Saturday, March 17, 2007

নন্দীগ্রাম নিয়ে আর কিই বা লেখার থাকতে পারে ।



নন্দীগ্রাম নিয়ে কি লিখব । লেখার আর কি বা থাকতে পারে । এই ব্লগে লিখে আর কি বা হবে, যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না ।

দেশের উন্নতি শিল্পায়ন কাদের জন্য, কিসের জন্য মানুষের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে তাদের কে ঠান্ডা মাথায় খুন করে এই শিল্পায়ন কাদের স্বার্থে । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একবার বিজেপি সরকারকে বলেছিলেন অসভ্য বর্বর । এখন আমাদের বামফ্রন্ট সরকারকে তিনি কি বলেন তা জানতে ইচ্ছা করছে ।

আমার মনে হয় অসভ্য বর্বরতার চরম পর্যায়ে পৌছে যাওয়া এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই তা যতই ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসুক না কেন । মনে রাখতে হবে হিটলার নরেন্দ্র মোদী জর্জ বুশ এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্ষ সবাই বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন । আমার চোখে তো এখন এখন এদের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি না । খালি এদের বর্বরতার মাপটা আলাদা ।

আমার মনে হয় যে সিপিএম নেতারা এই গণহত্যার প্ল্যান করেছিলেন তাঁরা কি করে রাত্রে ঘুমোতে যাবেন ।

শিক্ষিত প্রাজ্ঞ ভদ্র বুদ্ধদেবের সাদা পোশাকের পিছনে কি ভয়াবহ একজন রাক্ষস লুকিয়ে আছে তা ভেবেও কষ্ট হচ্ছে ।

আজকে ফ্রন্টের বৈঠকে বুদ্ধদেব স্বীকার করছেন যে এই ঘটনার জন্য দায়ী তিনি । তিনিই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুলিশ পাঠানোর । তাতে আবার বামফ্রন্টের শরিকরা বলছেন তাঁরা বুদ্ধদেবের সত্যবাদীতায় এবং সাহসে খুশি ।

আশ্চর্যের ব্যাপার এতে খুশি হবার কি আছে ! কেউ যদি একটা খুন করে গলা ফাটিয়ে বলে যে আমি খুন করেছি তাহলে কি আমরা তার সত্যবাদীতায় খুশি হয়ে বলব দেখ লোকটা কি সত্যবাদী আর সাহসী ।

আমার সরাসরি বক্তব্য হল এই যে যদি বুদ্ধদেব নন্দীগ্রামের গণহত্যার জন্য দায়ী বলে নিজেই স্বীকার করে থাকেন তাহলে কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করে কাঠগড়ায় তোলা হবে না । কেন তাঁর বিচার হবে না । কেন তিনি এখনও মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে থাকবেন । আমরা তো কোন খুনি অপরাধীকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলে দেখতে চাই না ।

সিবিআই তদন্ত হচ্ছে । কিন্তু তাতে কিছুই প্রমান হবে না । আরও পাঁচজন অপরাধী রাজনীতিকের মত বুদ্ধদেবও আইনের হাতকে সহজেই ফাঁকি দেবেন ।

তাই এখন থেকে সুরুচিবান ভদ্র অমায়িক সংস্কৃতিবান প্রভৃতি বিশেষণের সাথে সাথে বুদ্ধদেবের আগে আরো একটা বিশেষণ যোগ হবে ।

সেটা হল খুনি

1 comment:

Anonymous said...

নন্দীগ্রামে মৃতের সংখ্যা সরকার যা বলছে তার চেয়ে অনেক বেশি তা যে কোনো লোকই বুঝতে পারছে,কারণ আমরা জানি যে কোনো ঘটনার দায় কমাতে/এড়াতে সরকার ক্ষতিগুলোকে কম করেই দেখায়|
১.যদি মেনে নিই যে বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল,তাহলে একজন পুলিশকেও এমনকি আহত হতে দেখা গেল না কেন?
২.মাওবাদী থাকার ঘটনা সত্যি হলে,"বহিরাগত"দের েগ্রপ্তার করা হল না কেন? মাওবাদীরা তাদের প্রিয় অস্ত্র মাইন ছেড়ে ঢিল ছুঁড়বে কেন?
৩.পুলিশ আক্রান্ত হলে মহিলাদের পিঠে গুলি লাগবে কেন? লাগার কথা সামনের দিকে|
৪.যে জায়গার প্রায় সব লোকই পুরোনো বামপন্হী,তারা শুধু "গুজব" শুনে সরকারের বিরোধিতা করছেন,কীভাবে বিশ্বাস করব?
৫.যে সি.পি.এম সমর্থকরা ঘরছাড়া,তারা/তাদের পরিবারের পুরুষরা ধোওয়া তুলসি পাতা এবং নির্যাতিত, তা তো দুবেলা বাম নেতাদের মুখে শুনছি|তা মেনে নিলে, যারা সি.পি.এম সমর্থক নন এবং ঘরছাড়া, তাদের জন্য প্রশাসনের মাথাব্যথা নেই কেন? তাদের বাঁচার অধিকার নেই?
৬. সরকারের দায়িত্ব নেই আহতদের দেখতে গিয়ে অন্তত দুটো আশ্বাসবাণী শোনানোর?
৭. কংগ্রেস, তৃণমূল ও বি.জে.পি.র মুখে বড়ো বড়ো কথা মানায়না, বরানগর কারা করেছিল? আর গুজরাট?
পাবলিককে গরু ভাবাটা নেতারা কবে বন্ধ করবেন?