সম্প্রতি যে যে সিনেমা দেখলাম
১. দ্য মোটরসাইকেল ডায়ারিজ
আর্জেন্টিনার ছবি । দুই বন্ধুর একসাথে দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশ ভ্রমনের কাহিনী । এবং ঘুরতে ঘুরতে তাদের জীবন পরিবর্তনের কাহিনী । অসাধারন ছবি । সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি কাদের নিয়ে তৈরি এখানে লিখছি না । দেখলে জানতে পারবেন ।
২. ওং বাক টু
থাইল্যান্ডের ছবি । টনি জা পরিচালিত এবং অভিনীত দারুন অ্যাকশন মুভি । ছবির গল্পটা খুব একটা জোরালো নয় তবে মার্শাল আর্টকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে । এত ভাল অ্যাকশন অন্য কোন ছবিতে দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না ।
৩. নাউহিয়ার ইন আফ্রিকা
জার্মান চলচ্চিত্র । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে এক ইহুদী পরিবারের জার্মানী থেকে পালিয়ে এসে কেনিয়াতে বসবাসের কাহিনী । অবশ্যই দেখা উচিত ।
৪. ডাউনফল
জার্মান চলচ্চিত্র । হিটলারের জীবনের শেষ কয়েকদিনের কাহিনী । অত্যন্ত যত্ন এবং রিসার্চের পর ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ।
৫. আন্ডারগ্রাউন্ড
সার্বো ক্রোয়েশিয়ান ছবি । দুই বন্ধুর কাহিনী যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু হয়ে নব্বইয়ের দশকে যুগোস্লাভিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত । পারস্পরিক বিশ্বাস অবিশ্বাস, প্রতারনার কাহিনী ।
৬. আমেলি
ফরাসি চলচ্চিত্র । এক ইন্ট্রোভার্ট মেয়ের কাহিনী যে অন্যদের জীবনকে বদলে দিতে চায় । অসাধারন মেকিং । দেখা দরকার ।
৭. দ্য হোয়াইট শেখ
ইটালিয়ান চলচ্চিত্র । পরিচালনা ফেলিনি । এটা ছিল ফেলিনি পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র । এক গোবেচারা স্বামীর গল্প যে তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে রোমে আসে তার আত্মীয়দের সাথে দেখা করানোর জন্য । কিন্তু তার আগেই তার বউ নিরুদ্দেশ হয় । স্বামী পড়ে বেজায় বিপদে । আত্মীয়দের কাছে আর মুখ দেখানোর জো থাকে না । ফেলিনির অসাধারন পরিচালনা আর কমেডি এই ছবির সম্পদ ।
৮. অবচোদ না করজে ইংরেজিতে দ্য শপ অন মেন স্ট্রীট
স্লোভাক ছবি । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইহুদী উৎখাতের মর্মস্পর্শী কাহিনী ।
৯. সিটি অফ গড
ব্রাজিলিয়ান চলচ্চিত্র । রিও ডি জেনিরোর কাছেই এক বস্তির ভয়াবহ কাহিনী । সেখানকার বাচ্চারা ছোট থেকেই খুন খারাপিতে মেতে ওটে । ড্রাগ ব্যবসা সহ বহু অপরাধ সংগঠিত হয় আর চলে গ্যাং ওয়ার । এর মধ্যেই এক ফটোগ্রাফারের বেড়ে ওঠা । সিনেমা কিভাবে বাস্তবকে আঁকড়ে ধরতে পারে এই ছবি তার প্রমান ।
১০. দ্য ভার্জিন স্প্রিং
ইংমার বার্গম্যান পরিচালিত ১৯৬০ সালের সুইডিশ ছবি । বার্গম্যানের ঈশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাসের টানাপোড়েন নিয়ে অন্যতম চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি ।
১১. দ্য কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন
আমেরিকান চলচ্চিত্র । তেরোটি একাডেমি অ্যওয়ার্ডের নমিনেশন পেয়ে মাত্র তিনটি সাধারন বিভাগে জিততে পেরেছে । আমার দেখা অন্যতম সেরা ছবি । ব্র্যাড পিটের অভিনয় অসাধারন । জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন তিনি । এই ছবিটি এমন একজন মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে যার জীবন উলটোদিকে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ বৃদ্ধত্ব থেকে শৈশবের দিকে । যাঁরা ফরেস্ট গাম্পের মত ছবি ভালবাসেন তাঁদের অবশ্যই দেখতে হবে এই ছবি ।
১২. গুডবাই লেনিন!
জার্মান চলচ্চিত্র । পূর্ব জার্মানির পতন এবং তারই সাথে জড়িয়ে যায় এক পরিবারের জীবনকাহিনী । নব্বই দশকের শুরুতে কমিউনিস্ট আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধ এক মার কোমায় থাকার সময়ে পতন ঘটে কমিউনিজমের । তার জ্ঞান ফেরার পরে তার ছেলেমেয়েরা তাকে জানতে দিতে চায়না দেশের প্রকৃত অবস্থা । কারন তাতে তাদের মার শক পেয়ে মৃত্যু হতে পারে । আশির দশকের শেষে সারা পৃথিবীব্যাপী কমিউনিজমের পতনের অন্যতম দলিল এই ছবি ।
1 comment:
ইহুদীদের উপর নির্মম অত্যাচার নিয়ে এত সিনেমা তৈরী হয়েছে? অথচ বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে একটা নাটকও তৈরী হয়নাই।
Post a Comment