয়েবসাইটের ছবি এবং ভিডিওগুলি যে মূলত পুরুষদের হস্তমৈথুন করার জন্য উদ্দীপক হিসাবে ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । এবং সেদিক লক্ষ্য রেখেই এগুলিকে তোলা এবং প্রকাশ করা হয় ।

প্লেবয় পশ্চিমি সভ্যতার প্রতীক এবং নগ্ন নারীশরীর নিয়ে ব্যবসা করে । তাই বহু দেশে প্লেবয় নিষিদ্ধ । আবার অনেক লোকের বক্তব্য যে প্লেবয় মডেলদের শরীর অনেকটাই সিন্থেটিক তাদের মধ্যে প্রকৃত সৌন্দর্য খুব কম । কিন্তু ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে প্লেবয়েরও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে ।

আরেক দিক থেকে বিচার করলে প্লেবয় নারীস্বাধীনতারও প্রতীক । কারন এখানে সব মহিলারাই স্বইচ্ছায় নিজেদের উলঙ্গ ছবি তোলেন । মেয়েদের শরীরের মালিক যে মেয়েরাই তাদের স্বামী, সমাজ অথবা ধর্ম নয় তা প্লেবয়ের জন্য পোজ দিয়ে তাঁরা প্রমান করেন । তাঁদের শরীর নিয়ে তাঁরা কি করবেন সেটা তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার । তাঁদের অনেকরই বক্তব্য যে তাঁদের যদি দেখাবার মতো সুন্দর শরীর থাকে তাহলে তাঁরা তা অবশ্যই দেখাবেন তাকে আজীবন ঢেকে রাখার কোন মানে হয় না ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে নগ্ন নারীশরীর নিয়ে ব্যবসা করলেও এই কম্পানির চেয়ারপার্সন এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার একজন মহিলা । তাঁর নাম ক্রিস্টি হেফনার । এই মহিলা প্লেবয় পত্রিকার স্থাপক হিউজ হেফনারের মেয়ে ।

কমিউনিস্ট জোকস্ ১২ (পশ্চিমবঙ্গ)

এর আগে আমার রাশিয়া সম্পর্কিত কমিউনিস্ট জোকস গুলো পড়ে অনেকেই চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের উপর কিছু জোকস । বহু খুঁজে কয়েকটি পাওয়া গেল । তাই তুলে দিলাম ।

একবার এক বিধ্বংসী ঝড় পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসতে আসতে ওড়িশার দিকে ঘুরে গেল । সেই সময় মহাকরন থেকে বলা হল যে এই ঝড় আমাদের রাজ্যে না এসে যে অন্য রাজ্যে ঘুরে গেল তার সম্পূর্ণ কৃতিত্বই দাবি করতে পারেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী । উপকূলে ঘনীভূত সাইক্লোন অনেক চেষ্টা করেও এ রাজ্যের রাস্তার খানাখন্দ পেরিয়ে এখানে ঢুকতে পারেনি । শেষে বিরক্ত হয়ে অন্য দিকে চলে গেছে ।

মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন :

এই তো প্রধানমন্ত্রী কাল আমাকে ফোন করল । তো ওরা বলল, সাইক্লোন না কী যেন আসবে এখানে । আমি ওদের বললাম, ওসব ঝড় টড় আমাদের রাজ্যে হয় না । মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন । মানুষই সব করেন । আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই ঝড় আটকাতে জানি । এই তো আমরা আটকে দিলাম । তো ওদের থেকে এর চেয়ে বেশী আর কী আশা করব ? ......

সল্টলেকের রাস্তায় বিকেল বেলায় পায়চারি করছিলেন এক মন্ত্রী । এমন সময় এক ছিনতাইকারী এসে তাঁকে ধরল । ছিনতাইকারী বলল আপনার যা কিছু এক্ষুনি আমাকে দিন । মন্ত্রী বিস্মিত হয়ে বললেন জানো আমি কে ? আমি একজন মন্ত্রী । তখন ছিনতাইকারী বলল তাহলে আমার জিনিস আমাকে ফেরত দিন ।