হোটেল জোকস্ ১
হোটেল ব্যবসায় ইদানিং এতই মন্দা চলছে যে হোটেল কর্তৃপক্ষ এখন অতিথিদের তোয়ালে চুরি করছেন ।
এমন আভিজাত্য কটা হোটেলে আছে ? যেসব লিফট বয় অতিথিদের উপরে নিয়ে যায় তাদের একরকম ইউনিফর্ম আবার যারা অতিথিদের নিচে নামিয়ে আনে, তাদের আলাদা ইউনিফর্ম ।
নতুন ফাইভ স্টার হোটেলটায় আমি চমৎকার একটা রুম আর বাথরুম পেয়েছিলাম । দুর্ভাগ্য, দুটো ছিল দুটো আলাদা বিল্ডিংয়ে ।
বিছানা এত শক্ত ছিল যে রাতে ঘুমোবার সময় দুবার আমাকে উঠতে হয়েছিল বিশ্রাম নেবার জন্য ।
দারুন অভিজাত হোটেল । কী বলব, লনড্রিতে পাঠাবার আগে জামাকাপড় কেচে পরিষ্কার করে নিতে হত ।
হ্যাঁ হোটেলে রানিং ওয়াটার পেয়েছিলাম । তবে কিনা সেই রানিং বন্ধ করা যায় নি ।
হ্যালো রুম সার্ভিস ? একটা তোয়ালে পাঠাতে পারেন ?
এক মিনিট স্যার ! একটাই তোয়ালে এই হোটেলে ! এই মূহুর্তে কেউ সেটা ব্যবহার করছেন ।
অতিথি : আপনাদের হোটেলের সাপ্তাহিক চার্জ কত ?
রিসেপশন : বলতে পারছি না ম্যাডাম ! আজ পর্যন্ত কেউ অতদিন থাকেনি এই হোটেলে ।
অতিথি : শুনেছি এ হোটেলে নাকি সব সময় ছাদের ফুটো দিয়ে জল পড়ে ?
রিসেপশন : মিথ্যা গুজব স্যার ! একমাত্র বৃষ্টির সময়েই অমনটা হয় ।
অতিথি : এই যে ৫২২ নম্বর ঘরটা দিয়েছেন, সেটায় তো কোন বাথরুম নেই । আমি তো একটা ঘর চেয়েছিলাম যেটা অ্যাটাচড বাথ হবে ।
রিসেপশন : দুঃখিত স্যার ! ঘর আর খালি নেই । তবে ৫২২ নম্বরটা কোনও ঘর নয় স্যার ! ওটা লিফট ।
রিসেপশন : বাইরের দিকের ঘর নেবেন, না ভেতরের দিকের ঘর, স্যার?
অতিথি : বাইরের দিকের । যে কোনও মূহুর্তে বৃষ্টি নামতে পারে ।
আপনি কি ওই হোটেলে অনেক সময় কাটিয়েছেন ?
না, খুব বেশী সময় নয় । ওদের রেট কত সেটা শোনার জন্য যেটুকু সময় লাগে !
অতিথি : আপনাদের হোটেলে গরম ও ঠান্ডা দুরকম জলের ব্যবস্থা আছে তো ?
রিসেপশন : হ্যাঁ স্যার । গ্রীষ্মে গরম আর শীতে ঠান্ডা ।
হোটেল ছেড়ে দিলেন কেন ?
কী বলব মশাই ! ওরা তিনটে মিল দেয় ঠিকই । তবে সোমবার ব্রেকফাস্ট, মঙ্গলবারে লাঞ্চ, আর বুধবারে সাপার !
রিসেপশন : শাওয়ার সহ একটা রুম দিই আপনাকে ?
অতিথি : আমার কিন্তু একটা বিছানার দরকার ছিল । আমি শাওয়ারে ঘুমোতে পারি না ।
অতিথি : ঘরে জলের ব্যবস্থা আছে তো ?
রিসেপশন : ছিল । কিন্তু মাস দুই আগে আমরা ছাদটা ঢালাই করতে পেরেছি !
2 comments:
হুমম। আরো কিছু লেখা যোগ হয়েছে আমার ব্লগে। চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।
চমৎকার জোকস।
Post a Comment