মেছো জোকস্ ২
ছোট ছেলেটি স্কুলে যেতে দেরি করেছে । চুপি চুপি ক্লাসে ঢুকতে গিয়েছিল সুপারিটেন্ডেন্টের নজর এড়িয়ে । কিন্তু ধরা পড়ে গেল । সুপার খপ করে তাকে ধরলেন এবং দেরির জবাবদিহি চাইলেন । আমতা আমতা করে সে জবাব দিল :
আমি আজ মাছ ধরতে যাব ঠিক করেছিলাম, কিন্তু বাবা যেতে দিল না ।
সুপারের মুখ মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হল । -- বিচক্ষন পিতা তিনি বললেন । তোমাকে মাছ ধরতে যেতে না দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন । কারণটাও তিনি নিশ্চই ব্যাখ্যা করেছেন তাই না ?
ছোট ছেলেটি জবাব দেয় – হ্যাঁ নিশ্চই স্যার ! তিনি বললেন, যা টোপ আছে, তাতে আমাদের দুজনের কুলোবে না !
মৎস্যশিকারীদের আড্ডায় অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে বসেছিল স্যাম । তা দেখে তার বন্ধু প্রশ্ন করল, কী দোস্ত ! আজ দেখছি মুড অফ ! নতুন করে কিছু হল না কি ?
আর বল কেন ? বউ আলটিমেটাম দিয়েছে, হয় বরাবরের মতো আমাকে মাছ ধরা ছাড়তে হবে, নইলে সে আমাকে বরাবরের মতো ছেড়ে চলে যাবে ! হায় ভগবান! এত ভাল বউটাকে আমি হারাতে চলেছি !
এই যে সেদিন মাছ ধরতে গেলে, বউকে ব্যাপারটা বোঝাতে কোনও সমস্যা হয়নি তো ?
হয়নি আবার ! সেদিনই সে আবিষ্কার করেছিল যে আদৌ আমি মাছ ধরতে যাইনি !
সমুদ্রতীরে মাছ ধরছেন এক দম্পতি । স্বামীর বঁড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ । কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তুপে । স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বললেন :
ওগো জলদি কর ! ঝাঁপ দাও ! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে ! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও । নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে !
মৎস্যশিকারীর প্রতিবেশী : এই যে রাম বাবু ! কাল না কি আপনারা কজন মিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ? হেঁ হেঁ ! তা মেজো মাছটা কে ধরলেন ? হেঁ হেঁ !
মেজো মাছ ? সেটা আবার কি ?
হেঁ হেঁ ! মানে সবচেয়ে বড় মাছের পরেরটা । সবচেয়ে বড় মাছটা তো নির্ঘাৎ আপনিই ধরেছেন, হেঁ হেঁ ! তার পরের বড় মাছটা কে ধরলেন, সেটাই জানতে চাইছি ! হেঁ হেঁ !