পশ্চিমবাংলায় লোডশেডিং
ছোটবেলা থেকেই লোডশেডিং নামক এক দানবের আক্রমনে বার বার পর্যুদস্ত হয়েছি । ছোটবেলায় আমার ধারনা ছিল লোডশেডিং একটা ইংরেজী শব্দ, কিন্তু পরে জেনেছি এটা আসলে একটা লোকমুখে প্রচলিত শব্দ । এর ইংরাজী প্রতিশব্দ হচ্ছে পাওয়ার কাট । যদিও পরে ইংরাজী খবরের কাগজেও লোডশেডিং কথাটা ব্যবহার হতে দেখেছি । আমার ছোটবেলা, মেজোবেলা এবং বড়বেলার সঙ্গে লোডশেডিং অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত । পড়তে বসলেই লোডশেডিং হয় । টিভিতে ভাল কিছু দেখতে গেলেই লোডশেডিং হয় । গরমের রাত্রিতে লোডশেডিং হয় । আমার জীবনের প্রায় প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাই আমি হ্যারিকেনের আলোতে পড়ে দিয়েছি । আমার কিরকম যেন মনে হয় লোডশেডিং হল একটা টাইম মেশিনের মত যা আমদের প্রায় একশো বছর আগে ঝট করে নিয়ে ফেলে ।
আমি হায়ার সেকেন্ডারি যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলের এক মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটা মজার গল্প প্রচলিত আছে । গল্পটা হচ্ছে এইরকম মাস্টারমশাইয়ের বাড়িতে একটা ঘরে তিনি প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছেন । পাশের ঘরে তাঁর মেয়ে গান গাইছে এবং তার সঙ্গে একজন তবলচি তবলা বাজাচ্ছে । এমন সময় হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে গেল । স্বভাবতই অন্ধকারে মেয়ে গান থামিয়ে দিল আর তবলচিও তবলা বাজানো বন্ধ করল । হঠাৎ মাস্টারমশাই হেঁকে তবলচিকে বললেন - ওহে তবলা বাজানো বন্ধ কোরো না, ওটা বাজিয়ে যাও ।
আরেকবার আরেক মাস্টারমশাইয়ের বাড়িতে পড়ানোর সময়ে লোডশেডিং হয়েছে । আর জেনারেটরের আলো আসতে দেরী হচ্ছে । এমন সময়ে ছেলেরা আলোচনা করছে মাস্টারমশায়ের সামনেই - কি রে আলো আসছে না কেন রে ? তোর জেনারেটরের হ্যান্ডেল মার, নাকি তোর জেনারেটরের তেল নেই । এইসব কথার গ্যূঢ অর্থ বোধহয় কাউকেই বুঝিয়ে বলার দরকার নেই ।
লোডশেডিং এর দানব এখনও আমাকে তাড়া করে ফেরে । এখন এটা আরও অসহনীয় হয়েছে । টিভি নেই, কমপিউটার নেই, ইন্টারনেট নেই, তবুও যে ফোন আর মোবাইল কাজ করে তাই অনেক । এখন সিডি বা ডিভিডি রাইট করার সময় কেবলই টেনশন হয় এই বুঝি লোডশেডিং হল আর আমার সিডি বা ডিভিডিটা মায়ের ভোগে গেল । এখন লোডশেডিং হলে অন্ধকারে বিছানায় শুয়ে থাকি আর ভাবতে থাকি এটা ২০০৬ সাল না ১৯০৬ সাল ।
আমাদের বাড়িতে এখন রঙিন টিভি, কমপিউটার, ইন্টারনেটের পাশাপাশি হ্যারিকেন আর হাতপাখার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আছে । এটাই বোধহয় আধুনিক ভারতের ছবি ........
আমি হায়ার সেকেন্ডারি যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলের এক মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটা মজার গল্প প্রচলিত আছে । গল্পটা হচ্ছে এইরকম মাস্টারমশাইয়ের বাড়িতে একটা ঘরে তিনি প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছেন । পাশের ঘরে তাঁর মেয়ে গান গাইছে এবং তার সঙ্গে একজন তবলচি তবলা বাজাচ্ছে । এমন সময় হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে গেল । স্বভাবতই অন্ধকারে মেয়ে গান থামিয়ে দিল আর তবলচিও তবলা বাজানো বন্ধ করল । হঠাৎ মাস্টারমশাই হেঁকে তবলচিকে বললেন - ওহে তবলা বাজানো বন্ধ কোরো না, ওটা বাজিয়ে যাও ।
আরেকবার আরেক মাস্টারমশাইয়ের বাড়িতে পড়ানোর সময়ে লোডশেডিং হয়েছে । আর জেনারেটরের আলো আসতে দেরী হচ্ছে । এমন সময়ে ছেলেরা আলোচনা করছে মাস্টারমশায়ের সামনেই - কি রে আলো আসছে না কেন রে ? তোর জেনারেটরের হ্যান্ডেল মার, নাকি তোর জেনারেটরের তেল নেই । এইসব কথার গ্যূঢ অর্থ বোধহয় কাউকেই বুঝিয়ে বলার দরকার নেই ।
লোডশেডিং এর দানব এখনও আমাকে তাড়া করে ফেরে । এখন এটা আরও অসহনীয় হয়েছে । টিভি নেই, কমপিউটার নেই, ইন্টারনেট নেই, তবুও যে ফোন আর মোবাইল কাজ করে তাই অনেক । এখন সিডি বা ডিভিডি রাইট করার সময় কেবলই টেনশন হয় এই বুঝি লোডশেডিং হল আর আমার সিডি বা ডিভিডিটা মায়ের ভোগে গেল । এখন লোডশেডিং হলে অন্ধকারে বিছানায় শুয়ে থাকি আর ভাবতে থাকি এটা ২০০৬ সাল না ১৯০৬ সাল ।
আমাদের বাড়িতে এখন রঙিন টিভি, কমপিউটার, ইন্টারনেটের পাশাপাশি হ্যারিকেন আর হাতপাখার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আছে । এটাই বোধহয় আধুনিক ভারতের ছবি ........
No comments:
Post a Comment