ভারতে সংরক্ষনের কুফল
এরপর তো বেসরকারী চাকরিতেও সংরক্ষনের চেষ্টা করা হচ্ছে । তার মানে ভারতে বেশ কিছু লোক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব জায়গাতেই সংরক্ষন পাবে । গত পঞ্চাশ বছরে সংরক্ষনের ফলে কোনো লাভই হয় নি । সেই ভুল ঢাকার জন্য আবার সংরক্ষন করা হচ্ছে । আর জাত পাতের ভিত্তিতে সংরক্ষন আরো মারাত্মক ব্যাপার । সংরক্ষন হওয়া উচিত আর্থিক অবস্থার উপরে ।
তবে যারা আন্দোলন করছে তারা সবাই যে ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার জন্য করছে এ আমার মনে হয় না । আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি । তাদের কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে । জাতপাতের রাজনীতি পুরোদমে চালু করে মহাত্মা গান্ধীর কংগ্রেস মহাত্মাকেই উড়িয়ে দিয়ে দেশকে রসাতলে নিয়ে যেতে চাইছে । সাধে কি আর মহাত্মা গান্ধী দেশ স্বাধীন হবার পর কংগ্রসেকে উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ।
সংরক্ষন বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো হল ।
(১) যে পরিবারের এক জেনারেশন আগে সংরক্ষনের ফলে চাকরি পেয়েছে সেই পরিবারের সন্তান কেন আবার সেই একই সুবিধা পাবে । কারন সেই পরিবার তো আর আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে নেই ।
(২) সংরক্ষন কেন জাত পাতের ভিত্তিতে হবে কেন শুধু অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে হবে না ।
(৩) উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষন কেন করা হবে ? কেন এই পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের প্রাইমারি স্কুল থেকেই যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি করা হবে না যাতে তারা উচ্চশিক্ষায় বিশেষ সুবিধা ছাড়াই সবার সমান হতে পারে ।
(৪) গরীব উচ্চবর্ণের মানুষরা কেন বঞ্চিত হবেন। তাঁদের কি একটাই অপরাধ যে তাঁদের জন্ম উচ্চবর্ণে ।
(৫) গত পঞ্চাশ বছরে যখন সংরক্ষন নীতির ফলে কোনো উপকার হয়নি তখন কেন এই ভ্রান্ত নীতিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ।
(৬) পিছিয়ে পড়া অন্য ধর্মের মানুষদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ?
ডঃ বি আর আম্বেদকর, মহাত্মা গান্ধী, বিবেকানন্দের ভারতে বর্তমানে যে শুধু ভোট টানার জন্যই এই সংরক্ষনের আয়োজন তা বুঝতে কারো বাকি নেই । এমনকি মানুষের মধ্যে সাম্যের কথা যারা প্রচার করে সেই কমিউনিস্টরাও একে সমর্থন করছে । ভারতীয় কমিউনিস্টদের দুমুখো নীতির এও আরেক প্রমান । আজও ভারতের হিন্দুদের মধ্যে পুরুষ ব্রাহ্মন ছাড়া আর কারো উপাসনার অধিকার নেই । শিক্ষিত মানুষেরাও বিয়ে করেন জাতপাত দেখে, এই সংরক্ষন ষে সেই জাতপাতকেই আরো উসকে তুলেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । আধুনিক প্রযুক্তির ভারত, সোনালী চর্তুভুজের ভারতের পিছনে তার অন্ধকার দিক এখনও কতটা শক্তিশালী তা আরো একবার প্রমান হল ।
সংরক্ষনের বিরুদ্ধে সরব হোন । প্রমান করুন আপনি দেশকে ভালোবাসেন ।
তবে যারা আন্দোলন করছে তারা সবাই যে ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার জন্য করছে এ আমার মনে হয় না । আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি । তাদের কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে । জাতপাতের রাজনীতি পুরোদমে চালু করে মহাত্মা গান্ধীর কংগ্রেস মহাত্মাকেই উড়িয়ে দিয়ে দেশকে রসাতলে নিয়ে যেতে চাইছে । সাধে কি আর মহাত্মা গান্ধী দেশ স্বাধীন হবার পর কংগ্রসেকে উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ।
সংরক্ষন বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো হল ।
(১) যে পরিবারের এক জেনারেশন আগে সংরক্ষনের ফলে চাকরি পেয়েছে সেই পরিবারের সন্তান কেন আবার সেই একই সুবিধা পাবে । কারন সেই পরিবার তো আর আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে নেই ।
(২) সংরক্ষন কেন জাত পাতের ভিত্তিতে হবে কেন শুধু অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে হবে না ।
(৩) উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষন কেন করা হবে ? কেন এই পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের প্রাইমারি স্কুল থেকেই যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি করা হবে না যাতে তারা উচ্চশিক্ষায় বিশেষ সুবিধা ছাড়াই সবার সমান হতে পারে ।
(৪) গরীব উচ্চবর্ণের মানুষরা কেন বঞ্চিত হবেন। তাঁদের কি একটাই অপরাধ যে তাঁদের জন্ম উচ্চবর্ণে ।
(৫) গত পঞ্চাশ বছরে যখন সংরক্ষন নীতির ফলে কোনো উপকার হয়নি তখন কেন এই ভ্রান্ত নীতিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ।
(৬) পিছিয়ে পড়া অন্য ধর্মের মানুষদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ?
ডঃ বি আর আম্বেদকর, মহাত্মা গান্ধী, বিবেকানন্দের ভারতে বর্তমানে যে শুধু ভোট টানার জন্যই এই সংরক্ষনের আয়োজন তা বুঝতে কারো বাকি নেই । এমনকি মানুষের মধ্যে সাম্যের কথা যারা প্রচার করে সেই কমিউনিস্টরাও একে সমর্থন করছে । ভারতীয় কমিউনিস্টদের দুমুখো নীতির এও আরেক প্রমান । আজও ভারতের হিন্দুদের মধ্যে পুরুষ ব্রাহ্মন ছাড়া আর কারো উপাসনার অধিকার নেই । শিক্ষিত মানুষেরাও বিয়ে করেন জাতপাত দেখে, এই সংরক্ষন ষে সেই জাতপাতকেই আরো উসকে তুলেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । আধুনিক প্রযুক্তির ভারত, সোনালী চর্তুভুজের ভারতের পিছনে তার অন্ধকার দিক এখনও কতটা শক্তিশালী তা আরো একবার প্রমান হল ।
সংরক্ষনের বিরুদ্ধে সরব হোন । প্রমান করুন আপনি দেশকে ভালোবাসেন ।
1 comment:
সহমত আমিও পোষোণ করি এই বিষয়ে। এখন হল জাতপাত তারপর ধর্ম, তার পর লিঙ্গ, তার পর কি? এর শেষ কোথায়। শেষ নেই তাই এই প্রথাকে সমূলে উৎখাত করতে হবে। জয় হিন্দ।
Post a Comment